Tag Archives: Uttar Pradesh

সামনে এল মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলের বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট, তাদের নম্বর দেখলে চমকে যাবেন !

সম্প্রতি ICSC বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের রেজাল্টও বেড়িয়েছে। এর মধ্যে মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলের রেজাল্ট সামনে এল। বড় ছেলে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ছোট ছেলে বসেছিলেন দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায়।
সম্প্রতি ICSC বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের রেজাল্টও বেড়িয়েছে। এর মধ্যে মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলের রেজাল্ট সামনে এল। বড় ছেলে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ছোট ছেলে বসেছিলেন দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায়।
প্রয়াগরাজের মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলে, আহজাম আহমেদ এবং আবন আহমেদ। দুজনেই ৭০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আতিকের দুই ছেলের রেজাল্ট সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। উল্লেখ্য, আহজান এবং আবান, দু’জনেই প্রয়াগরাজের সেন্ট জোশেফ কলেজের ছাত্র। গত বছর পড়াশোনায় ছেদ পড়েছিল। পরীক্ষায় বসতে পারেননি। এই বছর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন আতিকের দুই ছেলে। উভয়ের রেজাল্টই সন্তোষজনক।
প্রয়াগরাজের মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলে, আহজাম আহমেদ এবং আবন আহমেদ। দুজনেই ৭০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আতিকের দুই ছেলের রেজাল্ট সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। উল্লেখ্য, আহজান এবং আবান, দু’জনেই প্রয়াগরাজের সেন্ট জোশেফ কলেজের ছাত্র। গত বছর পড়াশোনায় ছেদ পড়েছিল। পরীক্ষায় বসতে পারেননি। এই বছর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন আতিকের দুই ছেলে। উভয়ের রেজাল্টই সন্তোষজনক।
একদিনও স্কুলে যাননি: আতিকের দুই ছেলেরই গত বছর বোর্ড পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু বাবা ও কাকার মৃত্যুর কারণে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁরা। শুধু তাই নয়, গত বছর পুলিশ তাঁদের ধরে হোমে পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুজনেই আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান। আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই আহজান আহমেদ এবং আবান আহমেদ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। অ্যাকাডেমিক সেশনের একদিনও স্কুলে যেতে পারেননি। তবে সেন্ট জোশেফ কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, দু’জনেই সময়মতো তাঁদের সমস্ত প্রজেক্ট জমা দিতেন। File Photo
একদিনও স্কুলে যাননি: আতিকের দুই ছেলেরই গত বছর বোর্ড পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু বাবা ও কাকার মৃত্যুর কারণে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁরা। শুধু তাই নয়, গত বছর পুলিশ তাঁদের ধরে হোমে পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুজনেই আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান। আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই আহজান আহমেদ এবং আবান আহমেদ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। অ্যাকাডেমিক সেশনের একদিনও স্কুলে যেতে পারেননি। তবে সেন্ট জোশেফ কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, দু’জনেই সময়মতো তাঁদের সমস্ত প্রজেক্ট জমা দিতেন। File Photo
আতিকের দুই ছেলে কত নম্বর পেয়েছেন: দেশে একাধিক বোর্ড রয়েছে। তবে ICSC বোর্ডকে সবচেয়ে কঠিন মনে করা হয়। আতিকের দুই ছেলেই সত্তর শতাংশ নম্বর নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আহজাম ইংরেজিতে ৮২, হিন্দিতে ৮৩, ইতিহাসে ৭৭, ভূগোলে ৬০ এবং শরীরশিক্ষায় ৮০ নম্বর পেয়েছেন।
আতিকের দুই ছেলে কত নম্বর পেয়েছেন: দেশে একাধিক বোর্ড রয়েছে। তবে ICSC বোর্ডকে সবচেয়ে কঠিন মনে করা হয়। আতিকের দুই ছেলেই সত্তর শতাংশ নম্বর নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আহজাম ইংরেজিতে ৮২, হিন্দিতে ৮৩, ইতিহাসে ৭৭, ভূগোলে ৬০ এবং শরীরশিক্ষায় ৮০ নম্বর পেয়েছেন।
আবান ইংরেজিতে ৭৮, হিন্দিতে ৮২, ইতিহাস, নাগরিক বিজ্ঞান ও ভূগোলে মোট ৫৭, গণিতে ৩৪, সমাজবিজ্ঞানে ৪৯ এবং শরীরশিক্ষায় ৭৬ নম্বর পেয়েছেন। সেন্ট জোশেফ কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, আহজান আহমেদ এবং আবান আহমেদ ভাল ছাত্র। কঠোর পরিশ্রম করতেন। তাই দুজনেই পরীক্ষায় ভালভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বলে রাখা ভাল, আহজান এবং আবান, উভয়ই অফলাইন মোডে অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। File Photo
আবান ইংরেজিতে ৭৮, হিন্দিতে ৮২, ইতিহাস, নাগরিক বিজ্ঞান ও ভূগোলে মোট ৫৭, গণিতে ৩৪, সমাজবিজ্ঞানে ৪৯ এবং শরীরশিক্ষায় ৭৬ নম্বর পেয়েছেন। সেন্ট জোশেফ কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, আহজান আহমেদ এবং আবান আহমেদ ভাল ছাত্র। কঠোর পরিশ্রম করতেন। তাই দুজনেই পরীক্ষায় ভালভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বলে রাখা ভাল, আহজান এবং আবান, উভয়ই অফলাইন মোডে অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। File Photo

