Tag Archives: NITISH KUMAR

“বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প চালাতে দেয় না!”- বাজেট নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ নির্মলার

নয়াদিল্লি: গত ২৩ শে জুলাই পেশ হয়েছে মোদি সরকারের তৃতীয় দফার কেন্দ্রীয় বাজেট। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের হাত ধরে নতুন আয়কর ব্যবস্থার কথা ঘোষণা হয়। এছাড়াও বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ-এর মতন বিজেপি কিংবা জোট শরিক শাসিত রাজ্য গুলি একাধিক আর্থিক সাহায্য পেলেও পশ্চিমবঙ্গের মতন অবিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি কোন সাহায্য পায়নি। এই নিয়েই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন নির্মলা। মঙ্গলবার, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: ‘কুর্সি বাঁচাও বাজেট…’ তীব্র নিশানা রাহুলের! ছুড়ে দিলেন ‘কপি পেস্ট’ কটাক্ষ

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করে বলা হয়, শুধু পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গনা, এবং পঞ্জাব যেহেতু অবিজেপি শাসিত তাই এই রাজ্যগুলিকে বাজেট থেকে বাদ রাখা হয়েছে। শুধু মাত্র বিজেপির শরিক জেডিইউ এবং টিডিপি-কে খুশি রাখার সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই বাজেটকে “অন্ধ্র-বিহার” বাজেট বলেও কটাক্ষ করে তৃণমূল।
বাজেট নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটারে) লেখেন, “দয়া করে আগে বাংলার পাওনা টাকা কেন্দ্র আমাদের দিক। কেন্দ্র থেকে এই রাজ্য ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা পায়। বেকারত্বকে লুকিয়ে রেখে এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা উচিত।”
এরপরে আরও একাধিক পোস্টে সুস্মিতা এটাও জানান যে এখনও পর্যন্ত নতুন জনগণনা করা হয়নি তা ছাড়া এই কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থহীন।

ঠিক একই ভাবে সুর চড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ” এই বাজেট সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ। এই বাজেটের কোনো গ্যারান্টি নেই। একটা ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার এবং ব্যর্থ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির মতন বিষয় গুলি দূরে সরিয়ে রেখে শুধু শরিক জোটদের ঘুষ দেওয়ার জন্যই এই বাজেট।”
অন্য দিকে বিরোধীদের “কুর্সি বাঁচাও” স্লোগানের পাল্টা হিসাবে নির্মলা জানান শুধু দুটি রাজ্যের নাম সামনে আনা হচ্ছে মানে এই ন্য বাকি রাজ্য গুলি বাজেট থেকে কিছুই পায়নি।

বুধবার, রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি কোন রাজ্যের নাম বাজেটের ভাষণে উচ্চারিত হয়নি, তাহলে কি কেন্দ্রের প্রকল্প গুলি সেই রাজ্যে পৌঁছায় না? এটা সম্পূর্ণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার বিরোধীদের একটি চক্রান্ত। এর মাধ্যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা জনগণকে দেখাতে চাইছে শুধু দুটি রাজ্য ছাড়া বাকি কোন রাজ্য কিছুই পায়নি।”
মঙ্গলবার, কেন্দ্রের আর্থিক বাজেটে জেডিইউ ক্ষমতাসীন বিহারকে বন্যা ত্রাণ হিসাবে মোট ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টিডিপি শাসিত অন্ধ প্রদেশকে রাজ্যের রাজধানী উন্নয়নের স্বার্থে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এবং পরবর্তীতে আরও সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এতেই কেন্দ্রকে নিশানা বিরোধীরা করেছে বিরোধীরা।

Nitish Kumar: বিহারের একাধিক বরাদ্দ… বিমানবন্দর, সেতু, মেডিক্যাল কলেজ! বাজেটের পরে যা বললেন নীতীশ কুমার…

