প্রত্যেকটা মানুষই সুস্থ এবং ফিট থাকতে চায়৷ বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সুস্থ থাকাই মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত৷ বয়স বাড়লে সেই অনুযায়ী শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষমতাও কমতে থাকে। ৩০ বছর বয়সের পর থেকেই মহিলাদের মধ্যে হাড় ও ক্যালসিয়াম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণে, শুরু থেকেই খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা খুব প্রয়োজন৷ তাহলে দীর্ঘ সুস্থ জীবন লাভ করা যায়৷ আসুন জেনে নিই এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।হার্ভার্ড হেলথ রিপোর্ট অনুযায়ী, হাড় মজবুত করার জন্য মানুষের দুধ, দই, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই জিনিসগুলি ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। দুগ্ধজাত খাবারে প্রভূত পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। এই দু’টি জিনিস হাড়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকেরই দুধ বা দুগ্ধজাত জিনিসে সমস্যা থাকে, যাকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বলা হয়৷ সেক্ষেত্রে, অবশ্য ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য অন্য খাবারের উপরে নির্ভরশীল হতে হয়৷দুগ্ধজাত পণ্য ছাড়াও কিছু ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। মাত্র ১ কাপ বাদামে ৩৮৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে, যা আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়। শুধু একটি জিনিস সবসময় মনে রাখবেন যে বাদামে ক্যালোরি এবং চর্বিও রয়েছে। সেই কারণে খুব বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া উচিত নয়।চিয়া সিড খাওয়াও হাড় মজবুত করার জন্য ভাল। চিয়া বীজকে ক্যালসিয়ামের ভাল উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২ চা চামচ চিয়া সিডসে প্রায় ১৭৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। চিয়াতে বোরনও রয়েছে, যা শরীরকে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম বিপাক করতে সাহায্য করে। এটি হাড়ের পাশাপাশি পেশি শক্তিশালী করতে পারে।সয়াবিনকে সাধারণত প্রোটিনের একটি ভাল উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ তবে, অনেকেই জানেন না যে এতে ক্যালশিয়ামও থাকে। আধা কাপ সয়াবিনে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকতে পারে। এ ছাড়া, সূর্যমুখী বীজ, ব্রকোলি, তিল, মিষ্টি আলু, ঢেঁড়শ এবং কমলালেবু-সহ অনেক কিছুতেই ভাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।আপনি কি কখনও ডুমুর খেয়েছেন? যদি না হয়, তাহলে অবশ্যই একবার চেষ্টা করে দেখুন। শুকনো ডুমুর ক্যালশিয়ামের ভাণ্ডার হিসাবে বিবেচিত হয়। ১ কাপ ডুমুরে ২৪১ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। ডুমুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ থেকে রক্ষা করে। ডুমুর খাওয়া শুধু হাড়ই মজবুত করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করতে পারে। আধা কাপ শুকনো ডুমুরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ আধা কাপ দুধের সমান৷ ডুমুর ফ্যাট, সোডিয়াম এবং কোলেস্টেরল মুক্ত।৭. Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষের শরীর এবং তাঁদের রোগের ধরন আলাদা৷ কোনও নতুন জিনিস ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
