বর্ষার মরশুমে কালোজাম খেতে কে না পছন্দ করেন। কিন্তু এর ঔষধি গুণের কথা অনেকেই হয়তো জানেন না। আয়ুর্বেদ অনুসারে, এটি এমন একটি ফল যার কার্যকারিতা ওষুধের চেয়ে কম নয়। এই ফল বড় বড় রোগ দূর করতে সক্ষম বলে মনে করেন আয়ুর্বেদাচার্যরা। তাঁরা জানান, কালোজাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।কালোজাম খাবার হজম করতে, দাঁতের সুরক্ষার জন্য, চোখের জন্য, পেটের জন্য, ত্বকের সুরক্ষায় এবং কিডনির পাথরের জন্য উপকারী। কালোজামে আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তাই এটি শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভাল।পাঁচ ধরনের কালোজাম রয়েছে। বাইরিয়া ব্লকে অবস্থিত সারইয়ামন বার্ড রিজার্ভে প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাকবেরি পাওয়া যায়। এখানে গত ৪৫ বছর ধরে আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশ পান্ডে শত শত কালোজাম গাছ দেখাশোনা করছেন। কালোজামের মোট ৫টি জাতের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাকবেরি, হোয়াইটবেরি, উডবেরি এবং ছোট ব্ল্যাকবেরি।ব্ল্যাকবেরি পেটের কৃমি দূর করে এবং বাতের ব্যথায় উপকারী। সাদাবেরি গাছের কাণ্ডের ছাল রক্ত সংক্রান্ত রোগ, ডায়রিয়া ও কৃমি দূর করতে সাহায্য করে এবং ছোট ব্ল্যাকবেরি কফ-পিত্তের সমস্যা ও হৃদরোগ দূর করতে ব্যবহৃত হয়।কালোজাম অনেক রোগের প্রতিষেধক । আয়ুর্বেদাচার্যের মতে, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং পেটের আলসার-সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কালোজাম কার্যকরী। এই ফলের রস টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও এটি হজমশক্তি উন্নত করে।কালোজামের ফল, পাতা, বীজ ও বাকল সবই উপকারী । বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে কালোজামের ছাল খাওয়া হলে তা হজমের সমস্যা, হাঁপানি, আলসার, অ্যান্টিডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় সাহায্য করে এবং রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে।কালোজাম অন্ত্রের সমস্যা, মুখের সমস্যা, ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিরাময় করে এবং এর পাতার গুঁড়ো মাড়ি শক্তিশালী করতে খুবই কার্যকর।