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেটে এ বার বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। মোদির আমলে প্রথম ‘এনডিএ বাজেট’। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০২৪ এর অন্তর্বর্তী বাজেট পর্যন্ত সরকার ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই বাজেট থেকে প্রথম জোট সরকারের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জোট সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের ডেডিইউয়ের। তার জন্য এবারের বাজেটে যে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিশেষ সুবিধা পাবে তা আশা করাই গিয়েছিল।

বাজেট পেশের পরে নীতীশ কুমার বলেন,  “আমরা বলেছিলাম, হয় আমাদের বিশেষ মর্যাদা দিন (বিহারের জন্য) অথবা আমাদের বিশেষ অধিকার দিন এবং বিহারের প্রয়োজনে সাহায্য করুন। রাজ্যে রাস্তা, স্কুল এবং অন্য উন্নয়ন প্রকল্প-সহ অনেক কাজ হয়েছে। এখন তারা বিহারের বেশ কিছু এলাকায় সাহায্যের ঘোষণা করেছে। কেন্দ্র-রাজ্যকে সমর্থন করলে সকলেই উপকৃত হবেন।”

বিহার এবং অন্ধপ্রদেশের জন্য মোট ৪১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। নীতীশ কুমারের বিহারে বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে, ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। চন্দ্রবাবুর রাজ্য অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য এই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে।

Budget allocation for Bihar: সমর্থন দিয়েছিলেন নীতীশ, সুদে আসলে পুষিয়ে দিলেন নির্মলা! বিহারের ঝুলিতে কী কী?

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ দিন ধরেই বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি করে আসছিলেন নীতীশ কুমার৷ সেই দাবি পূরণ না করলে নীতীশের ফের বেঁকে বসার আশঙ্কা ছিল৷ কেন্দ্রীয় অর্থ নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করতে গিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, নীতীশকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি তিনি৷ বলা ভাল, বিহারের জন্যই বাজেটে কল্পতরু হয়েছেন নির্মলা৷ একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন বিহারের জন্য৷

নির্মলা সীতারমণ এ দিন ঘোষণা করেন, বিহারে হাইওয়ে নির্মাণে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল৷ এর পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য বিহার সরকার যে আর্থিক বরাদ্দের অনুরোধ করেছে, তাও দ্রুত খতিয়ে দেখে মঞ্জুর করার আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ শুধু তাই নয়, আগামী

এ দিন বাজেট বক্তৃতার প্রথম দিকেই নির্মলা জানিয়ে দেন, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ বরাদ্দ করতে চলেছেন তিনি৷ এর পরেই কার্যত দুই রাজ্যের জন্য কার্যত বিহারের জন্য ঝুলি উপুড় করে দেন তিনি৷ হাইওয়ে নির্মাণের জন্য ২৬ হাজার কোটির পাশাপাশি বিহারের বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন নির্মলা৷ শুধু তাই নয়, আগামী পাঁচ বছরে বিহারে বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন: ‘জিরো গ্যারান্টি, জিরো ওয়ারেন্টির বাজেট!’ বঞ্চনার জবাব দেবে মানুষ, হুঁশিয়ারি অভিষেকের

পাশাপাশি বিহারের জন্য একটি বড় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, নালন্দাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উন্নত করা, রাজগিরের উষ্ণ প্রসবণের রক্ষণাবেক্ষণে আর্থিক বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ বিহার, বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার মতো পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নে পূর্বোদয় প্রকল্পেরও ঘোষণা করেছেন নির্মলা৷

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে শেষ মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে ফিরেছিলেন নীতীশ৷ লোকসভার ফল বেরোতে দেখা যায়, অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডুর মতোই বিহারে নীতীশের দল জেডিইউ-কে বাদ দিয়ে সরকার গড়াই মুশকিল হত নরেন্দ্র মোদির৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারে জেডিইউ কোনও বড় মন্ত্রক পায়নি৷ আবার নীতীশের বিশেষ বিহারের জন্য বিশেষ স্বীকৃতির দাবিও মানেনি কেন্দ্র৷ ফলে নীতীশকে খুশি রাখতে নরেন্দ্র মোদি কী করেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল৷ কারণ দাবি বা শর্তপূরণ না হলে নীতীশ যে বেঁকে বসবেন না, তার নিশ্চয়তা নেই৷ বিরোধীরা বলছেন, নীতীশকে তুষ্ট করতে বাজেটকেই অস্ত্র করলেন প্রধানমন্ত্রী৷

