Maldah News: বাবাকে খুন করে পুলিশের জালে কীর্তিমান ছেলে! দু’মাস পরে কী ভাবে হল খুনের কিনারা?

মালদহ: বাবাকে খুন করার অভিযোগে পুলিশের জালে ছেলে। বাবার আত্মহত্যার ‘গল্প’  খারিজ হয়ে গেল পুলিশি তদন্তে। বাবার মৃত্যুর দুই মাস পরে পুলিশের জালে কীর্তিমান ছেলে। কিন্তু কেন এমন ঘটনা? কেন নিজের হাতে বাবাকে খুন করল ছেলে? পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিছক মদ্যপান নিয়ে অশান্তি। আর তার জেরেই বাবাকে খুন! বাবা সারাদিন মত্ত অবস্থায় থাকত। তার প্রতিবাদ করত ছোট ছেলে। এসব নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। সেই রাগেই বাবাকে গলা টিপে খুন করে ছোট ছেলে।

দুই মাস পর সেই রহস্য মৃত্যুর কিনারা পুলিশের হাত ধরে। পুলিশের জালে ছোট ছেলে। এমন রোমহর্ষক ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।

আরও পড়ুন: ভরা ক্লাসরুমের মধ্যেই…ছাত্রীর সঙ্গে একী আচরণ শিক্ষকের! মুহূর্তে রণক্ষেত্র খণ্ডঘোষ, পুলিশকে ছোঁড়া হল ইট

চলতি বছরের মে মাসের ১২ তারিখ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত ভালুকা বাজার এলাকার বাসিন্দা হরেশ পাসোয়ানের (৬৮) রহস্য মৃত্যু হয়। বাড়ি থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

অভিযুক্ত ছোট ছেলে দাবি করে হরেশ বাবু আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু, বাবা আত্মহত্যা করেছেন তা মানতে পারেননি বড় ছেলে। বিবাদ গড়ায় পুলিশ পর্যন্ত। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বড় ছেলে সুমিত পাসোয়ান রহস্যমৃত্যুর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব নেন আইসি মনোজিৎ সরকার। কিন্তু, তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে বের হয় কেউটে। পুলিশ বুঝতে পারেন হরেশ বাবু আত্মঘাতী হননি। তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হয়। কিন্তু কে খুন করল? কেনই বা এক বৃদ্ধকে খুন করা হল?

আরও পড়ুন: সাদা শাড়িতে একেবারে অনন্য রূপে রাধিকা! দেখুন প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানের অদেখা সব ছবি

সেই তদন্ত করতে গিয়ে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, হরেশ বাবু মত্ত অবস্থায় থাকতেন। এই নিয়ে ছোট ছেলে বারবার প্রতিবাদও করত। বাবার সঙ্গে ছেলের ঝগড়া লেগেই থাকত। এসব নিয়ে বিবাদের জেরেই রাগের বশে বাবাকে খুন।

তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সঞ্জয় পাসোয়ানকে। পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পেশ করা হয়েছে চাঁচল মহকুমা আদালতে।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘‘তদন্তের কিনারা করতে দুই মাস সময় লেগেছে। ছোট ছেলে মূল অভিযুক্ত। আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’