আজকাল আমাদে যেমন জীবনযাত্রা, তাতে প্রেশার, সুগার, কোলেস্টরল প্রায় প্রতিটা পরিবারের সমস্যা৷ এর তালিকায় আবার রয়েছে ইউরিক অ্যাসিডও৷ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, উঠতে-বসতে চূড়ান্ত সমস্যা হওয়া প্রায় রোজের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়৷ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে উৎপাদিত একটি বর্জ্র পদার্থ যা রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং কিডনি দ্বারা ফিল্টার হয়৷ তারপর প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অপসৃত হয়। কিন্তু, যখন এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে ঘটে না, তখন তা শরীরে জমতে শুরু করে এবং নানা সমস্যার সৃষ্টি করে৷এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা রোগীর খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করে৷ অনেকেরই ধারণা শরীরে কারও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়৷ এই ধারণা কি সত্যি? সত্যিই কি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে মাছ, মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হয়?পুষ্টিবিদ রিদ্ধিমা বত্রা জানাচ্ছেন, কারও হাই ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে, তাঁর প্রোটিন খাওয়া চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই৷ তবে পিউরিন নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷পিউরিন জাতীয় জিনিসের মধ্যে থাকে রেড মিট অর্থাৎ, খাসি বা ভেঁড়ার মাংস, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, সি-ফুড ইত্যাদি৷ এছাড়ে, যে কোনও কোল্ড ড্রিঙ্কস৷ এছাড়া, ভদকা, বিয়ার, হুইস্কি ইত্যাদিও না খাওয়া উচিত। আইসক্রিম, চিপস, প্যাকেটজাত খাবার, প্যাকেটজাত ফলের জুসও হাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে খাওয়া উচিত নয়।তার বদলে আপনি খেতে পারেন কম পিউরিন যুক্ত প্রোটিনজাত খাবার৷ ডিম, বাদাম, যে কোনও ধরনের ফল, শস্য, সবুজ সব্জি, কম ফ্যাটযুক্ত ডেয়ারি প্রোডাক্ট, মুরগির মাংস ইত্যাদি৷ হাই ইউরিক অ্যাসিডে অল্প পরিমাণে মাছ খাওয়া যেতে পারে৷উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার ছোলার ডাল, কিডনি বিন এবং গোটা মুগ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এই জিনিসগুলি আপনার ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দিতে পারে।ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ৩টি বিষয় মাথায় রাখুন। প্রথমত, আপনাকে সারাদিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তৃতীয়ত, যতদূর সম্ভব মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষের শরীর এবং তাঁদের রোগের ধরন ভিন্ন৷ তাই কোনও সিদ্ধান্ত নিজে নেবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন৷
বর্তমানে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যা খুবই সাধারণ। শুধু আর বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই নয়, সব বয়সের মানুষই এর শিকার হচ্ছেন হামেশাই। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে উত্পাদিত সেই রস যা শরীরের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন।ইউরিক অ্যাসিড প্রতিটি ব্যক্তির লিভারে উৎপন্ন হয় এবং প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গাউট এবং কিডনির সমস্যা হতে পারে।তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে ক্রমশ। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা ঠিক কত? না জানলে আপনার দ্রুত এই সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবিলম্বে জানা উচিত।পুরুষ এবং মহিলাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কত হওয়া উচিত? নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডঃ অমরেন্দ্র পাঠকের কথায়, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বয়স অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। নারী ও পুরুষের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রায় অনেক পার্থক্য রয়েছে।প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ২.৫ থেকে ৬ mg/dL। যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭ mg/dL এর মধ্যে থাকলেই স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।তবে বিভিন্ন পরীক্ষায় ইউরিক অ্যাসিড মাপার পদ্ধতি ভিন্ন। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষাভেদে ফলাফলে কিছুটা পার্থক্য দেখা যেতে পারে।শিশুদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কত? ডাঃ অমরেন্দ্র পাঠকের মতে, বয়স অনুযায়ী ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও পরিবর্তিত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে, ১ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুর ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হওয়া উচিত প্রায় ২ থেকে ৫ mg/dL।