তৈরি হচ্ছে রাস্তা

Doklam China-India Border: জলপাইগুড়ি থেকে আরও দ্রুত সিকিম পৌঁছতে পারবেন, নতুন সড়কের ফলে আর কী কী সুবিধা?

জলপাইগুড়ি: সহজ হচ্ছে ভারত-চিন সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবার ডুয়ার্স থেকে সহজেই যাওয়া যাবে ডোকলাম। জলপাইগুড়ি থেকে ভারত-চিন সীমান্ত ডোকলাম পর্যন্ত নির্মীয়মাণ অত্যাধুনিক সড়ককে ঘিরে বাড়ছে আশা-আকাঙ্ক্ষা। জলপাইগুড়ি থেকে ডোকলাম, যেটি কয়েক বছর আগেই একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে বিরোধের সাক্ষী ছিল।

জলপাইগুড়ির খুনিয়া মোড় থেকে নকশাল, ঝালং, পারেন, টোডে, টাংটা, অরিতার, রঙ্গলি, জুলুক, নাথাং ভ্যালি, কুপুপ এবং জেলেপ লা হয়ে সিকিমের ডোকলাম পর্যন্ত নতুন ১৭৯ কিলোমিটার রাস্তাটি বর্তমান রাস্তার সারিবদ্ধকরণের বিকল্প হবে। যার উল্লেখযোগ্য অংশ ভুটানের মধ্যে দিয়ে যায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নতুন রাস্তাটি চালু হয়ে গেলে এটি সিকিম এবং ডোকলামে ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে এবং প্রতিরক্ষা যানবাহনের জন্য আরও ভাল লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে।

আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত সম্প্রীতি উড়ালপুল! গার্ডওয়ালে ধাক্কা… সব শেষ! ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ২

জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি থেকে নাথুলা যাওয়ার রাস্তার কাজ শুরু করার পরে (NH 717A) ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড NH 31C-তে জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত চাপরামারি জঙ্গলের খুনিয়া মোড় থেকে ডোকলাম পর্যন্ত সংযোগ করার জন্য নতুন যে কোনও আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারবে এমন রাস্তা তৈরি করা শুরু করেছে।

এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির সাংসদ ড. জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, এই পথটি ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হয়ে যাবার কথা, নতুন এই পথ চালু হলে একদিকে যেমন চীন সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার যানবাহনের ক্ষেত্রে আরও বেশি লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়বে। এর পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে দিয়ে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার সময় কমে আসবে। অপরদিকে, খুনিয়া মোড় থেকে নির্মীয়মাণ নতুন সড়কের ব্যাপারে আশাবাদী এলাকাবাসী।

এই প্রসঙ্গে বাপি সূত্রধর বলেন, ”এই পথ চালু হলে পর্যটন বাড়বে, এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে, আমরা চাই দ্রুততার সঙ্গে এই সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলুক।”

সুরজিৎ দে