বড়বড় চুল, দাড়ি, শতচ্ছিন্ন পোশাক, আরপিএফের কাছ থেকে জল খেয়ে চোস্ত ইংরেজিতে চমকে দিলেন ‘ভিক্ষুক’!

কানপুর: উত্তর প্রদেশের কানপুরে অবাক করা ঘটনা। ২০২৪-এর ২৭ এপ্রিল। কানপুর সেন্ট্রালে টহল দিচ্ছিল আরপিএফের একটি দল (এসআই আসলাম খান, এসআই আরতি কুমারী এবং এএসআই হরিশঙ্কর তিওয়ারি)। হঠাৎ এক আরপিএফ ইন্সপেক্টরের নজরে আসে বড় দাড়ি, লম্বা চুলের, পরনে ময়লা শতছিন্ন পোশাক পরা এক ব্যক্তি এক ফোঁটা জলের জন্য আকুল হয়ে ঘুরছেন স্টেশনে।

একনজরে দেখে মনে হবে, ভিখারি বোধহয়। ইন্সপেক্টরও তাই ভেবেছিলেন। তাঁর কাছে একটা জলের বোতল ছিল। ওই ব্যক্তির দিকে সেটাই বাড়িয়ে দেন তিনি। কিন্তু জল খেয়ে তিনি যা বললেন, তাতেই চমকে ওঠেন ইন্সপেক্টর। জল খেয়ে মুখ মুছে স্পষ্ট ইংরেজিতে ব্যক্তি বলে ওঠেন ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। চমকে যান ইন্সপেক্টর। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে ‘ভিক্ষুকে’র আসল গল্প।

আরও পড়ুন– ‘শরীরে কী ঢুকিয়ে দিয়েছে জানি না’, হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শ্রেয়স তলপড়ে

২ বছর আগে অপহরণ: আরপিএফের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২ বছর আগে এই যুবককে অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁর নাম মহাবীর সিং। তিনি আউরিয়ার বাসিন্দা। ওই যুবক পুলিশকে জানান, বছর দুয়েক আগে তিনি এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এটিএমে টাকা না থাকায় তিনি পাশের একটি দোকানে যান। সেখান থেকে আধার কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলেন।

এরপর ওই যুবক জানান, টাকা তুলে বাড়ি যাবেন বলে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় একটা গাড়ি তাঁর সামনে এসে থামে। কয়েকজন বেরিয়ে আসে। তাঁকে চ্যাংদোলা করে তুলে গাড়িতে ঢুকিয়ে নেয়। তিনি জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে দেখেন, একটা বাথরুমে পড়ে আছেন। কিছুদিন পর তারা যুবককে একটা খনিতে নিয়ে যায়। সেখানে শ্রমিক হিসেবে খাটায়। সেখান থেকে কোনওরকমে পালান তিনি। ট্রেনে করে চলে আসেন কানপুর।

আরও পড়ুন– ঘুমোনোর সময় কানে এসেছিল এক অদ্ভুত শব্দ ! শৌচাগারের দরজা খুলতেই রীতিমতো মূর্চ্ছা গেলেন গৃহকর্ত্রী

