বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান৷

Yusuf Pathan: বহরমপুরে দেখা নেই পাঠানের, সরব বিরোধীরা! সাংসদ কোথায়, জবাব দিল তৃণমূল

বহরমপুর: অধীর চৌধুরীকে তাঁর গড়ে গিয়ে হারিয়ে দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন তিনি৷ সাংসদ হিসেবে বহরমপুরবাসী তাঁকে পাশে পাবেন, এমন আশ্বাসও দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই বহরমপুরে আর দেখা পাওয়া যায়নি ইউসুফ পাঠানের৷ এই অভিযোগকে ঘিরেই শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা৷

ইউসুফ পাঠান বহিরাগত প্রার্থী বলে ভোটের সময়ই প্রচারে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস, বিজেপির মতো দলগুলি৷ যদিও বহিরাগত তকমাকে মাঠের বাইরে ফেলে শেষ হাসি হেসেছিলেন দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার৷ অধীর চৌধুরীকে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে হারান তৃণমূল প্রার্থী পাঠান৷ এর পর সাংসদ হিসেবে শপথও নিয়েছেন তিনি৷

গত ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন বহরমপুর ছাড়েন পাঠান৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এর পর থেকে এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও নিজের সংসদীয় এলাকায় আর দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদকে৷ আর এ নিয়েই সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ তাঁদের কটাক্ষ, এটাই হওয়ার ছিল৷
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷

সাংসদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, পাঠান প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার৷ এখনও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলতে যান তিনি৷ বর্তমানে লন্ডনে লেজেন্ড লিগ ক্রিকেট খেলতে ব্যস্ত তিনি৷ তবে খুব শিগগিরই তিনি বহরমপুরে আসবেন৷

আরও পড়ুন: রথ থেকে নামানোর সময় পড়ে গেল বলরামের মূর্তি! পুরীর রথযাত্রায় বড়সড় বিপত্তি

মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘তাঁর এখানে বাড়ি নয়, এটা তাঁর কাজের জায়গা৷ জেতার পর তিনি বাড়ি গিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আবার সংসদে গিয়ে শপথ নিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করতে হয়েছে৷ তার পর সংসদের অধিবেশন চলেছে৷ আবার ২২ তারিখ থেকে সংসদ বসবে৷ ইউসুফ পাঠান বিশ্ববন্দিত ক্রিকেটার, এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে খেলছেন৷ তবে তার মধ্যেও নিয়মিত আমাদের সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছে, কোনও কিছু প্রয়োজন আছে কি না তিনি খোঁজ নিচ্ছেন৷ খুব শিগগিরই তিনি বহরমপুরেও আসবেন৷ সবাইকে বলব, কোনও গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না৷’

জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘ইউসুফ পাঠানকে কেন দেখা যাচ্ছে না এটা তো তৃণমূল নেতৃত্ব বলতে পারবেন৷ উনি কৃতি ক্রিকেটার, অরাজনৈতিক মানুষ৷ উনি ক্রিকেট খেলবেন সেটাই স্বাভাবিক৷ আজকে ইংল্যান্ডে খেলছেন, কালকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলবেন৷ এটা যাঁরা বুঝেছেন তাঁরা বুঝেছেন৷ অনেক তৃণমূল নেতাই হয়তো চান না ইউসুফ পাঠান আসুক৷ সাংসদ তহবিলের টাকায় কী হবে, সেটা হয়তো তাঁরাই ঠিক করতে চান৷ জনগণ ক্ষেপে গিয়ে যদি তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন করেন, সাংসদ কোথায়, তার জবাব তৃণমূল নেতাদেরই দিতে হবে৷’