জহর মোহরা। আদতে পাথর কিন্তু ব্যবহার হয় ওষুধ হিসেবে। এর আশ্চর্য উপকারিতা রয়েছে। একেবারে বিশল্যকরণীর মত। পেটের সমস্ত সমস্যা নিরাময় করে। পাশাপাশি সাহায্য করে শরীর ডিটক্সিফাই করতেও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, লিভারকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি যে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে জহর মোহরার জুড়ি নেই। শুধু তাই নয়, শরীর থেকে সাপ এবং বিছের বিষ দূর করতেও কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এর নিয়মিত ব্যবহারে রক্তের ঘাটতি দূর হয়। শরীর হয় শক্তিশালী।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ রাঘবেন্দ্র চৌধুরি (রঞ্জিত সিং মেমোরিয়াল ক্লিনিক, বাগপত) বলেন, জহর মোহরা পাথরের আকারে একটি ওষুধ। এতে অনেক বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। তাই শুদ্ধ করার জন্য পাথরকে গরুর দুধে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর গুঁড়ো করে নিতে হয়। কারণ এটি গুঁড়ো বা ভস্ম হিসাবে ব্যবহার করাই নিয়ম।জহর মোহরায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, কপার, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা শরীরের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এটি শরীরের ময়লা দূর করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করার কাজ করে। বদহজম, ক্ষুধামান্দ্য এবং পেট সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা নিরাময়ে এর ব্যবহার বহু প্রাচীন।জহর মোহরা ভস্ম আয়ুর্বেদিক খনিজ ভিত্তিক ফর্মুলেশন যা জহর মোহরা পাথর থেকে প্রস্তুত করা হয়। সার্পেনটাইন নামেও পরিচিত। হার্ট এবং পেশির দুর্বলতাতে জহর মোহরা টনিক ম্যাজিকের মত কাজ করে।উচ্চ রক্তচাপ, ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি-সহ হজমের সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ। কাশি, অম্বল, হৃদরোগ ইত্যাদির চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং জ্বর কমাতেও ব্যবহৃত হয়। দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং রক্তপাত কমাতেও এর জুড়ি নেই। লিভার সুস্থ রাখতেও কাজ করে জহর মোহরা। রক্তশূন্যতা দূর করে শরীরকে শক্তিশালী করে। সাপ ও বিছের কামড়ে শরীরে যে বিষ ছড়ায় তাও দূর করে। তবে জহর মোহরা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। জল ও গরুর দুধের সঙ্গে ১২৫ এমজি থেকে ২৫০ এমজি মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