শিশুদের ক্ষেত্রেও ইউরিক অ্যাসিড ছেলে-মেয়ে ভেদে কিছুটা বেশি বা কম হতে পারে। ১৫ বছর বয়সিদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ২.৫ থেকে ৭ পর্যন্ত হতে পারে। তবে এর থেকে বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।কোন পরীক্ষার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা পরিমাপ করা হয়? চিকিৎসকের মতে, সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা জানতে পারবেন। লিভার ফাংশন টেস্টেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এছাড়াও, আপনি প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন।ইউরিক অ্যাসিড পরিমাপ করার জন্য অনেক ধরনের পরীক্ষা আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে প্রত্যেকেরই বছরে একবার ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করা উচিত।প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করবেন? – আমিষ খাওয়া কমিয়ে দিন। – প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।– যতটা সম্ভব জল পান করা উচিত। – জীবনধারা স্বাস্থ্যকর করা উচিত। – সময়ে সময়ে চেকআপ করান।অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আজকের আধুনিক যুগে খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরের এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ, যা পিউরিন ভেঙে তৈরি হয়। গ্রীষ্মকালে, আমরা বেশি জল পান করি এবং অনিয়মিত জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ঝুঁকি বেশি থাকে।যার কারণে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা, বাত ইত্যাদি আরও অনেক রোগ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। আপনি যদি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে আপনার খাদ্য এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কী করবেন আর কী করবেন না তা জানিয়ে দিল আয়ুর্বেদিক ডাক্তার পঙ্কজ কুমার।ইউরিক এ্যাসিড বৃদ্ধি কীভাবে রোধ করা যায়? কীভাবে বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড প্রতিরোধ? যখন ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়, এটি মূলত ব্যথা এবং ফোলা সৃষ্টি করে। এর পর ধীরে ধীরে সুচ ঠোকার মতো ব্যথা হয়। কেন এমন হয়, কারণ স্ফটিক আকারে কিছু কণা ছোট ছোট জয়েন্টে বিভক্ত হয়ে যায়। এটি প্রতিরোধ করার সর্বোত্তম উপায় হল আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। যাতে এসব এড়ানো যায়। খুব বেশি প্রোটিন আছে এমন জিনিস ব্যবহার করবেন না। যেমন ডাল, ডিম ইত্যাদি। এছাড়াও এই ধরনের শস্য যা দুটি দলে জন্মায়। যদি লক্ষণ দেখা যায় তবে প্রথমে আমাদের সেই সমস্ত শস্য খাওয়া বন্ধ করা উচিত। সব ডালই দুই-বিশিষ্ট দানা। তারা খুব দ্রুত ইউরিক অ্যাসিড বিকাশ করে।কিছু ডাল আছে যা ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের উপর সামান্য প্রভাব ফেলে। মুগ ডালের মতো এটি তৈরির পদ্ধতিও আলাদা। ডাল রান্না করার সময় ফেনা তৈরি করে ফেলতে হবে। এ কারণে ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব কিছুটা কমে যায়।যা রক্তকে বিশুদ্ধ করে, প্রস্রাবের জ্বালা কমায় এবং প্রস্রাব বেশি করে। এই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করুন। তাই এমন পরিস্থিতিতে হরসিঙ্গার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি একটি অত্যন্ত ক্ষারীয় উদ্ভিদ এবং প্রায় সর্বত্র সহজেই পাওয়া যায়। যদি হরসিঙ্গার বা তেঁতুল পাতার ক্বাথ থাকে তবে আপনি এটিও খেতে পারেন। যদি এটি কমপক্ষে ১৫ দিন ধরে নিয়মিত খেলে দ্রবীভূত হবে এবং মূত্রনালীর মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে এবং এই রোগ নিরাময় হবে।কুমড়োর রস, শসার রস, তরমুজের রস, চেরি জুস, আপেল ভিনেগার ইত্যাদি বা সমস্ত ক্ষারযুক্ত খাবার খাওয়ার মতো অনেক কিছু রয়েছে যা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