পুলিশ ও বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ: এরপর আরপিএফ দল যুবকের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিধুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গোটা বিষয়টা জানানো হয়। বিধুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, যুবককে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ২ বছর পর বাড়ির ছেলের সন্ধান পেয়ে আর পিএফকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মহাবীরের পরিবার।

Viral Video: ট্রাক ভর্তি পশুর হাড়গোড়! যাচ্ছিল মেকআপ তৈরির কারখানায়, ভাইরাল ভিডিওয় বিতর্ক তুঙ্গে

লখনউ: মহিলারা মেকআপ করতে ভালবাসেন। এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তাছাড়া নিজেকে সুন্দর দেখতে কে না চায়। বাজারে (লোকাল) হাজার রকমের মেকআপ পাওয়া যায়। নিজেকে সাজাতে সে সব পণ্য ব্যবহার করেন মহিলারা। সৌন্দর্য বাড়ানোর চেষ্টা আর কি! কিন্তু এই সব মেকআপ কী থেকে তৈরি হচ্ছে ? একটি ভিডিও দেখে সত্যি অবাক হতে হয় !

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ18 বাংলা) ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ভিডিওটি কোন এলাকার, তা নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। তবে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি বলছেন, তিনি ট্রাক নিয়ে উত্তর প্রদেশ যাচ্ছেন। এত পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু সেই ট্রাকে হাড়গোড় বোঝাই করা রয়েছে। দুর্গন্ধ ছাড়ছে। এত হাড় কী হবে? তা প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন– ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা, রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা, তীব্র গরম থেকে মুক্তির অপেক্ষায় রাজ্যবাসী

মেকআপ কারখানার অন্ধকার সত্য: ভিডিওটি তুলেছেন, এলাকার কোনও যুবক। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক থেকে তীব্র কটু গন্ধ ভেসে আসে। তখনই আশপাশের লোক জমা হয়ে যান। তাঁরা ট্রাকটিকে থামান। ডালা খুলে ওঠেন। তখনই চোখ ছানাবড়া। ট্রাক ভর্তি পশুর হাড়গোড়। লোকজন ট্রাকে বসা ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘এসব নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?’’ উত্তরে তিনি বলেন, পশুর হাড়গোড় উত্তর প্রদেশের একটি কারখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে মেকআপ পণ্য তৈরি হয়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by The Nawakadal (@thenawakadal)

লিপস্টিক থেকে শুরু করে অন্যন্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হবে: ট্রাকে থাকা ব্যক্তি জানান, এইসব হাড়গোড় দিয়ে মেকআপের জিনিস তৈরি করা হয়। এ কথা শুনে অবাক হয়ে যান স্থানীয় লোকজন। তাঁরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি আরও বলেন যে এসব হাড় থেকে লিপস্টিক তৈরি করা হবে। তবে শুধু লিপস্টিক নয়, অন্যান্য মেকআপ আইটেমও তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন– এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?

এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। অধিকাংশ নেটিজেনরাই ভ্রু কুঁচকোচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই কারণেই তাঁরা দেশীয় পণ্য ব্যবহার করেন না। অনেকে আবার দাবি করছেন, ভুয়ো ভিডিও। ওই ব্যক্তি এক বর্ণও সত্যি কথা বলছেন না। কারণ লিপস্টিক তৈরিতে কখনওই হাড় ব্যবহার করা হয় না।

পরিবার মানেনি সম্পর্ক, থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন যুগল; তারপর যা হল…

চিত্রকূট: কথায় বলে, ‘স্বামী-স্ত্রী রাজি থাকলে কী করবে কাজি?’ আর এই কথাটাই আরও একবার ফলে গেল উত্তর প্রদেশের চিত্রকূট জেলায়! আসলে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন এক প্রেমিক-প্রেমিকা। অথচ তাঁদের দু’জনের বাড়ির লোক তাঁদের সম্পর্ক মানতে চাননি। অবশেষে পুলিশকেই অবতীর্ণ হতে হল ত্রাতার ভূমিকায়। থানাকেই পরিণত করা হয় বিয়ের মণ্ডপে ! পুলিশকর্মীদের তত্ত্বাবধানেই এক হয় তরুণ-তরুণীর চার হাত। আর মানিকপুর থানার অন্তর্গত দারাই চুরাহ কেশরুভা গ্রামের এই বিয়েই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- কলকাতায় রেকর্ড গরম ! আগামী রবিবার থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

