আম খেয়ে আঁটি ফেলে দেন? জমিয়ে রাখলে ব্যবসা করতে পারেন, জানেন কি?

কলকাতা: আমের মরসুম এলেই আম খাচ্ছেন। আম খাওয়ার পর আমের আঁটি ফেলে দিচ্ছেন। কারণ আম খাওয়ার পর আমের আঁটির কোন মূল্য থাকে না আমাদের কাছে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম খেলে যেরকম গুণ রয়েছে, তার সঙ্গে আমের আঁটির ঔষধি গুরুত্বও আছে। আমের আঁটির শক্ত খোলসটা ছাড়িয়ে ভেতরের সাদা অংশটা যদি কেউ পাউডারের মত গুঁড়ো করে নিয়ম করে খায়, তা হলে বহু ওষুধ থেকে তাঁকে হয়তো দূরে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- কেকেআরের কোন সদস্যদের ভারতীয় দলে চান গম্ভীর? সামনে এল অবাক করা দুই নাম

এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানাচ্ছেন, ‘আমের আঁটির গুঁড়ো, দুই থেকে তিন গ্রাম পরিমাণ মতো আটার সঙ্গে মিশিয়ে যদি রুটি করে খাওয়া যায়, অথবা খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়, তাতে ভিটামিন এ, সি, ই ,পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, কপার ফলেটের মতো উপকারী উপাদান পাওয়া যাবে।

এছাড়াও আঁটিতে রয়েছে ম্যাণজিফেরিন নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মধুমেহ রোগে আক্রান্তরা খেলে এতে উপকার পাবেন।

ইদানিং অনলাইনে আমের বীজের গুঁড়ো বহু মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আমের আঁটির গুঁড়ো যেরকম রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, তার সঙ্গে পেটের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।

গবেষকরা বলছেন, এতে রয়েছে অলিয়েক, স্টিয়েরিক, লিনোলিয়েকি নামে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খেলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, আম খাওয়ার পর মানুষ আমের আঁটির কোনও গুরুত্ব দেয় না। ফলে একটি মূল্যবান বস্তু অবহেলায় নষ্ট হয়।

আরও পড়ুন- টানা ২ ম্যাচ জিতেও দলে বদল! জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে কোন চমক দেবে ভারত

কিছু ক্ষেত্রে আমগাছ তৈরির জন্য ব্যবহার হলেও আমের আঁটি সংরক্ষণ করতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই আমের আঁটি ব্যবসায়িক কাজেও লাগবে। যার ফলে একটি আর্থিক সহায়তার দিক তৈরি হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঠিকঠাক করে আমের আঁটি জোগাড় করে যদি ব্যবসায়িক কাজে লাগানো যায়, তা হলে কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে।