বিনোদন Bollywood Gossip: বিয়ের আগে গম্ভীর রোগ ছিল দিলীপ কুমারের, স্বামীর মৃত্যুর ৩ বছর পর সত্যি সামনে আনলেন, বললেন, উনি গোটা রাত… Gallery July 8, 2024 Bangla Digital Desk বলিউডের একসময়ের অভিনয় সম্রাট নামে পরিচিত ছিলেন৷ তাঁর মৃত্যুর পর তিন বছর হয়ে গেল। দীর্ঘ বার্দ্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি মারা যান। তাঁর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করছেন তাঁর ফ্যানরা৷ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্ত্রী ও অভিনেত্রী সায়রা বানু একটি আবেগঘন পোস্ট লিখেছেন। সায়রা তাঁর পোস্টে দিলীপ কুমার সম্পর্কিত অনেক মজার গল্প উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে অভিনেতার স্বাস্থ্য নিয়ে চমকপ্রদ তথ্যও দিয়েছেন তিনি। তিনি তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, বিয়ের আগেই দিলীপ কুমার গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এ কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারতেন না৷ দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন সায়রা বানু। এখন তিনি লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। সায়রা, যিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে একাকীত্বের যন্ত্রণার মুখোমুখি হচ্ছেন, দিলীপ কুমারের সঙ্গে তাঁর ভক্তদের স্মৃতি ভাগ করে নেন। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন৷ দিলীপ কুমারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে, সায়রা লিখেছেন, ‘আমি এই নোটটি লিখে আমার ভালবাসা প্রকাশ করছি, যাতে আমি তাঁর সমস্ত ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রিয় বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে পারি, যাঁরা প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমাদের সমর্থন করেন। আমি খুশি যে তাঁরা সবাই আমাদের বিশেষ তারিখ মনে রেখেছে। এর সঙ্গে পরলোকগত জীবনে তাঁর নিরাপত্তার জন্যও প্রার্থনা করেন। কারণ দিলীপ সাহেব ছয় প্রজন্মের অভিনেতা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা।’’ সায়রা বানু তার পোস্টে আরও জানিয়েছেন বহু মানুষ দিলীপ কুমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তিনি লিখেছেন- ‘‘দিলীপ সাহাব ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরু সাহাব, অটল বিহারী বাজপেয়ী সাহাব, নরসিংহ রাও সাহাবের পাশাপাশি বিশিষ্ট আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং শিল্পপতি ইত্যাদির খুব বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তিনি খেলোয়াড়দের কট্টর সমর্থকও ছিলেন। ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতেন খুব স্বাচ্ছন্দ্যে।’’ সায়রা বানুর পোস্ট আরও অনেক তথ্য জানা গেছে, দিলীপ কুমার জাতীয় স্তরের খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে অভিনেতা করেছে। তিনি লিখেছেন আরও লিখেছেন, ‘‘স্যার সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন। তাঁর সবকিছু ছিল, তবুও খুব কম লোকই জানত যে তার তীব্র অনিদ্রা ছিল।’’ সায়রা তার পোস্টে প্রকাশ করেছেন যে দিলীপ কুমার অনিদ্রার মতো গুরুতর রোগে ভুগছিলেন। এই রোগে মানুষ ঘুমাতে পারে না। তিনি কখনই ঘুমাতে পারতনে না। তিনি লিখেছেন- ‘‘আমাদের বিয়ের আগে বড়ি খেয়েও সকাল পর্যন্ত জেগে থাকতেন। যাই হোক, একবার আমরা বিয়ে করে একে অপরের পরিপূরক হয়ে গেলাম।’’ এরপর তিনি সময়মতো ঘুমাতে শুরু করেন। এমনকি তিনি আমাকে একটি সুন্দর ডাকনাম দিয়েছিলেন, আদর করে বলেছিলেন, ‘‘সায়রা, তুমি আমার ঘুমের বড়ি, তুমি আমার বালিশ।’ আজও সে যে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে এ কথা বলতেন, তার কথা মনে পড়লে হাসি পায়।’’ আরও, সায়রা দিলীপ কুমারের জীবন সম্পর্কিত একটি মজার ঘটনাও বলেছিলেন। তিনি ছিলেন সঙ্গীতপ্রেমী। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই পুরো আদালতের আয়োজন করা হতো। শিল্পীদের বিস্ময়কর শিল্প দেখা যেত সেখানে। দিলীপ সাহেব সব সময় খুব কৌশলে আদালত থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যেতেন যাতে তিনি কিছুক্ষণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেন।একদিন সেও তাই করেছিল, কিন্তু আমাকে ছাড়া সে ঘুমাতে পারে না। তাই, তিনি একটি চিরকুট লিখেছিলেন, ‘ঘুম পাচ্ছে, আপনি কী পরামর্শ দিচ্ছেন, আন্টি? আপনার ১০০%’। তিনি একজন মজার মানুষ ছিলেন যিনি আমাকে সবসময় ‘আন্টি’ বলে ডাকতেন। তবুও কৌতুক, হাসি আর সেই হৃদয়ে লেখা পাতার নিচে লুকিয়ে ছিল সত্যিকারের ভালোবাসা। দিলীপ সাহাব সবসময় থাকবেন… আল্লাহ তাকে তার ভালবাসা ও আশীর্বাদে রাখুন… আমিন।’’