প্রতীকী ছবি৷

Uttar Pradesh news: পঞ্চায়েত, পুলিশ ঝামেলা মেটাতে ব্যর্থ! মালিক কে, নিজেই চিনিয়ে দিল মোষ

প্রতাপগঞ্জ: মোষের মালিকানা কার? তার মীমাংসা করতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় থানা পর্যন্ত৷ শেষ পর্যন্ত যাকে নিয়ে টানাপোড়েন, সেই মোষটিই যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে দিল৷

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে৷ তবে মোষের মালিক খুঁজে বের করতে মাথা খাটিয়েছিলেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাই৷

মোষের মালিকানা নিয়ে এই গন্ডগোল প্রথমে গড়ায় গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে৷ সেখানে মিটমাট না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়৷ শেষ পর্যন্ত মোষের আসল মালিককে খুঁজে বের করতে সেটিকে রাস্তায় ছেড়ে দেন থানার পুলিশকর্মীরা৷ কিছুক্ষণ রাস্তায় ঘোরাঘুরির পর মোষটি নিজে থেকেই তার আসল মালিকের বাড়িতে চলে যায়৷ এর পরই মোষের মালিকানা নিয়ে টানাপোড়েনের নিষ্পত্তি হয়ে যায়৷

আরও পড়ুন: ঘুমিয়েছিলেন গৃহবধূ, ঘরে ঢুকেই যা করলেন শ্বশুর…, সাতসকালে শিউরে উঠল ভদ্রেশ্বর

এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহেশগঞ্জ থানার অন্তর্গত রাই অসকরনপুর গ্রামের বাসিন্দা নন্দলাল সরোজের একটি মোষ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল৷ ওই ব্যক্তির অভিযোগ, মোষটি কোনওভাবে পাশের পুরে হরিকেশ গ্রামে ঢুকে পড়েছিল৷ তখন সেখানকার বাসিন্দা হনুমান সরোজ সেটিকে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ৷

বেশ কয়েকদিন খোঁজাখুঁজির পর মোষটির খোঁজ পান নন্দলাল৷ কিন্তু হনুমান নামে ওই ব্যক্তি মোষটিকে ফেরাতে রাজি হননি৷ এর পরেই নন্দলাল মহেশগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়ে মোষ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন৷

বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতও বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়৷ তার পরেও সমাধানসূত্র বেরোয়নি৷ শেষে মহেশগঞ্জ থানার প্রধান আধিকারিক মাথা খাটিয়ে একটি উপায় বের করেন৷ পঞ্চায়েতের সামনেই তিনি জানান, মোষটির আসল মালিক কে, তা মোষটি নিজেই ঠিক করবে৷ ঠিক হয়, মোষটিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর সেটি যার বাড়িতে প্রথমে যাবে, তাঁকেই মোষের আসল মালিক বলে ধরে নেওয়া হবে৷

সেই মতো থানা থেকে মোষটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ থানা থেকে বেরিয়ে মোষটি সোজা রাই অসকরনপুর গ্রামের দিকে এগোতে থাকে৷ তার পর সোজা সেটি নন্দলালের বাড়িতে চলে যায়৷ এর পরই মোষটিকে নন্দলালের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