নীতীশকে নিয়ে বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের৷

Prashant Kishor: কোন ভয়ে কেন্দ্রে বড় মন্ত্রক চাইলেন না নীতীশ? বিস্ফোরক দাবি প্রশান্ত কিশোরের

নয়াদিল্লি: তৃতীয় এনডিএ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতীশ কুমার৷ নীতীশের দল জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র সমর্থনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ প্রথম ভাবা হয়েছিল, সুযোগ পেয়ে নীতীশ হয়তো চাপে ফেলবেন বিজেপিকে৷ স্পিকারের মতো পদের দাবিও জানাতে পারে জেডিইউ৷ একান্ত তা না হলে রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানাবে নীতীশের দল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে পথে হাঁটেননি নীতীশ৷ বরং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়েই মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে জেডিইউ-এর মাত্র দু জন সাংসদের৷ তাও আবার সেররম উল্লেখযোগ্য কোনও মন্ত্রক পাননি তাঁরা৷

কেন নীতীশ বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রক চাইলেন না, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ একটি সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘নীতীশ কুমার চাইলে বলতেই পারতেন যে বিহারের প্রতি জেলায় একটা করে কারখানা তৈরি করতে হবে অথবা বড় কোনও মন্ত্রক জেডিইউ-কে ছাড়তে হবে, নাহলে সমর্থন দেব না৷ , গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রকের দায়িত্ব যদি জেডিইউ-এর কেউ পান, তাহলে নিজের দলের মধ্যেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয়ে যাবে৷ এই ভয় থেকেই বিজেপির কাছে বড় কোনও মন্ত্রকের দাবি জানাননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷ নীতীশ শুধু বিজেপির শীর্ষ নেতাদের থেকে এই নিশ্চয়তা আদায় করতে চেয়েছেন যে তিনিই যেন ২০২৫-এর পরেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন৷’

আরও পড়ুন: রেলের বিরাট সুখবর! ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের বিশেষ নাম! রেলকে কুর্নিশ পরিবেশপ্রেমীদের

শুধু তাই নয়, প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন, বাধ্য হয়েই নীতীশ কুমারকে গিলতে হচ্ছে বিজেপিকে৷ কারণ নীতীশ সমর্থন তুলে নিলেই কেন্দ্রের সরকার পড়ে যাবে৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জেডিইউ থেকে দু জন মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন৷ মৎস্যপালন, পশুপালন, ডেয়ারি এবং পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন রাজীবরঞ্জন সিং৷ অন্যদিকে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জেডিইউ-এর রামনাথ ঠাকুর৷