বি-টাউনের সবথেকে চর্চিত জুটি হল মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুর। তবে তাঁদের সম্পর্কে সব কিছু ভাল চলছে না! কান পাতলে এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বি-টাউনে! প্রেমিকের জন্মদিন উদযাপনেও যোগ দিতে দেখা যায়নি মালাইকাকে। আসলে অর্জুনের জুহুর বাসভবনে মধ্যরাতেই উদযাপিত হয়েছিল তাঁর জন্মদিন। সেখানে যাননি মালাইকা। এমনকী সোশ্য়াল মিডিয়াতেও প্রেমিককে শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা যায়নি তাঁকে। যার জেরে তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা আরও জোরালো হচ্ছে।
অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এহেন গুজবের মাঝেই মুখ খুলেছেন মালাইকা। ইন্টারনেট কীভাবে অত্যন্ত টক্সিক জায়গা হতে পারে, তা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন অভিনেত্রী। হ্যালো ম্যাগাজিন-এর কাছে মালাইকা বলেছেন, “আমি একটা কৌশল অথবা বর্ম তৈরি করে রেখেছি। আমি বলতে চাই যে, এই বর্মটা বানিয়েছি আমার নিজের চারপাশে। যেখানে আমি আর নেতিবাচকতাকে প্রবেশ করতে দেব না।”
তিনি আরও বলেন যে, “আমি নিজেকে এই দিক থেকে একদম একটা বর্মে আটকে ফেলেছি। সে মানুষের থেকেই হোক, কাজের পরিবেশ থেকেই হোক কিংবা সোশ্য়াল মিডিয়া অথবা ট্রোল থেকেই হোক। আমি যে-ই ওই এনার্জিটা অনুভব করি, তখন সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিই। আর এটা এমন একটা বিষয়, যা আমি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখেছি। আগে এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি ভাবতাম এবং এর জন্য আমার ঘুম নষ্ট হত। যদি আমি বলি যে, এই বিষয়গুলি একেবারেই আমার উপর প্রভাব ফেলে না, তাহলে আমি মিথ্যা বলব। আমিও একজন মানুষ। তাই আমি কাঁদব, ভেঙে পড়ব আর ট্রোলিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত আবেগ আমারও রয়েছে। তবে সেটা কখনওই জনসমক্ষে আপনারা দেখতে পাবেন না।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রেকর্ড ব্যবসা! বিদেশেও ঝড় তুলছে ‘তুফান’, বক্স অফিসে উপচে পড়ছে ভাঁড়ার
আরও পড়ুন: ‘ভিক্ষা না চাইলে…’! অজয়, অক্ষয়কে নিয়ে বিস্ফোরক বঙ্গতনয়া রিমি, অবশেষে সব ফাঁস
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি ইন্টারনেটের নাম পরিচয়হীন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার এবং কারও কাছে নিজেকে প্রমাণ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ট্রোল আমার কাছে কিছুই নয়। আমি সবই জানি। আমি একটা শক্ত পাথরের নিচে থাকি। কিন্তু এর থেকে নিজেকে দূরে রাখি।”
অন্য দিকে প্রেম-ভালবাসার প্রসঙ্গে মালাইকাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যা-ই হয়ে যাক না কেন, সত্যিকারের ভালবাসার প্রতি বিশ্বাস কোনও দিনও ছাড়ব না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমি হলাম একদম টিপিক্যাল স্করপিও। ফলে আমি একেবারে শেষ পর্যন্ত ভালবাসার জন্য লড়াই করব। কিন্তু একই সঙ্গে আমি বাস্তববাদীও বটে! ফলে জানি কোথায় গিয়ে সীমাটা টানতে হয়।”