Kolkata metro

Kolkata Metro Rail: ফ্যামিলি টাইমে জোর মেট্রোর মোটরম্যানদের, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করল রেল

কলকাতা: অন্ধকার সুড়ঙ্গ দিয়ে ছুটে চলেছে ট্রেন৷ কখনও আবার মাটির উপর দিয়ে ছুটছে ট্রেন। মেট্রো চালাতে গিয়ে কলকাতায় বিস্তর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় চালকদের। বাড়ছে মেট্রোর নেটওয়ার্ক। বাড়ছে মেট্রোর গতি। এই অবস্থায় মেট্রোরেলের চালকদের উপর বাড়ছে চাপ। কারণ মেট্রোয় মোটরম্যান কম বলে অভিযোগ তুলছে ইউনিয়নগুলি৷ এই অবস্থায় মেট্রো পথে চালকদের মনসংযোগে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তাই মোটরম্যান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করল রেল।

অতিরিক্ত কাজের চাপে নাজেহাল মেট্রোরেলের চালকরা। তার উপর তাঁরা যদি বাড়ি ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পান, তা হলে মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবেই।  সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। চালকরা যাতে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোন পান, মন-মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন, সে জন্য তাঁদের সহধর্মিনীদের কাছে সহযোগিতা চাইছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।এই লক্ষ্যে কলকাতা মেট্রোর চালকদের স্ত্রী ও পরিবারের লোকেদের বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মানসিক চাপ কমাতে চালকদের নিয়মিত যোগাভ্যাস এবং মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন মেট্রো কর্তারা।কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন চালানোর জন্য চালকদের মানসিক চাপমুক্ত থাকা সবার আগে দরকার। কারণ তাদের কাজে মস্তিষ্ক স্থির, গভীর মনসংযোগ দরকার। ট্রেনের সামনের ট্র্যাক খেয়াল রাখার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হয় সিগন্যালও। ক্ষণিকের ভুলে হতে পারে বড় বিপদ।

মেট্রো চালক বা ট্রেন চালকদের উপর সমস্ত যাত্রীদের সুরক্ষার দায়িত্ব থাকে। তাই তাদের প্রতিটা পদক্ষেপই অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে নিতে হয়। তাই সবার আগে দরকার মানসিক শান্তি। সেই শান্তির জন্য পারিবারিক জীবন ঠিক থাকা সবার আগে দরকার। বাহানাগা সহ একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে চালকদের ক্লান্তি, অবসাদের বিষয়টি প্রকটভাবে উঠে এসেছিল। এবিষয়ে মেট্রো চালকদের আগেই সচেতন করেছিল কর্তৃপক্ষ। এবার তাদের পরিবারকেও সচেতন করার উদ্যোগ নিল কলকাতা মেট্রো তবে চালকদের ক্লান্তি-অবসাদের অন্যতম কারণ লোকবল বলে দাবি করছেন কর্মীরা। কারণ- রেল হোক বা মেট্রো দুই ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় চালকের সংখ্যা কম বলে দাবি কর্মীদের। প্রায়ই চালকেরা আট ঘণ্টা কাজের পরেও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর। তাই কর্মী অপ্রতুলতার উপরও জোর দিতে দাবি জানিয়েছেন মেট্রো কর্মীরা। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা চালক ও তাদের পরিবারের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই কথা বলি৷ আর অতিরিক্ত চাপ নেই৷ মেট্রোয় যথাযথ কর্মীও আছে৷