লাইফস্টাইল Uric Acid Symptoms: ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনি বিকল হতে সময় লাগে না, কোন কোন উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না? পড়ুন Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk ইউরিক অ্যাসিড শরীরের এক প্রকার বর্জ্যপদার্থ যা প্রস্রাবের মাধ্যমে কিডনি শরীর থেকে বার করে দেয়। যখন কিডনি সঠিকভাবে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বার করতে পারে না, তখন রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন একপ্রকার কেমিক্যাল যা বিভিন্ন খাবার ও পানীয়ে থাকে। মেটে, ম্যাকারেল মাছ, শুকনো বিনস, মটরশুঁটি, বিয়ারের মত পানীয়ে পিউরিনের পরিমাণ খুব বেশি। পুরুষদের স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা 3.4 to 7.0 mg/dL, মহিলাদের 2.4 to 6.0 mg/dL। রক্তে ইউরিক অভাসিড কখন বাড়ে? অ্যাসিডোসিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, অত্যধিক মদ্যাপন, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, রেনাল ফেলিওর, মেডুলারি সিস্টিক কিডনি ডিজিজ, ডিহাইড্রেশন, অত্যধিক ব্যায়াম, পিউরিন সমৃদ্ধ ডায়েট, লিউকেমিয়া, লিড পয়েজনিং-এর কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাতে পারে। মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ প্রথমদিকে ধরতে পারেন না অনেকেই। ফলে বিপদ বেড়ে যায়। কীভাবে বুঝবেন শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে? গাউট– ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ২০ শতাংশের মধ্যেই গাউট দেখা যায়। আচমকা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে গেলেও গাউট হয়। যে-কোনও জয়েন্টে গাউট হতে পারে। পায়ের পাতা, গোড়ালি, হাঁটু, কনুইতে সবথেকে বেশি গাউট হয়। কিডনিতে পাথর– কিডনিতে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল জমে পাথর তৈরি হতে পারে। অনেকসময় পাথরগুলি খুব ছোট হয় এবং প্রস্রাব দিয়ে বেরিয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে পাথরগুলি বড় হয় এবং ইউরিন্যারি ট্র্যাক্টে বাধা সৃষ্টি করে। কিডনিতে পাথরের উপসর্গ হল পেট, কিংবা কোমড়ের নীচের অংশে ব্যথা, বমিবমি ভাব, ঘনঘন প্রস্রাব পাওয়া, প্রস্তাবের সময় জ্বালা ও ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় কষ্ট, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ। কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বর ও কাঁপুনিও হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে ইউরিন্যারি ট্র্যাক্ট-এ সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকগুণ বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কিডনি চায় শরীরে থাকা বাড়তি ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। প্রস্রাবের সঙ্গে হতে পারে রক্তপাতও। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন-ও। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, সারা ক্ষণ ক্লান্তি ভাব, বমি বমি ভাব, বার বার ঢেকুর তোলা, পেশিতে ঘন ঘন ক্র্যাম্প ধরার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময়ে অনেকেরই জ্বালা করে। এ ছাড়া, প্রস্রাবে বিকট গন্ধও দেখা দিতে পারে।