পর্বত

North 24 Parganas News: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভারেস্ট জয়! ফের সেই নেশাতেই ঘর ছাড়ছেন বাংলার পর্বতারোহী

উত্তর ২৪ পরগনা: দু’বারের প্রচেষ্টায় ছুঁয়েছেন এভারেস্টের চূড়া। পাহাড় জয়ের নেশায় আবারও যাত্রা শুরু করছেন হৃদয়পুরের কৈলাস নগরের বছর ৫২ বাসিন্দা রমেশ রায়। তবে এবার আর মাউন্ট এভারেস্ট বা কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়, যাচ্ছেন মাউন্ট কুন এবং পিনাকেলের উদ্দেশে। ২৩২১৮ ফিট উচ্চতার ৭০৭৭ মিটারের এই মাউন্ট কুনের পাশাপাশি ৬৯৫৫ মিটারের মাউন্ট পিনাকেলের চূড়া স্পর্শ করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এই পর্বতারোহী।

বৃহস্পতিবার যাত্রা শুরু করছেন পর্বতারোহী রমেশ। ইতিমধ্যে গন্তব্য রুট ঠিক হয়েছে, দিল্লী হয়ে লে, কার্গিল সেখান থেকেও ১০০ কিলোমিটার দূরে সপথ নালা থেকে হাঁটা পথে পর্বত জয়ের যাত্রা শুরু করবেন তাঁরা। আর তার জন্যই এখন চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। তার এই পর্বত জয়ে যাওয়ার আগে রমেশকে বিশেষ সংবর্ধনা দিল বারাসাত ভেটারানস স্পোর্টস ক্লাব। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় ভূগোল বইয়ের পাতায় বিভিন্ন পর্বতের বিষয়ে জানার পর থেকেই পর্বত আরোহণের চিন্তা মাথায় আসে রমেশের। সেই থেকে নিজের স্বপ্নকে ছুঁতে চাইতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেন।

২০০২ সালে প্রথম হিমাচল প্রদেশের ফাওড়া রাং দিয়ে যাত্রা শুরু তাঁর। এরপর ২০০৫ সালে নন্দা ঘুন্টি, ২০০৬ সালে মাউন্ট শিবা, ২০০৭ সালে মাউন্ট কমেট, ২০১০ সালে গঙ্গোত্রী ওয়ান, ২০১১ এ মনিরাং, ২০১৫ সালে রামজাক-সহ একাধিক পাহাড় জয়ের সাফল্য। অবশেষে ২০১৫ সালে মূল লক্ষ্য মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোলেও ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। নেপালে ভূমিকম্পের জন্য বেস ক্যাম্পের আগের থেকেই ফিরে আসতে হয় রমেশকে। ভেস্তে যায় মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান। কিন্তু তাতেও হাল ছাড়েননি এই পর্বতারোহী। থেমে না থেকে ২০১৬ সালে  ফের মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে যান তিনি। সেই বার সফল হয়ে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ স্পর্শ করে তাঁর জীবনে পর্বতারোহনের ক্ষেত্রে মাইল ফলক তৈরি করেন।

আরও পড়ুন: ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দারুণ সুযোগ, জানুন

আরও পড়ুন: পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে আপত্তি, প্রতিবাদে মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হকারদের

২০১৯-এ পর্বত আরোহণের নানা বিপজ্জনক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেও, কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেন এই পর্বতারোহী। তবে সেবার যেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর সঙ্গী দু’জন পর্বত আরোহী কুন্তল এবং বিপ্লবের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা যেন এখনও তরতাজা রমেশের স্মৃতিতে। পর্বতারোহণেরর ক্ষেত্রে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই শৃঙ্গজয়ের নেশায় বড় ভূমিকা পালন করে একজন দক্ষ শেরপার অভিজ্ঞতা। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়েই নতুন প্রজন্মের পর্বত আরোহীদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজর রাখার পরামর্শ দিলেন শৃঙ্গজয়ী পর্বত আরোহী রমেশ। জেলার এই পর্বত আরোহীর লক্ষ্য পূরণের সাফল্য কামনায় দেখা গেল বারাসাতের বিশিষ্ট নাগরিকদের।

রুদ্র নারায়ণ রায়