হাঁটা, হাঁটার নিয়ম, হাঁটলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে, কমবে সুগার, এই ভাবে হাঁটলে কমে হার্ট অ্যাটাক ঝুঁকি, সিঁড়ি চড়া, সিঁড়ি চড়া ব্যায়াম, হাঁটা বনাম সিঁড়ি বাওয়া, ওজন কমানোর জন্য কোন ব্যায়াম সেরা, ওজন, ওজন কমানোর টিপস, হেঁটে ওজন কমানোর টিপস, ভাল ঘুমের টিপস, শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটবেন কখন, সকালে না বিকেলে কখন হাঁটলে লাভ বেশি, হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ওজন, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাঁটলে ঘুম ভালো হয়, মানসিক সুস্থতা হেলথ টিপস

Walking: প্রতিদিন ২০ মিনিট ‘এই’ টেকনিকে হাঁটুন…! সুগার-কোলেস্টেরল মুঠোয় থাকবে, বাড়বে না ওজন! ‘উপকার’ শুনলে চমকে যাবেন!

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা সবসময়ই সেরা বলে বিবেচিত হয়। হাঁটার জন্য মানুষ নানা ধরণের নিয়ম মেনে থাকেন। কেউ দ্রুত হাঁটেন তো কেউ হাঁটেন ধীরে ধীরে।
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা সবসময়ই সেরা বলে বিবেচিত হয়। হাঁটার জন্য মানুষ নানা ধরণের নিয়ম মেনে থাকেন। কেউ দ্রুত হাঁটেন তো কেউ হাঁটেন ধীরে ধীরে।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে উল্টো দিকে হাঁটাও একটি বিশেষ ব্যায়াম যা স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে দুর্দান্ত ভাবে উপকার করে। একে বলা হয় রিভার্স ওয়াকিং মানে সামনের দিকে না গিয়ে এক পা পিছন দিকে হাঁটা।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে উল্টো দিকে হাঁটাও একটি বিশেষ ব্যায়াম যা স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে দুর্দান্ত ভাবে উপকার করে। একে বলা হয় রিভার্স ওয়াকিং মানে সামনের দিকে না গিয়ে এক পা পিছন দিকে হাঁটা।
রিভার্স ওয়াকিং-এর অনেক শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে। যা অনেকেরই অজানা। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী ভাবে উল্টো হাঁটা আপনার শরীর ও ব্যক্তিত্বের জন্য ভাল হতে পারে।
রিভার্স ওয়াকিং-এর অনেক শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে। যা অনেকেরই অজানা। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী ভাবে উল্টো হাঁটা আপনার শরীর ও ব্যক্তিত্বের জন্য ভাল হতে পারে।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে হাঁটুর সমস্যা কমানোর জন্য পিছনের দিকে হাঁটা প্রভূতভাবে কার্যকর হতে পারে। এটি শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ও দক্ষতা বাড়াতে কাজে দেয়।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে হাঁটুর সমস্যা কমানোর জন্য পিছনের দিকে হাঁটা প্রভূতভাবে কার্যকর হতে পারে। এটি শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ও দক্ষতা বাড়াতে কাজে দেয়।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড পাল মানিকম এই প্রসঙ্গে নিউজ 18 -কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, পিছনের দিকে হাঁটার ঠিক কী কী সুবিধা এবং এটি কীভাবে আপনার পেশীতে সহনশীলতা বাড়াতে পারে। এই বিষয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম রিলও শেয়ার করেছেন চিকিৎসক।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড পাল মানিকম এই প্রসঙ্গে নিউজ 18 -কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, পিছনের দিকে হাঁটার ঠিক কী কী সুবিধা এবং এটি কীভাবে আপনার পেশীতে সহনশীলতা বাড়াতে পারে। এই বিষয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম রিলও শেয়ার করেছেন চিকিৎসক।
এনার্জি বাড়ে:উল্টো পথে হাঁটলে আমাদের শরীরের এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। এটি করলে শরীরের মেটাবলিজমও ভাল হয়। আপনি যদি প্রতিদিন সাদামাটা নিয়মে হাঁটাহাঁটি করে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে থাকেন আর সে ভাবে সুফল না পান, তবে আপনি এবার অল্প সময়ের জন্য বিপরীত হাঁটা শুরু করতে পারেন। এটি কেবল শারীরিক নয় মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। যাঁদের ঘুমের সমস্যা হয় তাঁরা উল্টো ভাবে হাঁটলে ভাল ঘুম হয়।
এনার্জি বাড়ে:
উল্টো পথে হাঁটলে আমাদের শরীরের এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। এটি করলে শরীরের মেটাবলিজমও ভাল হয়। আপনি যদি প্রতিদিন সাদামাটা নিয়মে হাঁটাহাঁটি করে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে থাকেন আর সে ভাবে সুফল না পান, তবে আপনি এবার অল্প সময়ের জন্য বিপরীত হাঁটা শুরু করতে পারেন। এটি কেবল শারীরিক নয় মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। যাঁদের ঘুমের সমস্যা হয় তাঁরা উল্টো ভাবে হাঁটলে ভাল ঘুম হয়।
ওজন কমাতে দুর্দান্ত:এটি শরীরের চর্বি গলানোর জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী হয়। নিয়মিত এই ভাবে হাঁটলে ক্যালোরি খরচ হয় বেশি। পিছনের দিকে হাঁটা শরীরের ভারসাম্য স্থিতিশীল রাখে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে দুর্দান্ত:
এটি শরীরের চর্বি গলানোর জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী হয়। নিয়মিত এই ভাবে হাঁটলে ক্যালোরি খরচ হয় বেশি। পিছনের দিকে হাঁটা শরীরের ভারসাম্য স্থিতিশীল রাখে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
আবার পায়ের পেশীকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। পিছনে হাঁটা একটি ভাল ব্যায়াম। দ্রুত হাঁটলে পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়। আবার এই ভাবে পিছন দিকে হাঁটাও মেটাবলিজম উন্নত করে।
আবার পায়ের পেশীকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। পিছনে হাঁটা একটি ভাল ব্যায়াম। দ্রুত হাঁটলে পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়। আবার এই ভাবে পিছন দিকে হাঁটাও মেটাবলিজম উন্নত করে।
পায়ের পেশী শক্তিশালী হয় :হাঁটা যেমন আপনার পায়ের পেশীকে শক্তিশালী করে, তেমনি বিপরীত হাঁটাও আপনার পায়ের পেশী গঠনে দারুণ উপকার করে। সামনের দিকে হাঁটার পরিবর্তে বিপরীতে হাঁটার ক্ষেত্রে পায়ের পিছনের পেশীগুলিকে প্রসারিত করা হয় এবং এটি আপনার পাকে আরও শক্তিশালী করে এবং পায়ের ব্যথা হ্রাস করে।
পায়ের পেশী শক্তিশালী হয় :
হাঁটা যেমন আপনার পায়ের পেশীকে শক্তিশালী করে, তেমনি বিপরীত হাঁটাও আপনার পায়ের পেশী গঠনে দারুণ উপকার করে। সামনের দিকে হাঁটার পরিবর্তে বিপরীতে হাঁটার ক্ষেত্রে পায়ের পিছনের পেশীগুলিকে প্রসারিত করা হয় এবং এটি আপনার পাকে আরও শক্তিশালী করে এবং পায়ের ব্যথা হ্রাস করে।
পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পানউল্টো হাঁটা পিঠের নীচের দিকে চাপ দেয়, যা পিঠকে ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়, বিশেষ করে হ্যামস্ট্রিং অঞ্চলে ব্যথা থাকলে তা কমে যায় এই ভাবে হাঁটলে।
পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পান
উল্টো হাঁটা পিঠের নীচের দিকে চাপ দেয়, যা পিঠকে ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়, বিশেষ করে হ্যামস্ট্রিং অঞ্চলে ব্যথা থাকলে তা কমে যায় এই ভাবে হাঁটলে।
যারা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, নিয়মিত অন্তত ১৫ মিনিট উল্টো হাঁটার অভ্যাস করলে কোমর ব্যথা থেকে অনেকটাই উপশম হবে।
যারা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, নিয়মিত অন্তত ১৫ মিনিট উল্টো হাঁটার অভ্যাস করলে কোমর ব্যথা থেকে অনেকটাই উপশম হবে।
উল্টো হাঁটা মনের ফোকাস বাড়ায়:উল্টো হাঁটা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। এটি মনকে সঠিক জায়গায় ফোকাস করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে, শুধুমাত্র ফোকাসই উন্নত হয় না বরং এটি মস্তিষ্ককে ভারসাম্য এবং সমন্বয় তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করে।
উল্টো হাঁটা মনের ফোকাস বাড়ায়:
উল্টো হাঁটা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। এটি মনকে সঠিক জায়গায় ফোকাস করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে, শুধুমাত্র ফোকাসই উন্নত হয় না বরং এটি মস্তিষ্ককে ভারসাম্য এবং সমন্বয় তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করে।
আপনি যদি রিভার্স ওয়াকিং করেন, আপনার মস্তিষ্ক সেই সময় আরও বেশি সজাগ হয়ে ওঠে, যা এর কার্যকারিতাকে উন্নত করে। এর ফলে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয় যা ব্যক্তির মন-মেজাজকে উন্নত করে এবং মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টিকারী সংবেদনগুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
আপনি যদি রিভার্স ওয়াকিং করেন, আপনার মস্তিষ্ক সেই সময় আরও বেশি সজাগ হয়ে ওঠে, যা এর কার্যকারিতাকে উন্নত করে। এর ফলে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয় যা ব্যক্তির মন-মেজাজকে উন্নত করে এবং মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টিকারী সংবেদনগুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
উল্টো হাঁটা হাঁটুতে কম চাপ দেয়:যাদের হাঁটুতে ব্যথা আছে তারা হাঁটতে কষ্ট পান। কিন্তু বিপরীত হাঁটার অভ্যাস করলে হাঁটুতে কম চাপ পড়বে। তাই যাঁরা হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন তাঁরাও এই ভাবে হাঁটতে পারেন। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাঁদের হাঁটুতে আঘাত বা ব্যথা আছে, তাঁরা উল্টো হাঁটলে উপকৃত হবেন।
উল্টো হাঁটা হাঁটুতে কম চাপ দেয়:
যাদের হাঁটুতে ব্যথা আছে তারা হাঁটতে কষ্ট পান। কিন্তু বিপরীত হাঁটার অভ্যাস করলে হাঁটুতে কম চাপ পড়বে। তাই যাঁরা হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন তাঁরাও এই ভাবে হাঁটতে পারেন। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাঁদের হাঁটুতে আঘাত বা ব্যথা আছে, তাঁরা উল্টো হাঁটলে উপকৃত হবেন।
অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।