বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখনই শনির গতিবিধির পরিবর্তন হয়, তখনই সমস্ত রাশির মানুষের উপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। শ্রী দর্শন পঞ্চাঙ্গকর্তা শাস্ত্রী প্রবীণ ত্রিবেদী জানান, জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রতিমুখী শনি ধৈর্য ও অধ্যবসায় সম্পন্ন জাতক জাতিকাদের উচ্চ পদ লাভে সাহায্য করবেন।শনি কর্মফলের দাতা এবং ন্যায়পরায়ণ গ্রহ, আগামী ৩০ জুন শনি তাঁর নিজস্ব রাশিতে এবং মূল ত্রিকোণ রাশি কুম্ভ রাশিতে পিছিয়ে যাবেন। শনি প্রায় ১৩৯ দিন পশ্চাদপসরণে থাকবেন। শনির বিপরীতমুখী গতিবিধির কারণে মেষ, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন রাশির জাতক জাতিকারা সম্পদ, সুখ, সমৃদ্ধি ও গৌরব অর্জন করতে পারেন।শ্রী দর্শন পঞ্চাঙ্গকর্তা শাস্ত্রী প্রবীণ ত্রিবেদী লোকাল নিউজ18-কে জানান যে, সমস্ত গ্রহের মধ্যে শনি হলেন সবচেয়ে ধীর গতিশীল গ্রহ। একটি রাশি থেকে অন্য রাশিতে পরিবর্তনের জন্য প্রায় আড়াই বছর সময় লাগে, যা জাতক জাতিকাদের প্রভাবিত করে।তবে শনির বিপরীতমুখী গমন শনির গতিকে কিছুটা ধীর করে দেয়। অনেকেরই এমন ধারণা রয়েছে যে, শনি শুধুমাত্র বেদনাপ্রদানকারী গ্রহ। এমনটি কিন্তু সত্যি নয়, তিনি আমাদের জীবনের সমস্ত সৌভাগ্য উপভোগ করতেও আশীর্বাদ করেন।বিপরীতমুখী শনি জাতক জাতিকাদের কাছ থেকে ধৈর্য এবং স্থির চিন্তার দাবি করেন। অবিরাম প্রচেষ্টা, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এমন পরিস্থিতি পার করা এবং শনির আশীর্বাদ লাভ সম্ভব নয়।যাঁদের এই মুহূর্তে শনির সাড়ে সাতি চলছে তাঁদের বিপরীতমুখী শনির গমনের সময় কোনও নতুন কাজ বা প্রকল্প শুরু করা উচিত নয়।শনির বিপরীতমুখী শক্তির কারণে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনাও কম হবে। অতএব, আসন্ন কোনও প্রকল্প গ্রহণ করার আগে, সেই প্রকল্প সম্পর্কে সঠিক গবেষণা এবং বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।শনি পিছিয়ে যাওয়ার সময় ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা করে জাতক জাতিকাদের অনুগত, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দৃঢ়, ধর্মীয় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে তুলবেন।
