মিউচুয়াল ফান্ড বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম। বিনিয়োগ করাও সহজ। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার মতো সময় এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাহলে মিউচুয়াল ফান্ড আদর্শ।মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে গড়পড়তা স্কিমের তুলনায় অনেক বেশি রিটার্ন মেলে। চাকরির প্রথম দিন থেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হল, অনেকটা সময় পাওয়া যায়। যা আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট।সাধারণত দু’ভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। এসআইপি এবং লাম্পসাম। এসআইপিতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়। যাঁদের হাতে বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই, তাঁরা এভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু যাঁদের হাতে একসঙ্গে মোটা টাকা রয়েছে তাঁরা লাম্পসাম বিনিয়োগ থেকে মোটা টাকা মুনাফা করতে পারেন।মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগ স্কিমে দীর্ঘমেয়াদে গড় বার্ষিক রিটার্ন ১২ শতাংশ। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে বিনিয়োগ করাও সহজ। ইদানীং অনেক অনলাইন সেবি নিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যার মাধ্যমে কয়েক মিনিটে বিনিয়োগ শুরু করা যায়।এখন প্রশ্ন হল, কেউ যদি মিউচুয়াল ফান্ডে পাঁচ বছর মেয়াদে ৫ লাখ টাকা লাম্পসাম করেন, তাহলে তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন। লাম্পসাম ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৫ বছরে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে ৮,৮১,১৭০.৮৪২ টাকা হাতে আসবে। অর্থাৎ সুদ হিসেবে মিলছে ৩,৮১,১৭০ টাকা।বিপিএন ফিনক্যাপের ডিরেক্টর অমিত কুমার নিগম বলছেন, যদি কর্মজীবনের শুরু থেকে বিনিয়োগ করা যায় তাহলে চক্রবৃদ্ধির মাধ্যমে যথেষ্ট সম্পদ তৈরি করা সম্ভব।বাড়ি, গাড়ি, ভ্রমণের মতো ছোট এবং বড় আর্থিক লক্ষ্য মাথায় রেখে বিনিয়োগ শুরু করলে সেগুলো অর্জন করা সহজ হবে। যেমন যদি কেউ ২৫ বছর বয়সে মিউচুয়াল ফান্ডে লাম্পসাম বিনিয়োগ করেন, তাহলে পরবর্তী ১০ বা ১৫ বছরে তিনি মোটা টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদে লার্জ, মিডক্যাপ, ফ্লেক্সিক্যাপ এবং মাল্টিক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