: লাইফস্টাইল এখন বেশ বদলেছে৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগে যেভাবে মানুষ দিনযাপন করত তাতে সুস্থ -নীরোগ জীবনের মেয়াদ অনেকটা বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ছিল৷ কিন্তু এখন আর এরকম কোনও কথা নেই যে ইউরিক অ্যাসি়ড এই বয়সে হবে, ডায়াবেটিস এই বয়েসে হয় না৷ Photo- Representativeআপনার যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু রোজ ডাল না খাওয়াই ভাল এমনই পরামর্শ মুঙ্গেরের বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বিনায়ক দ্বিবেদীর কথায়৷এখন যে কোনও বয়সে যে কোনও রোগ হচ্ছে, কিন্তু বাঁচতেও তো হবে ফলে বেশ কিছু সহজ টিপস মানলে কোনও কোনও রোগের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়৷ Photo- Representativeইউরিক অ্যাসিড হল একটি প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ যা পিউরিনে সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর শরীরে নিঃসৃত হয়। পিউরিন – রাসায়নিক যৌগ যা কার্বন এবং নাইট্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত এবং শরীরের অভ্যন্তরে ভেঙে যায়। Photo- Representativeযখন আমরা পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবারের অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করি তখন শরীর এটি হজম করতে পারে না।এর ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হু হু করে বৃদ্ধি পেতে পারে। Photo- Representativeউচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পিউরিন- সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি, অবশ্যই অত্যধিক চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এটি আপনার শরীরের ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণ করার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। Photo- Representativeইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া বারণ থাকে। সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছে ডাল। যদিও শরীরের জন্যে বিভিন্ন ধরনের ডাল খুবই উপকারি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের কিছু ডাল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। জানুন কোন ডালগুলি সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য। Photo- Representativeমুগ ডাল মুগ ডালের অত্যধিক ব্যবহার শরীরে পিউরিন গঠনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা আসলে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে৷ Photo- Representative
মুসুর ডাল ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কম প্রোটিন খেতে হয়। এদিকে মুসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। অন্যান্য ডালের চেয়ে মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এই ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সুস্থ থাকতে এই ডাল এড়িয়ে চলাই ভাল।অড়হর ডাল প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে অড়হর ডালের অত্যধিক ব্যবহার সম্ভাব্যভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। অবশ্য অড়হর ডালে কিডনি-প্রতিরক্ষামূলক কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। Photo- Representativeছোলার ডাল বাঙালি বাড়িতে অনুষ্ঠান হোক আর ছুটির দিন মিষ্টি ছোলার ডাল পাতে থাকলে একদম বাহ, বাহ৷ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ছোলার ডাল খাওয়া একেবারেই উচিত না। ছোলার ডালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। অত্যাধিক পরিমাণে খেলে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। Photo- Representativeবিউলির ডাল গরমকালে বিউলির ডাল অত্যন্ত প্রিয় খাবার। কিন্তু বাঙালির এই পছন্দের ডালেও অনেক বিপদ৷ বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ফলে এই ডালও এড়িয়ে চলাই ভাল৷ Photo- Representative
শরীরে বাসা বেঁধেছে ইউরিক অ্যাসিড? ব্যথায় কাবু হচ্ছেন? কোনও চিন্তা নেই৷ সকালে দিন শুরু করুন এই বিশেষ পানীয় দিয়ে৷ কোথায় পালাবে ইউরিক অ্যাসিড বুঝতেও পারবেন না৷ খুবই কম খরচে নির্মূল হবে ইউরিক অ্যাসিডের বংশ৷ আর শরীরে ফিরে আসবে না৷সকাল সকাল উঠে এগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমবে৷ গাঁটের ব্যথার থেকেও মুক্তি পাবেন৷ এখন ইউরিক অ্যাসিড বিশাল সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷হিসেব বলছে বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের ভুগছেন৷ কষ্ট পাচ্ছেন গাঁটের ব্যথায়৷ এবং যে কোনও বয়সেই এই রোগ দেখা দিতে পারে৷ ফলে প্রথম থেকে সচেতন না হলে খুবই মুশকিল৷অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড গাঁটে গিয়ে জমে যায়৷ তখনই বাড়তে থাকে গাঁটে গাঁটে ব্যথা৷ এমন ব্যথায় অনেকে শয্যাশায়ীও পর্যন্ত হয়ে পড়েন৷ কীভাবে এর থেকে মুক্তি মেলে? অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শের মতো ওষুধ খেয়ে৷ আবার ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললেও গাঁটের ব্যথায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে৷খাওয়া দাওয়া এর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এর মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়৷ অত্যাধিক পরিমাণে প্রোটিন খাবার না খাওয়াই ভাল৷এছাড়া সকালে উঠে খালি পেটে কয়েকটি পানীয় নিয়ম করে খেলেই ইউরিক অ্যাসিড বাগে আনতে পারবেন৷ রইল সেই পানীয়র লিস্ট৷লেবুর জল তো সারাদিনে যে কোনও সময় খেতে পারেন৷ তবে সকালে খালি পেটে খেলে সবথেকে বেশি উপকার মেলে৷ শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়, সঙ্গে ব্যথাও কমে৷একই রকমভাবে উষ্ণ জলে ১ চা চামচ মধু ও ভিনিগার দিয়ে খেতে পারেন৷ এই টোকটাটি যেন মহৌষধি৷ খুব উপকার পাবেন গাউটের ব্যথায়৷মেথি ভেজানো জল দারুণ উপকারী৷ এতে এক ধাক্কায় অনেকটা ওজন কমবে, গাঁটের ব্যথাও দূর হবে৷একই রকম ভাবে ধনে ভেজানো জলও খুব ভাল৷ সারারাত ধনে জলে ভিজিয়ে রাখুন৷ তারপর সকালে জল চুমুক দিয়ে খান৷ ক্যালোরি বার্ন হবে৷ ঝপঝপ রোগা হবেন, ইউরিক অ্যাসিডও পালাবে৷