আসলে লাভলেশ নামে এক ব্যক্তির কন্যা প্রভা এবং সুগ্রীব নামে এক ব্যক্তির পুত্র নীরজ প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রভা এবং নীরজ বিয়ে করে সংসার পাততে চেয়েছিলেন। এমনকী, তাঁদের সম্বন্ধও পাকা হয়। ওই বছরেই তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই মত বদল করেন লাভলেশ। তিনি কন্যা প্রভাকে অন্যত্র পাত্রস্থ করার কথা ভাবেন। রীতিমতো সম্বন্ধ করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই পরিস্থিতিতে মানিকপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রভা। কারও ইচ্ছাতে সম্বন্ধ করে বিয়ে করার বিষয়ে অভিযোগ জানান।

আরও পড়ুন– রেলস্টেশনে খিদে-তৃষ্ণায় কাতর যুবক; উদ্ধার করার পরে তাঁর পরিচয় জেনে চমকে গেলেন উদ্ধারকারীরা !

এরপরেই নড়েচড়ে বসেন থানার পুলিশকর্মীরা। ওই থানার ইনচার্জ রীতা সিং দু’জনের বাবা-মা, পরিবার এবং গ্রামবাসীদের থানায় ডেকে বোঝান। এমনকী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানান যে, প্রভা এবং নীরজ দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। অনেক বোঝানোর পর উভয় পক্ষই বিয়েতে রাজি হয়। এরপর আর কী! থানার শিব মন্দিরে তৈরি হয় বিয়ের মণ্ডপ। পণ্ডিত ডেকে রীতিমতো হিন্দু আচার মেনে চার হাত এক করে দেন তাঁরা। থানায় বিয়ের এহেন আয়োজন দেখে গোটা এলাকা আনন্দে মেতে ওঠে। বিবাহ শেষে দম্পতিকে সুখী জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানানো হয়।

আরও পড়ুন– থাকবে ৪০০ গেট আর ৫টি সমান্তরাল রানওয়ে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ হতে চলেছে দুবাইয়ের নয়া বিমানবন্দর; খরচ শুনলে মাথা রীতিমতো ঘুরে যাবে !

বিয়ের পর বর নীরজ বলেন, “মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। মেয়েটি বাড়িতে এসে জানায় যে, আজকেই বিয়ে করতে হবে। তারপর আমরা দু’জনেই থানায় পৌঁছে পুরো ঘটনা থানার ইনচার্জকে বলি। তিনিই আমাদের বিয়ে দিয়েছেন। আর এই বিয়েতে আমরা খুবই খুশি।”

নববধূ প্রভা বলেন, “আমি এই বিয়েতে খুবই খুশি। তবে আমার পরিবার মাস ছয়েক আগে এই বিয়ের আয়োজন করলে ভাল হত। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নীরজের বাড়িতে পৌঁছই। আমরা দু’জনেই একে অপরকে খুবই ভালবাসি। আসলে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’’

রেলস্টেশনে খিদে-তৃষ্ণায় কাতর যুবক; উদ্ধার করার পরে তাঁর পরিচয় জেনে চমকে গেলেন উদ্ধারকারীরা !

বারাণসী: বছর দু’য়েক আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক এসএসবি জওয়ান। আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁর খোঁজ মিলল বাড়ি থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। সেখানে এক হোটেলে বাসনকোসন মেজে তাঁকে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই এসএসবি জওয়ান আদতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। আর তাঁর নাম হল প্রভু।

আরও পড়ুন- সাফল্যের শিখরে থাকাকালীনই মুখ থুবড়ে পড়েছিল কেরিয়ার ! এমনকী বাঁচার ইচ্ছাটাও জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন; এখন ‘হিরামান্ডি’ নিয়ে আশাবাদী এই অভিনেতা

