লাইফস্টাইল High Blood Sugar Control: ডায়াবেটিসে একদম চলে না এই ফল…খেলেই হুহু করে বেড়ে যায় সুগার! এক ফোঁটা অবহেলা করলেই ফল ভয়ঙ্কর Gallery June 24, 2024 Bangla Digital Desk ডায়াবেটিস এমন একটি সমস্যা, যা আরও ১০টা শারীরিক সমস্যাকে শরীরে টেনে আনে৷ সেই কারণে, ব্লাড সুগার ধরা পড়ার পর থেকেই দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করতে শুরু করলে ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ এই পরিস্থিতিতে আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না, কোনটা খাওয়া উচিত, কোনটা নয়৷ অথবা, কোন কোন খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত৷ অনেকেই এই সময় নানা লোকের কথা শুনে বিভ্রান্ত হয়ে যান৷ যেমন, ডায়াবেটিস ধরা পড়লে চিকিৎসকেরাই সীমিত পরিমাণে ফল খেতে বলে থাকেন৷ কারণ, বেশির ভাগ ফলেই শর্করার মাত্রা থাকে বেশি৷ কিন্তু, তার মধ্যেও এমন কিছু ফল রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের কখনওই খাওয়া উচিত নয়৷ এমন কিছু ফল রয়েছে, যা খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুহু করে৷ এই ফলগুলি কখনওই আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয় এবং তাঁদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী খাবার এবং ফল বেছে নিতে হয়। প্রয়োজনে বাদ দিতে হয় বা নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এমন সমস্ত খাবার যা হয়ত আপনার প্রিয়৷ এই প্রতিবেদনে আমরা এমন ৩টি ফলের উল্লেখ করব, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের পক্ষে খাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ কারণ এই সমস্ত পল হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দেয় রক্তের শর্করার মাত্রা৷ ফলগুলি হল, কলা, আম এবং তরমুজ৷ তবে এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু ফল৷ আনারস, খেজুর, লিচুও সুগারের রোগীদের খাওয়া উচিত নয়। বেদানা, বিভিন্ন ধরনের বেরি জাতীয় ফল খাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত৷ যাঁরা নিয়মিত সুগার চেক করেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা মরসুমে এক আধবার খেলেও খেতে পারেন এই সমস্ত ফল৷ তবে, যাঁদের সুগার নিয়ন্ত্রণে নেই, তাঁদের কখনওই খাওয়া উচিত নয় এই সমস্ত ফল৷ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, ফলের রসও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে। এছাড়া, ফলের প্যাকেটজাত জুস পান করাও এড়িয়ে চলা উচিত। কেন ফল গুরুত্বপূর্ণ? খাদ্যতালিকায় ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। তবে, পুষ্টিগুণের কারণে তা খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়াও উচিত নয়৷ তাই বুঝে শুনে চিকিৎসকের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনেই ফল খাওয়া উচিত৷