Union Budget 2024 Bihar and Andhra Pradesh: বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

নয়াদিল্লি: মোদির আমলে প্রথম ‘এনডিএ বাজেট’। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০২৪ এর অন্তর্বর্তী বাজেট পর্যন্ত সরকার ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই বাজেট থেকে প্রথম জোট সরকারের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জোট সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের ডেডিইউয়ের। তার জন্য এবারের বাজেটে যে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিশেষ সুবিধা পাবে তা আশা করাই গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: একদিনের ক্রিকেটে কেরিয়ার শেষ সূর্যকুমারের? বড় ইঙ্গিত বোর্ডের নির্বাচক কমিটির প্রধানের

বিহার এবং অন্ধপ্রদেশের জন্য মোট ৪১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নীতীশ কুমারের বিহারে বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে, ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। চন্দ্রবাবুর রাজ্য অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য এই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে।

আরও পড়ুন: শেষ ৩টি বাজেটে কীভাবে বদলেছে কর ব্যবস্থা? এই বাজেট থেকে কী প্রত্যাশা করদাতাদের?

সেই সঙ্গে বিহারে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১১ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দের ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমণ। এখানেই শেষ নয়, বিহারে সড়ক নির্মাণ, বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ এবং খেলাধুলার উন্নতির জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে।

Bihar Special Status: বিহারকে দেওয়া যাবে না ‘স্পেশাল স্টেটাস’! স্পষ্ট জানিয়ে দিল মোদির সরকার..এবার কী করবেন নীতীশ?

নয়াদিল্লি: বিহারকে বিশেষ রাজ্যের সুবিধা দিচ্ছে না কেন্দ্র৷ সোমবার বাদল অধিবেশনের শুরুতেই জেডি (ইউ) সাংসদ রামপ্রীত মণ্ডলের করা প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লোকসভায় জানিয়ে দিলেন, কোনও রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিতে হলে NDC নির্ধারিত কিছু নিয়মবলি রয়েছে৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী বিহারকে এই বিশেষ তকমা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ অন্যদিকে, লোকসভায় এই উত্তর শোনার পরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পদত্যাগের দাবি তুলছে লালুপ্রসাদের আরজেডি৷

চব্বিশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নীতীশের জেডি(ইউ) অন্যতম প্রধান শরিক বিজেপির এনডিএ-র৷ শোনা গিয়েছিল, এনডিএ-তে যোগদানের বদলে নীতীশের অন্যতম শর্তই নাকি ছিল বিহারের জন্য স্পেশাল স্টেটাস এবং বিশেষ কেন্দ্রীয় অনুদান৷ এছাড়া নাকি, কেন্দ্রীয় পূর্ণ ও প্রতিমন্ত্রীর পদও চেয়েছিল জেডি(ইউ)৷ কিন্তু, পূর্ণ মন্ত্রিত্ব মেলেনি৷ এবার রাজ্যের বিশেষ স্টেটাসের আবেদনও সরাসরি নাকচ৷ এরপর…

সূত্রের খবর, রাজ্যের স্পেশাল স্টেটাস চেয়ে সম্প্রতি বিহার মন্ত্রিসভায় একটি বিশেষ প্রস্তাবও পাশ করেছে জেডি(ইউ)৷ কিন্তু, শেষমেশ সে গুড়ে বালি৷

আরও পড়ুন: তাঁদের শপথগ্রহণ ‘অসাংবিধানিক’! এবার সায়ন্তিকা-রেয়াতকেই সরাসরি মেল রাজ্যপালের…কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি

কেন্দ্রের তরফে লিখিত উত্তরে সোমবার জানানো হয়েছে, কোনও রাজ্যকে ‘স্পেশাল ক্যাটেগরি’তে রাখার জন্য ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল বা এনডিসি নির্ধারিত কিছু বৈশিষ্ট্য পূরণ করতে হয়৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে দুর্গম পার্বত্য এলাকা থাকতে হবে, রাজ্য জনজাতি অধ্যুষিত হতে হবে, লোকসংখ্যা কম হতে হবে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বা সীমান্ত সংলগ্ন হতে হবে৷ পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ও পরিকাঠানোগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর হলে তবেই সেই রাজ্যকে ‘স্পেশাল স্টেটাস’ এবং বিশেষ কেন্দ্রীয় অনুদান দেওয়া সম্ভব হবে৷

লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সোমবার বলেন, ‘‘বিশেষ রাজ্যের তকমা সংক্রান্ত বিহারের আবেদন আগেই একটি ইন্টার মিনিস্টেরিয়াল গ্রুপের সদস্যদের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয়েছিল৷ তারা তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন ২০১২ সালের ৩০ মার্চ৷ ওই দল এনডিসি-র বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ীই বিহারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিল৷ তারা তাদের রিপোর্টে জানায়, বর্তমানে বিহারের যা পরিস্থিতি, তাতে তা বিশেষ রাজ্যের তকমা পেতে এনডিসি-র বৈশিষ্ট্য পরিপূর্ণ করে না৷’’

বাদল অধিবেশন শুরুর একদিন আগেই, জেডি(ইউ), ওয়াইএসআরসিপি এবং বিজেডি বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার জন্য স্পেশাল স্টেটাসের সুবিধা দাবি করেছিল৷ কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘আশ্চর্যের বিষয়, এবিষয়ে কিচ্ছুটি বলতে শোনা যাচ্ছে না টিডিপি-কে।’’

আরও পড়ুন: উল্লেখ করতে হবে দোকানদারের নাম? কানওয়াড় যাত্রার সময় যোগী সরকারের বিতর্কিত নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

বাদল অধিবেশনের আগে আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে এনডিএ এমনকি বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের তরফ থেকেও বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠেছিল৷ এনডিএ শরিক জেডি(ইউ)-র সঞ্জয়কুমার ঝা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এলজেপি(রামবিলাস)-র চিরাগ পাসওয়ানও এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন৷ গলা মিলিয়েছিল লালুপ্রসাদের আরজেডি-ও৷ যদিও সঞ্জয় ঝা জানিয়েছিলেন, বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা না দেওয়া গেলে, রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ পেলেও তাঁরা সন্তুষ্ট৷

Prashant Kishor: এবার সরাসরি সংঘাত! সম্রাট চৌধুরিকে তীব্র আক্রমণ প্রশান্ত কিশোরের! বার্তা কি সরাসরি মোদিকেই?

পটনা: এবার কি বিজেপির সঙ্গে সংঘাত বাঁধল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের? শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরির সমালোচনা করেছেন জন সুরজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। সম্রাট চৌধুরিকে আক্রমণ শানিয়ে পিকে চমকপ্রদ দাবিও করেছেন। কিশোরের কথায়, ”বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য সম্রাট চৌধুরি নিজেরই গলা কেটেছেন।”

আরারিয়ায় দাঁড়িয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ”বিহারে একজন নেতা, যার নাম সম্রাট চৌধুরি, তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নীতীশ কুমারকে পদ থেকে সরিয়ে দেবেন। কিন্তু উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভে সেই তিনিই নিজের মাথা ও প্রতিজ্ঞা দুটোই বিসর্জন দিয়ে দিয়েছেন। সম্রাট চৌধুরির একমাত্র লক্ষ্য ছিল নীতীশ কুমারকে হারানো, কিন্তু এখন দেখুন তাঁর লক্ষ্য কেবল উপমুখ্যমন্ত্রী থাকা।”

আরও পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যার জন্ম আছে কিন্তু ‘মৃত্যু’ নেই! নামটা জানেন? তাজ্জব হয়ে যাবেন নিশ্চিত!

