মালদহ: কলকাতার পর জেলা শহরেও জবরদখল উচ্ছেদে কড়া অবস্থান নিল প্রশাসন। জবর দখলে পার পেল না তৃণমূল পার্টি অফিস। একইসঙ্গে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পার্টি অফিসের পাশে থাকা ক্লাব ঘর। পুরাতন মালদহে জবরদখল উচ্ছেদ প্রশাসনের। ভাঙা হল শাসকদলের একটি অফিস এবং একটি ক্লাবের পাকা ঘর।
মঙ্গলবাড়ি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দু’টি অবৈধ পাকা নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে শুক্রবার ওই এলাকায় অভিযান চালায় প্রশাসন। পুরাতন মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সামুন্ডাই কলোনি এলাকায় আর্থ মুভারের সাহায্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি ক্লাব ঘর ও একটি দলীয় কার্যালয়।
আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই অভিযানের প্রতিবাদ করেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সভাপতি অঞ্জন হালদার। তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পার্শ্ববর্তী পেট্রোল পাম্প মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি পাকা ঘর ভাঙা হয়েছে। অথচ, মঙ্গলবাড়ির একই এলাকায় জাতীয় সড়কের দুই ধারে প্রচুর পাকা ঘর রয়েছে। সেগুলি ভাঙা হচ্ছে না।
এই অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুমন দেবনাথ জানান, পাশের একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। সেই পাম্প কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে মামলা করেছিল। তারই ভিত্তিতে মালদহ প্রশাসনকে দেওয়া উচ্চআদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বেআইনি কিছু করা হয়নি।
যদিও জবরদখল উচ্ছেদ অভিযানে তৃণমূল পার্টি অফিস এবং ক্লাব ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ক্ষুব্ধ পুরাতন মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান বিভূতি ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জবরদখল অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি পার্টি অফিস বা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি। আগাম নোটিস দেওয়া উচিত ছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপের কথাও ভাবা হবে।