বর্ষাকালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কী করবেন! দেখে নিন নিয়ম

কলকাতা: ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ, যা সারা জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের আবহাওয়া অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে জটিলতা এড়ানো যায়। মানুষ বর্ষাকাল খুব পছন্দ করলেও এই ঋতুতে নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের বৃষ্টিতে আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বর্ষাকালে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় বলে মনে করেন কেউ কেউ। এটা কি সত্যিই ঘটে? আসুন ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে সত্যতা জেনে নেওয়া যাক।

দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং সিনিয়র চিকিত্সক ডাঃ অনিল বনসাল নিউজ এইট্টিনকে বলেছেন যে বর্ষাকাল স্বাস্থ্যের জন্য খুব কঠিন বলে মনে করা হয়, কারণ এই ঋতুতে ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক স্থানে জলে ভর্তি থাকায় মশার বংশবৃদ্ধি ও মশা নানা রোগ ছড়াতে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের বৃষ্টিতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এই ঋতুতে তাপমাত্রার পরিবর্তন, অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং ঘাম শরীরে প্রভাব ফেলে। এই কারণে, রক্তে শর্করার ওঠানামা দেখা যেতে পারে।

ডাক্তার বলেছেন, বৃষ্টির সময় মানুষ কম জল পান করে, যার কারণে প্রায়ই জলশূন্যতা দেখা দেয়। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা ব্যাহত হতে পারে। এমন অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের বর্ষায় দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। এছাড়াও, খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বর্ষাকাল সরাসরি রক্তে শর্করার পরিবর্তন ঘটায় না, তবে কিছু ভুল সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বৃষ্টির সময় লোকেদের প্রতিদিন তাদের চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত এবং ডাক্তারের দ্বারা নির্ধারিত ওষুধ সময়মতো গ্রহণ করা উচিত।

বর্ষাকালে চিনির মাত্রা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন –

– ঘরে তৈরি তাজা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
– ফল এবং শাকসবজি খান, তবে ভালভাবে পরিষ্কার করুন।
– বর্ষাকালেও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
– অতিরিক্ত আর্দ্রতা এড়িয়ে চলুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে থাকুন।
– এই ঋতুতে মশা এবং ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
-ডায়াবেটিক রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফ্লু ভ্যাকসিন পেতে পারেন।
– ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ এবং ইনসুলিন খান।
– ব্যায়াম করার সময় বা বাইরে যাওয়ার সময় আপনার পায়ের বিশেষ যত্ন নিন।