ইদানীং ঘরে-ঘরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যে কোনও বয়সেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথম থেকেই সাবধান না হলে, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়। শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকহার কেমন, তার উপর। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আয়ুর্বদে মতে, কিছু খাবার বা পানীয় আছে, যা নিয়ম মেনে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কী কী খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমবে?আমলকির রস– আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়। উষ্ণ জলে এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে সকালে খালিপেটে খান।লেবুর জল– লেবুর জল ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎস যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল গলিয়ে দেয়। রোজ সকালে খালিপেটে এক গ্লাস উষ্ণ জলে অর্ধেক পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খানঅ্যাপেল সিডার ভিনিগার– ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে দেয় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে এক গ্লাস জলে ১-৩ চামচ আনফিলটারড অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান।ধনে ভেজানো জল– ধনে ভেজানো জল শরীরের বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড বার করে দেয়। সারারাত ১-২ চামচ ধনে জলে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে ছেঁকে পান করুন।মৌরি ভেজানো জল– সারারাত এক চামচ মৌরি জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালিপেটে মৌরি ভেজানো জল ছেঁকে নিয়ে খান।আদা-চা– আদায় আছে প্রদাহনাশকারি ক্ষমতা যা ইউরিক অ্যাসিড কমায়। ১০ মিনিট জলে কয়েক টুকরো আদা ফুটিয়ে নিন, তারপর ছেঁকে নিয়ে সকালে খালিপেটে খান।হলুদ-দুধ– হলুদে রয়েছে প্রদাহনাশকারি ক্ষমতা ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য। সকালে এক গ্লাস গরম দুধে আধ চামচ হলুদ মিশিয়ে খান।
ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতোই বর্তমানে একটি অতি চেনা সমস্যা হল ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে জাঁকিয়ে বসে একাধিক রোগ। অনেক ধরনের সমস্যা হতে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ দেহে বাড়লে কিডনির ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্ভাবনা। কিডনিতে পাথর এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, বিপাকীয় সিন্ড্রোমের সঙ্গে যুক্ত। এগুলি এমন কিছু কারণ যা একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।কিন্তু দেহে ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে নজর দেওয়া বিশেষ জরুরি। বেশ কিছু ফল এবং সবজি রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। দেশের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ নিখিল বত্স জানালেন তেমনই একটি ফল সম্বন্ধে। গরমের অতি পরিচিত এই ফল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষমটক, মিষ্টি অপূর্ব স্বাদের এই ফল হল আনারস। দেশের একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুষ্টিবিদ নিখিল বত্স জানিয়েছেন আনারস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ইউরিক অ্যাসিড।আনারস ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। টক, মিষ্টি স্বাদের এই ফল আট থেকে আশি, সবাই খেতে ভালবাসে।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ফলটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ। খাবার হজম হওয়ার পর আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হতে শুরু করে, তাই আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনারস শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। সকালে আনারসের রস খাওয়ার পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ নিখিল বত্স। আনারসে ব্রোমেলেন নামক একটি বায়োঅ্যাকটিভ এনজাইম পাওয়া যায়। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হজম প্রক্রিয়া দ্রুত করার পাশাপাশি এটি পিউরিন হজমেও সাহায্য করে।
