Magical Leaves Benefits: বর্ষাকালে ঘরদোরে বাড়ছে পোকামাকড়ের উপদ্রব? জংলি এই পাতাই তাড়াবে মশা থেকে পোকামাকড়, ওষধি গুণও মারাত্মক

ঝাড়খণ্ড: ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলা বন, গাছপালা, নদী এবং পুকুরে পরিপূর্ণ। এখানে চারদিকে বন এবং সবুজ গাছপালা দেখতে পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে সিন্দওয়ার নামের একটি উদ্ভিদ রয়েছে। এটি অনেক স্থানে নির্গুন্ডি নামেও পরিচিত। এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এই গাছের অন্যান্য নাম সাম্মালু, শিবরি, নিশিন্দা, শেফালি নামেও পরিচিত। গাছটি উচ্চতায় প্রায় ১০ ফুট।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. পঙ্কজ কুমার লোকাল 18-কে জানান যে, নির্গুন্ডি গাছ ঝাড়খণ্ডে সিন্দওয়ার নামে পরিচিত। ঝাড়খণ্ডে প্রচুর পরিমাণে নির্গুন্ডি গাছ পাওয়া যায়। গুল্ম জাতীয় এই উদ্ভিদটি আয়ুর্বেদে অত্যন্ত ওষধি গুরুত্বসম্পন্ন বলে মনে করা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই এর ব্যবহার জানেন না।

নিশিন্দা গাছ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ শরীরকে যে কোনও ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যাজমা অর্থাৎ হাঁপানি সংক্রান্ত বহু ধরনের রোগে যথেষ্ট উপকারী হিসাবে পরিচিত নিশিন্দা গাছ৷

আরও পড়ুন: ‘কাল ভেরি স্পেশাল সেশন,’ শপথগ্রহণ নাটকের কি এবার যবনিকা পতন? বিমানের গলায় চ্যালেঞ্জের সুর

শরীরে খিঁচুনি, জয়েন্টে ব্যথা, হাতেপায়ে  ফোলাভাব ইত্যাদি রোগেও এই গাছটি ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের নানা রোগে নিশিন্দা গাছের পাতার ক্বাথ বা বীজ ব্যবহার করলে উপশম পাওয়া যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, এই গাছের সমস্ত অংশই গুরুত্বপূর্ণ।

যাঁদের প্রস্রাব করার সময় অসুবিধা এবং জ্বালার মতো সমস্যা হয়, তাঁরাও এটি ব্যবহার করতে পারেন। রক্ত সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যধি সারাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, এটি রক্ত পরিশোধন করে। মূলত, শরীরের স্নায়ু সুস্থ রাখা এবং স্নায়ুতন্ত্র সংক্রান্ত সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। সেখানে এটি নার্ভ টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটির পাতার ক্বাথ, শুকনো পাতার গুঁড়ো এবং ট্যাবলেট নানা রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন: হারতে চলেছেন ঋষি সুনক? ‘৪০০ আসন পার’ করে সমীক্ষায় লেবার পার্টির জয়ের ইঙ্গিত…ব্রিটেনে শুরু ভোট

ঝাড়খণ্ডে, এটি রাস্তার ধারে ধারে, বিশেষ করে গুমলার আশেপাশের ঝোপে আকছাড় পাওয়া যায়। যে সমস্ত এলাকায় বেশি মশা রয়েছে, সেখানে এর পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো বানিয়ে পোড়ালে ওই জায়গা থেকে মশারা পালিয়ে যায়। বর্ষাকালে প্রচুর ছোট ছোট পোকামাকড় ও মথ উড়তে থাকে। সেখানে এই গাছের পাতা আলো বা বাল্বের কাছে রেখে দিলে পোকামাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।