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাসখানেক আগে সঞ্জয় পাল নামে এক সমাজকর্মী ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক এসএসবি জওয়ানকে উদ্ধার করেছিলেন। স্টেশনে ওই জওয়ানকে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কষ্ট পেতে দেখা গিয়েছিল। ফলে উদ্ধার করে ওই যুবককে নিজের আশ্রমে নিয়ে যান সমাজকর্মী সঞ্জয় পাল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর আশ্রমেই চিকিৎসা চলেছে ওই জওয়ানের। যখন তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়, তখন জানা যায় যে, তিনি এসএসবি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০২২ সালে তাঁর মানসিক অবস্থার অবনতির কারণে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন– মিশরের পিরামিডকে সাক্ষী রেখে বিয়ে ! শিল্পপতি অঙ্কুর জৈন এবং এরিকা হ্যামন্ড ‘গ্র্যান্ড ওয়েডিং’-এর ছবি ভাইরাল

এদিকে তামিলনাড়ুরই একটি থানায় ওই জওয়ানের নামে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল প্রায় ২ বছর আগে। সমাজকর্মী সঞ্জয় জানান, এসএসবি জওয়ান প্রভুর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সব কিছু জানা যায়। তারপরেই তাঁরা দক্ষিণ ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানে অরুণ কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অরুণ কুমারকে এই জওয়ানের বিষয়ে জানানো হয়। সেখান থেকেই প্রভুর পরিবারের কাছে খবর যায়।

Bus Accident: ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা! ট্রাক এবং বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত কমপক্ষে ৬, আহত ২০ জনের বেশি

ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন, আহতের সংখ্যা ২০ জনের বেশি। হারদৈ-উন্নাও রোডের উপর জামালদিপুর গ্রামের কাছে বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও খবর: বৌদিকে ধর্ষণ দেওরের, শুনে স্ত্রীকে দুষে স্বামী বললেন, ‘তুমি আমার বৌ না’

সফিপুরের সার্কেল অফিসার ঋষিকান্ত শুক্লা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে ৬ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন, ২০ জন যাত্রী আহত। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কানপুর এবং উন্নাওয়ের জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ২০ জন যাত্রীর মধ্যে ১১ জনকে পাঠানো হয়ে কানপুর জেলা হাসপাতালে এবং বাকি ৯ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে উন্নাও জেলা হাসপাতালে। আঘাত যাদের তুলনামূলক ভাবে কম, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর: টাকার উপর শুয়ে আছেন রাজনৈতিক নেতা, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ভাইরাল ছবি

বাস দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করা গেলেও বাসচালক পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

Physical Harassment: বৌদিকে ধর্ষণ দেওরের, শুনে স্ত্রীকে দুষে স্বামী বললেন, ‘তুমি আমার বৌ না’

বৌদিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে দেওর, এমনই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নির্মম এই অত্যাচারের ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করে রাখে সে। স্বামী বাড়ি ফেরার পর দেওরের এই কুকীর্তির কথা স্বামীকে জানায় ধর্ষিতা স্ত্রী, আশা ছিল স্বামী দেওরের এই অপরাধের কথা জানার পর ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু দেওরকে নিয়ে তাঁর সেই অভিযোগই হয়ে গিয়েছে অপরাধ। পাল্টা বিপদে পড়তে হল স্ত্রীকেই।

আরও খবর: ১৬ বছর আগে শিশুর মৃত্যু, চিকিৎসার গাফিলতির জন্য ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হাসপাতালের

উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের ঘটনা। দেওরের নির্যাতনের কথা স্বামীকে জানানোর পরে স্বামী তো তাঁর পাশে দাঁড়ানইনি, উল্টে তিনি স্ত্রীকে বলেন, এখন থেকে তুমি আমার বৌ না, তুমি আমার বৌদি। উল্টে দেওরকে নিয়ে স্ত্রীর ঘরে ঢোকেন স্বামী, তারপরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে স্ত্রীর উপরেই নির্যাতন চালান স্বামী, এমনকি স্ত্রীকে খুনেরও চেষ্টা করেন স্বামী। ভাইকে নিয়ে স্ত্রীর ঘরে ঢুকে বৌকে মেঝেতে ফেলে তার বুকের উপরে উঠে পড়েন স্বামী। তারপরে ওড়না দিয়ে তার শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। এই পাশবিক ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে নির্যাতিতার দেওর।

আরও খবর: আইপিএলেও অন্যায়! বিসিসিআইয়ের কড়া শাস্তির কোপে ঈশান কিসান

বিষয়টি সামনে আসার পরেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের খাতাউলির কোতওয়ালি থানা নির্যাতিতার স্বামী এবং দেওরের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ, ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা এবং ৩২৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Mohammad Shami on Narendra Modi: ভোট দিতে এসে শামির মুখে মোদির নাম, কী বললেন ভারতীয় পেসার?

লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় আমরোহাতে ভোট দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামি। ২৬ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়, যার মধ্য়ে মিরাট, গাজিয়াবাদ, আলিগড়, মথুরা-সহ শামির আমরোহা কেন্দ্রও রয়েছে। তবে ভোট দিয়ে বেরিয়ে শামির মুখে উঠে এল মোদির প্রসঙ্গ।

আরও খবর: আগে ভোট, পরে বিয়ে! বরের পোশাকে ভোট দিতে এসে শিরোনামে মহারাষ্ট্রের তরুণ

শুক্রবার আমরোহায় ভোট দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মহম্মদ শামি বলেন, “আমি শুধু বলতে চাই প্রতিটা নাগরিকেরই ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের সরকার নির্বাচনের অধিকার রয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “এটা গর্বের ব্য়াপার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ভাষণ আমার নাম উল্লেখ করেছেন এবং আমার খেলার প্রশংসা করেছেন।”

আরও খবর: স্ত্রীর গয়নায় স্বামীর কোনও অধিকার নেই, স্ত্রীধন নিয়ে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে এক জনসভায় শামির ভূয়সী প্রশংসা করে মোদি বলেন, “সারা বিশ্ব ক্রিকেট বিশ্বকাপে মহম্মদ শামির দুর্দান্ত খেলা দেখেছে। ক্রীড়া জগতে শামির অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্জুন পুরস্কার দিয়েছে।” এছাড়াও ২৭ ফেব্রুয়ারি গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পর শামির আরোগ্য কামনা করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমরোহার জনসভায় মোদি শামিকে নিয়ে যা বলেছিলেন শামি ভোটের দিন সেই প্রসঙ্গেই তুলে আনলেন মোদির কথা।

বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন কনে; এরপর যা কাণ্ড ঘটালেন… বেঁকে বসলেন বরও!

সন্দীপ মিশ্র, সীতাপুর: সামনেই বিয়ে। তাই জোরকদমে তোড়জোড় চলছিল বাড়িতে। কিন্তু বরযাত্রীরা আসার আগেই ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিয়ের আগের দিনই রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন হবু কনে। বাড়ির মেয়ে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

পরে জানা যায় যে, ওই হবু কনে আসলে নিজের প্রেমিকের সঙ্গেই ইলোপ করেছেন। এমনকী, পালানোর সময় নিজের গয়নাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। উত্তর প্রদেশের সীতাপুরের কোতোয়ালি এলাকার মাহমুদাবাদের ঘটনা।

আরও পড়ুন– আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি জানানো হয়েছে এক অনন্য আবেদনও! ভোটের মরশুমে পুলিশকর্মীর বোনের বিয়ের কার্ড নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ১৮ এপ্রিল ধুমধাম করে মাহমুদাবাদের ওই তরুণীর বিয়ের আসর বসার কথা ছিল। ফলে বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। কিন্তু বরযাত্রী হইহই করে তরুণীর বাড়ি পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যান তিনি। সকালে মেয়েটির বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে হতবাক হয়ে যায় তাঁর পরিবার।

ইতিমধ্যেই অবশ্য জানা গিয়েছে যে, ওই তরুণীর প্রেমিক তাঁর পাড়াতেই থাকেন। প্রাথমিক ভাবে পরিবারের লোকজন পাত্রীকে খোঁজার চেষ্টা করলেও তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর কোনও উপায় না দেখে তরুণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশের কাছে জানায়।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, অরুণ নামে একটি ছেলে তাঁদের বাড়ির মেয়েকে ফুঁসলে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে গিয়েছে। এমনকী ওই তরুণী নিজের ঘরে রাখা গয়নাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

আরও পড়ুন- ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই এটা হয়েছে, এর জন্য দলকে কেন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে?’ এসএসসি মামলার রায় ঘোষণার পরে বিস্ফোরক কুণাল