বেশ কিছু খাবার যেমন রেড মিট,পালং শাক, মুসুর ডালে থাকে পিউরিন নামক কেমিক্যাল। এই পিউরিন যখন শরীরে ভেঙে যায়, তখন ইউরিক অ্যাসিডের সৃষ্টি হয়। মুত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীর নিজে থেকেই ইউরিক অ্যাসিড বার করে দেয়। কিন্তু হাইপারিউসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে কিডনি শরীর থেকে তাড়াতাড়ি ইউরিক অ্যাসিড বার করতে পারে না।রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ক্রিস্টাল তৈরি হয়। শরীরের যে-কোন-ও জায়গায় এই ক্রিস্টাল তৈরি হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে কিডনি ও জয়েন্টে ক্রিস্টালের সৃষ্টি হয়। এবার শরীরের সাদা রক্ত কণিকা এই ক্রিস্টালদের আক্রমণ করে, ফলে প্রদাহ ও ব্যথার সৃষ্টি হয়।যাঁদের রক্তচাপ বেশি, ডায়াবেটিক, ওজন বেশি, থাইরয়েডের সমস্যা আছে,তাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁদের রক্তেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে হাড়ের ব্যথা হবেই। কিন্তু শুধুমাত্র পায়ের পাতা বা জয়েন্টে ব্যথাই ইউরিক অ্যাসিডের একমাত্র উপসর্গ নয়। শরীরে আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে প্রস্রাবের সময় জ্বালা হতে পারে। প্রস্রাবে দুর্গন্ধও হতে পারেশরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পিঠের নীচের দিকে, তলপেট কিংবা কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে।শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে।শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে। ঘনঘন ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন-ও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার অন্যতম লক্ষণ।ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল কিডনিতে পাথর তৈরি করে। অনেকসময় পাথর গুলি খুব ছোট হয় এবং মূত্র দিয়ে বেরিয়ে আসে। কিন্তু পাথর বড় হলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট-এ আটকে যায়। কিডনি স্টোন-এর লক্ষণ হল কোমরের পিছনের অংশ, পেট ও পেটের দু’পাশে ব্যথা, বমি-বমি ভাব, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, প্রস্রাব করতে সমস্যা, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ আজকাল এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন৷ যদি এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তবে এটি আমাদের হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলিতে জমতে শুরু করে। এই কারণে গাটের ব্যথা ও কিডনিতে পাথর-সহ নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।বেশিরভাগ মানুষই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে উপেক্ষা করে থাকে এবং এই কারণেই সমস্যা বাড়তে থাকে৷ এটি একটি জটিল রোগ৷ এই রোগ থেকে শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়৷ এই কারণেই ইউরিক অ্যাসিডকে নিজের বশে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে নাকি প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল৷ এটা শোনার পর অনেকেই ভয়ে চিকেন খান না৷ এবং প্রায়শই বলতে শোনা যায়, মুরগির মাংস খেলেই নাকি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে৷ইউরিক অ্যাসিড ও চিকেন নিয়ে নানা মতামত রয়েছে একাংশের৷ এটা কি আদৌ সত্যি নাকি পুরোটাই মিথ৷ আসল সত্যিটা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে৷বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার মূলত দুটি কারণ রয়েছে৷ এমন কিছু খাবার রয়েছে, যার মধ্যে পিউরিন রয়েছে, যা শরীরে পৌঁছে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে৷ সেই কারণেই সমস্যা বাড়ে৷বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারের কারণেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়৷ এছাড়াও ওজন বেশি থাকলে কিংবা ডায়াবেটিস থাকলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, যারা মনে করছেন চিকেন খেলেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, বিষয়টা তেমনটা নয়৷ তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কোনও কিছু না খাওয়াই ভাল৷কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলেই সমস্যা বাড়বে৷ তবে রোজ মুরগির মাংস খাওয়ার বদলে মাছ, ডিম খাওয়াই শরীরের জন্য ভাল৷ইউরিক অ্যাসিড বেশি বেড়ে গেলে অতিরিক্ত পরিমাণে রেডমিট, সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া, ঢ্যাঁড়শ, টম্যাটো-এজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল৷ যারা মদ্যপান করেন তারা মদ খাওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন৷