মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee: সরকারি জমি দখল রুখতে ৬ দফার নির্দেশিকা, নজরে অবৈধ বালি খাদানও

 কলকাতা: শুধু সরকারি জমি নয়, বালি খাদান থেকে সরকারের হাতে থাকা বিভিন্ন খনিগুলির ওপরও নজরদারি বাড়াতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিল রাজ্যের ভূমি সংস্কার দফতর। জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে জলশায়,পুকুর ভরাট থেকে সরকারি জমি জবরদখলের মোকাবিলায় ছয় দফা নির্দেশিকা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বেআইন ট্রাক ও ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এর পরমাশর্র কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।তবে শুধু চিঠি নয়, ডিএলআরও থেকে বিএওলআরওদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অফিসের সামনে দালাল চক্রের ঘোরাফেরা বন্ধ করান। দরকার হলে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিন। তাঁদের কোনও কাজ করবেন না। জমির চরিত্র বদল করার সময় সাবধান হোন। আর সাধারণ মানুষ এলে তাঁদের কথা শুনুন। আইনিভাবে সাহায্য করুন। খারাপ ব্যবহার করবেন না।

চিঠিতে রাজ্যের ভূমি সংস্কার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি জমি যেখানে রয়েছে সেখানে সাইনবোর্ড বসান। তাতে লিখতে হবে “এই জমির মালিক রাজ্য সরকার”। যাতে সাধারণ মানুষের চোখে পরে। কেউ সেই জমি জবরদখল করলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের উচ্ছেদের আইনি ব্যবস্থা নিন। কিছুদিন অন্তর অন্তর নিয়মিত এই সব জমি পরিদশর্ন করতে আধিকারিদের। এই পরিদশর্নের একটা লগবুক রাখতে হবে। যাতে পরিদর্শনের সময় জমি বা জলাশয়ের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলে রাখতে হবে।

জেলা ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের দিয়ে ল্যান্ড রেকর্ডের যথাযত রক্ষনাবেক্ষণ হচ্ছে না। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের হাতে কত জমি রয়েছে, খাস জমির পরিমাণ কত, আর খতিয়ান নম্বর ওয়ান কত জমি রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দফতরের হাতে কত জমি রয়েছে। এখনই যদি এইসব জমির ওপর নজর না দেওয়া হয় তা হলে জবরদখল হয়ে অপব্যবহার হবে। লক্ষ্য করা গিয়েছে বিভিন্ন দফতর নানা প্রকল্প সরাসরি জমি কিনেছে বা অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু তা ল্যান্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত হচ্ছে না।

কেন? রাজ্য সরকারের কাছে বেআইনি বালি খাদান থেকে জলাশয়, পুকুর ভরাটের নানা অভিযোগ আসছে প্রতিদিন। বহু এলাকায় বেআইনিভাবে জমির চরিত্র বদল করা হচ্ছে।তাই নীচুতলায় ল্যান্ড রেকর্ড আপডেট না করা হলে সমস্যা হবে। তাই এখনই জমিগুলি কি অবস্থায় রয়েছে তা রেকর্ড করতে উদ্যোগ নিতে হবে। যদি কোনও রেকডিং মিসিং হবে তবে তা উদ্ধার করে আপডেট করতে হবে।

তিনি চিঠিতে প্রতি ব্লকে কত খাস জমি রয়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করে প্রাথমিক রিপোর্ট এখনই দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের।তাঁর জেলাশাসকদের পরমার্শ নদীর ধারগুলো নজর রাখুন। বেআইনিভাবে কিছু লোক নদী গর্ভ থেকে বালি তুলছে। চুরি হচ্ছে নুড়িও।

 সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়