স্বজনপোষন নিয়েও বিজেপিকে কোণঠাসা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। বলেছেন, ”সম্রাট চৌধুরি বিহারে নতুন নেতা নন। আগের মন্ত্রিসভাতেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি, কিন্তু মন্ত্রী থেকেও তিনি কী করেছেন? বিজেপির লোকেরা পরিবারতন্ত্র নিয়ে অনেক কথা বলেন, দয়া করে বলুন, কে এই সম্রাট চৌধুরি?” নিজেই জবাব দিয়ে পিকে বলেন, ”সম্রাট হল শকুনি চৌধুরির ছেলে। লালু প্রসাদ যাদবের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন শকুনি চৌধুরি। তিনি নীতীশ কুমার সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। এমনকি জিতন রাম মাঝি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও মন্ত্রী হয়েছিলেন। সম্রাট চৌধুরী কিন্তু আকাশ থেকে নামেননি।”

প্রশান্ত কিশোর রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়ে বলেন, ”বিহারের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে নীতীশ কুমারের। রাজনৈতিকভাবে নীতীশ কুমার এমনিতেই মরা সাপ। যেই তাঁকে গলায় পেঁচাবে, তাঁরই ক্ষতি হবে। নীতীশ কুমার নিজে ডুবে গিয়েছেন, যে তার সঙ্গে যাবে, সে’ও ডুববে।”

Prashant Kishor: ‘২০২৫-এর পর আর ক্ষমতায় থাকবেন না উনি’, বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর! কাকে নিয়ে করলেন ভবিষ্যদ্বাণী?

পটনা: লোকসভা ভোট মিটতেই এবার পুরোদস্তুর বিহার রাজনীতি নিয়ে পড়ে গেলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। জেডিইউ-এর জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠক নিয়ে নীতীশ কুমারকে তীব্র আক্রমণ করলেন জন সুরজ পদযাত্রার মূল হোতা প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, ”বিহারের জনগণ এবার নীতীশ কুমারকে এমনভাবে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেবে, যে কোনও কথা বলার মতো অবস্থায় থাকবেন না তিনি। আমি, প্রশান্ত কিশোর, আপনাদের প্রথমেই বলতে চাই, সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা কাজ কখনই বৃথা হবে না।”

পিকে-র দাবি, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যদি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত, তাহলে নীতীশ কুমারের গল্প ওখানেই শেষ হয়ে যেত। বিহারের মানুষও চায়, ২০২৫ সালের পর নীতীশ কুমার আর থাকবেন না। বিহারের মানুষ যদি বিহারের বাইরে গিয়ে কাজ করতে না চায়, তাহলে আমাদের নীতীশ কুমারকে হারাতে হবে।”

আরও পড়ুন: বিরাট-যুগ শেষ, T20-তে কোহলির ব্যাটন এবার কার হাতে? স্পষ্ট হয়ে গেল বিশ্বজয়ের পরই! কে সেই ক্রিকেটার?

শুধু নীতীশ কুমার নয়, তেজস্বী যাদব ও লালু প্রসাদ যাদবকেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করছেন তিনি। ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বছরের ২ অক্টোবর জন সুরাজ পার্টি গঠন করতে চলেছেন পিকে। বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোর তার দলের সংগঠনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছেন।

প্রসঙ্গত, তৃতীয় এনডিএ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতীশ কুমার৷ নীতীশের দল জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র সমর্থনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ প্রথম ভাবা হয়েছিল, সুযোগ পেয়ে নীতীশ হয়তো চাপে ফেলবেন বিজেপিকে৷ স্পিকারের মতো পদের দাবিও জানাতে পারে জেডিইউ৷ একান্ত তা না হলে রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানাবে নীতীশের দল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে পথে হাঁটেননি নীতীশ৷ বরং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়েই মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে জেডিইউ-এর মাত্র দু জন সাংসদের৷ তাও আবার সেররম উল্লেখযোগ্য কোনও মন্ত্রক পাননি তাঁরা৷ তা নিয়েও নীতীশকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।