কোতোয়ালি ইনচার্জ অনিল সিং জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ, মেয়েটির এই সম্পর্ক মেনে নেননি তাঁর মা-বাবা। সেই কারণে মা-বাবার অমতেই মেয়েটি নিজের প্রেমিকের সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তাই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি।
ঘরের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, মেয়েটির আসল উদ্দেশ্য তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। কারণ বিয়ের আগের দিন তাঁকে বেশ প্রফুল্লই দেখাচ্ছিল। এমনকী, সারাদিন সকলের সঙ্গে সুন্দর ভাবে কথাও বলছিলেন তিনি। অথচ কোথা থেকে কী হয়ে গেল, তা বুঝে উঠতে পারছে না তরুণীর পরিবার।

এদিকে হবু কনের পালিয়ে যাওয়ার খবর চাউর হতেও বেশি সময় লাগেনি। ফলে অবিলম্বে বরের বাড়িতেও সেই খবর পৌঁছে যায়। ফলে এই বিয়ে করতে অস্বীকার করেন খোদ হবু বরও।

বার্ধক্যের গতি কমাতে সক্ষম এই একটি গাছ! বলছে আয়ুর্বেদের নিদান

সৌরভ ভার্মা, রায়বরেলি: প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হত প্রাকৃতিক নানা উপাদান। যার মধ্যে অন্যতম হল নানা ধরনের গাছ-গাছড়া। ঔষধি গুণ সম্পন্ন নানা ধরনের গাছের কথা জানেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।

কিছু কিছু গাছের কথা, তাদের ঔষধি গুণের কথা সাধারণ মানুষও জানেন। যেমন, তুলসী, আমলকি, গুলঞ্চ ইত্যাদি। আবার এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যাদের কথা আমরা জানি না।

আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে প্রচারে মিঠুন, মহাগুরুকে মাঠে নামিয়ে শেষ বেলার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই সব গাছ-গাছড়া যেকোনও পরিবেশে, নিতান্ত অযত্নে বেড়ে ওঠে। হয়তো মানুষের বিরক্তির কারণও হয়ে ওঠে। তাই আগাছা বলে নষ্ট করেও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই গাছই আসলে আয়ুর্বেদে অত্যন্ত সমাদৃত। এমনই একটি গাছ হল ‘ম্যাকয়’।

বাত, পিত্ত, কফ— ত্রিদোষ নাশক বলে মনে করা হয় একে। এই গাছের শিকড় থেকে তৈরি ক্বাথ শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে ধ্বংস করতে পারে। এমনকী মনে করা হয় এই ক্বাথ বার্ধক্য রোধ করতেও সক্ষম। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এটি ‘কাকমাচি’ নামেও পরিচিত। সাধারণত যেকোনও ছায়াযুক্ত এলাকায় জন্মায় এই গাছ। এর ছোট ছোট ফল মটরশুঁটির মতো ছোট ছোট, কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে বেগুনি বা লাল রঙের হয়ে যায়। অনেক সময় হলুদও হয়। এই গাছের উচ্চতা সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত হতে পারে।

আগাছার মতো বেড়ে ওঠা এই গাছ যেকোনও ঝোপঝাড়ে দেখা যায়। শুধু বনাঞ্চলই নয়, চাষের মাঠে, বসত বাড়ি বা পাকা রাস্তার ধারেও গজিয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন– ‘রাজফল’ খেয়েছেন? গরমকালেই পাওয়া যায়, ক্যানসার ও মৃগী রোগীদের জন্য উপকারি

এই গাছের রয়েছে দারুণ উপকারিতা। রায়বরেলি জেলার সিএইচসি শিবগড়ের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আকাঙ্ক্ষা দীক্ষিত বলেন, এটি বাত, পিত্ত ও কফ নাশকারী ওষুধ। এই তিনটি উপাদানের কোনও একটির পরিমাণ শরীরে কম বা বেশি হলেই অসুস্থতা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে এটি কাজে লাগে।

পাশাপাশি এটি পৌরুষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর শিকড় থেকে তৈরি ক্বাথ শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে ধ্বংস করে এবং বার্ধক্যের গতিও কমিয়ে দেয়। কুষ্ঠ ও জ্বরের চিকিৎসায়, শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে, কিডনি রোগ, পাইলস, জন্ডিস, ডায়েরিয়া-সহ নানা ধরনের চর্মরোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়।

(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)