লাইফস্টাইল Healthy Lifestyle Tips: কোন বয়সে কতটা ভাত খাওয়া ‘পারফেক্ট’? রইল বয়স অনুযায়ী ভাতের সঠিক পরিমাপ… Gallery July 14, 2024 Bangla Digital Desk ভাত হল এমন একটি খাবার যা এশিয়ার প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে রান্না হয়। ইদানীং ব্রাউন রাইসও এসেছে বাজারে। প্রতিদিন ভাত খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। ভাত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। এটি সারাদিন শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভাতে ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি এর মতো অনেক পুষ্টি রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, “আপনি এক মাস ভাত না খেলে, শরীরে ক্যালোরি অভাবের কারণে ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে। আর কার্বোহাইড্রেট না খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।” ধান অন্য ফসলের তুলনায় বেশি আর্সেনিক শোষণ করে। মাটি দূষণ এবং অত্যধিক কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেকেই ধানকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন। তবে সিদ্ধ চাল আর্সেনিক কমাতে পারে। এফডিএ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রান্না করা ভাতে খুব কম পরিমাণে আর্সেনিক থাকে যার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। খাদ্যতালিকা থেকে ভাত বাদ দেওয়ার অনেক প্রভাব রয়েছে। খাদ্যতালিকায় ভাতের অভাবে ভিটামিন বি এবং কিছু খনিজ উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে ভাত খেলে শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। ভাত ছেড়ে দিয়ে আবার শুরু করলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুকে সারাদিনে দেড়-দুই কাপ ভাত দিন। ছয় থেকে দশ বছর বয়সী শিশুকে একই পরিমাণ বা একটু বেশি ভাত দিতে পারেন। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে ৩-৪ কাপ ভাত খাওয়া উচিত। ১৭ -২১ বছরে একই ভাত সঙ্গে রুটি মিশিয়ে খেতে পারেন। ডায়েটিশিয়ান রেশমি রায় চৌধুরীর কথায়, প্রতিদিনের ডায়েটে ভাত রাখাই যেতে পারে। কিন্তু তা খেতে হবে সঠিক নিয়মে এবং সঠিক সময়। ৪০ বছরের পর আড়াই কাপ ভাত ও দুটি রুটি খান। পরিমিত ভাত খান। বলছেন পুষ্টিবিদ সিমরন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাল ও তরকারি খান। টকদই রাখুন ডায়েটে।