Prashant Kishor: কোন ভয়ে কেন্দ্রে বড় মন্ত্রক চাইলেন না নীতীশ? বিস্ফোরক দাবি প্রশান্ত কিশোরের

নয়াদিল্লি: তৃতীয় এনডিএ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতীশ কুমার৷ নীতীশের দল জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র সমর্থনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ প্রথম ভাবা হয়েছিল, সুযোগ পেয়ে নীতীশ হয়তো চাপে ফেলবেন বিজেপিকে৷ স্পিকারের মতো পদের দাবিও জানাতে পারে জেডিইউ৷ একান্ত তা না হলে রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানাবে নীতীশের দল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে পথে হাঁটেননি নীতীশ৷ বরং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়েই মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে জেডিইউ-এর মাত্র দু জন সাংসদের৷ তাও আবার সেররম উল্লেখযোগ্য কোনও মন্ত্রক পাননি তাঁরা৷

কেন নীতীশ বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রক চাইলেন না, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ একটি সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘নীতীশ কুমার চাইলে বলতেই পারতেন যে বিহারের প্রতি জেলায় একটা করে কারখানা তৈরি করতে হবে অথবা বড় কোনও মন্ত্রক জেডিইউ-কে ছাড়তে হবে, নাহলে সমর্থন দেব না৷ , গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রকের দায়িত্ব যদি জেডিইউ-এর কেউ পান, তাহলে নিজের দলের মধ্যেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয়ে যাবে৷ এই ভয় থেকেই বিজেপির কাছে বড় কোনও মন্ত্রকের দাবি জানাননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷ নীতীশ শুধু বিজেপির শীর্ষ নেতাদের থেকে এই নিশ্চয়তা আদায় করতে চেয়েছেন যে তিনিই যেন ২০২৫-এর পরেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন৷’

আরও পড়ুন: রেলের বিরাট সুখবর! ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের বিশেষ নাম! রেলকে কুর্নিশ পরিবেশপ্রেমীদের

শুধু তাই নয়, প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন, বাধ্য হয়েই নীতীশ কুমারকে গিলতে হচ্ছে বিজেপিকে৷ কারণ নীতীশ সমর্থন তুলে নিলেই কেন্দ্রের সরকার পড়ে যাবে৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জেডিইউ থেকে দু জন মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন৷ মৎস্যপালন, পশুপালন, ডেয়ারি এবং পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন রাজীবরঞ্জন সিং৷ অন্যদিকে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জেডিইউ-এর রামনাথ ঠাকুর৷

Prashant Kishor: নতুন মোদি সরকার নিয়ে বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের! কদিন পরেই যা ঘটবে, চ্যালেঞ্জ পিকে-র!

পটনা: এবার প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় নীতীশ কুমার। মোদির মন্ত্রিসভায় বড় মন্ত্রিত্ব না চাওয়ার জন্য রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে সরাসরি নিশানা করেছেন। পিকে বলেন, ”নীতীশ কুমার তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ঠেকাতে বড় মন্ত্রকের দাবি থেকে সরে এসেছেন।”

প্রশান্ত কিশোরের দাবি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা করেছিলেন, তিনি যদি অন্য কাউকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেন, তবে এটি তাঁর নেতৃত্বের জন্য চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে। তাই, নীতীশ কুমার এমন একটি মন্ত্রককে পছন্দ করেছিলেন, যেখানে তিনি বিতর্ক বা অভ্যন্তরীণ বিরোধিতা ছাড়াই কাজ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই মেয়েরা পাবেন ২৫ হাজার টাকা! বাংলার এই প্রকল্প নিয়ে বিরাট নির্দেশ রাজ্য সরকারের

প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারে বিহার কোনও উল্লেখযোগ্য মন্ত্রিত্ব পায়নি, এমন অভিযোগের পরেই বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। যদিও এই অবস্থাকে রাজনৈতিক স্টান্ট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। এরপরই আসরে নামেন প্রশান্ত কিশোর। পিকে বলেন, নেতাদের তাঁদের কর্মক্ষমতা এবং জনসেবার জন্য তাঁরা কতটা উৎসর্গীকৃত, সেই ভিত্তিতে নেতাদের নির্বাচন করার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া উচিত।” তাঁর যুক্তি, শুধুমাত্র যারা সক্রিয়ভাবে জনগণের জন্য কাজ করে, তাদের পদে থাকা উচিত। কারণ নাগরিকদের সাংবিধানিক উপায়ে কাজ না করা নেতাদের অপসারণের অধিকার রয়েছে। প্রশান্ত কিশোর স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক লাভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নমূলক বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বানও জানান।

প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেছেন, আগামী ২ অক্টোবর তিনি দল গঠন করছেন। আর সেই দলের নাম হল জন সুরজ। দল গঠনের ঘোষণা করে প্রশান্ত কিশোর এবার একজোটে এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোটকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। প্রশান্ত কিশোর বলেন, ”আমরা আগামী ২ অক্টোবর দল গঠন করব। আমি লিখে দিচ্ছি, বিহারের মানুষ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোটকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। এবার জন সুরজকেই বিহারে জয়ী করবে জনগণ।”

প্রশান্ত কিশোরের কথায়, ”কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন, জন সুরজ কার ভোট কাটবে, এনডিএ নাকি ইন্ডিয়া, আমরা তাঁদের জানিয়ে দিচ্ছি, জন সুরজ এনডিএ এবং ইন্ডিয়াকে বিহার থেকে মুছে ফেলবে। কারণ জন সুরজ সম্পূর্ণভাবে বিহারের মানুষের সঙ্গে রয়েছে এবং মানুষও আমাদের সঙ্গে রয়েছে।”

Nitish Kumar as Prime Minister of India: নীতীশকে প্রধানমন্ত্রিত্বের টোপ? চাঞ্চল্যকর দাবি জেডিইউয়ের, খারিজ করল ইন্ডিয়া জোট

নয়াদিল্লি: মোদির তৃতীয় বার শপথগ্রহণের এক দিন আগে চাঞ্চল্যকর দাবি করল জেডিইউ। জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নেতা কে ত্যাগী দাবি করেন ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নীতীশ কুমারকে।

আরও পড়ুন: চিরাগ পাসোয়ান থেকে কুমারস্বামী- মোদির মন্ত্রিসভায় কারা? বাংলা থেকেই বা কে মন্ত্রী হতে পারেন?

ত্যাগী জানিয়েছেন প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে গুরুত্ব দেয়নি জেডিইউ। কারণ তারা এনডিএ-র সঙ্গে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই ইন্ডিয়া জোট থেকে যেই প্রস্তাবই আসুক না কেন তাতে জেডিইউ আগ্রহী হবে না। তিনি আরও জানান, যখন মন্ত্রকবণ্টন নিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, তখনই বিজেপিকে জানানো যে আগামী পাঁচ বছর বিজেপির নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে থাকবে জেডিইউ। তার মতে এনডিএ সরকারে কে মন্ত্রী হবে কে হবে না তা নরেন্দ্র মোদির বিবেচনাধীন। যদিও নীতীশকে প্রধানমন্ত্রীর পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব অস্বীকার করেছে ইন্ডিয়া শিবির।

শুক্রবারই এনডিএ জোটের নেতা হিসাবে মোদির নামে সিলমোহর দেয় জোট। তার পরেই তোরজোর শুরু হয় তৃতীয় বার মোদির মন্ত্রীসভা গঠন এবং শপথগ্রহণের। এনডিএ জোটের সেই সভায় নীতীশ কুমার প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি এবং তাঁর দল সব সময় এনডিএ সরকারে থাকবে।