পাঁচমিশালি Healthy Lifestyle: বনে-বাদাড়ে পড়ে থাকে অবহেলায়… ফলটা খেয়ে পাতাটা ফেলে দেন, সেটাই কিন্তু যৌবনের খনি! অবহেলার সবজিই পুষ্টির ভান্ডার Gallery October 5, 2024 Bangla Digital Desk ডুমুরকে খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। এই ফল খেলে শরীরের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি ডুমুর খান আর তার পাতাটা যখন ফেলে দেন তখন ভালর বদলে কতটা বড় নিজের ক্ষতি করে ফেলেন৷ আজ আপনাকে ডুমুর পাতার উপকারিতা জানাব৷ যা শরীরের দারুণ উপকারী৷ বনে বাদাড়ে হয়ে থাকে ডুমুর। খেতে একটু কষা। কিন্তু ভাল করে রান্না করলে ডুমুরের তরকারি মন্দ লাগে না। এটি খেলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই ফল বা সবজি বন্ধ্যাত্ব এড়াতে পারে সহজেই। এই পাতা চওড়া এবং আকারে বড়। ডুমুর পাতায় ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং কপার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। ডুমুর পাতা খেলে অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এলাহাবাদের চিকিৎসক নরেন্দ্র শর্মা এই পাতার একাধিক গুণের কথা জানিয়েছেন৷ যদি আপনার হাড় দুর্বল হয় তবে আপনার ডুমুর পাতা খাওয়া উচিত কারণ এটি হাড়কে শক্তিশালী করতে খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। ডুমুর পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। এটি হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করে। এই পাতা খেলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় না৷ ডুমুর পাতা অ্যান্টি-এজিং গুণে পরিপূর্ণ। এটি ত্বকে বলিরেখা হতে দেয় না। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আপনার মুখকে ব্রণর দাগ এবং যে কোনওরকম দাগ হওয়া থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। ডুমুর পাতায় ওমেগা-৩ এবং ওমেগা ৬ পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সাহায্য করে। এটি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যেতে পারে৷ ডুমুর পাতায় এমন পদার্থ উপস্থিত থাকে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে। চা পান করার কারণে যদি কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন, তাহলে ডুমুর পাতা খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ডুমুর পাতায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়, যা পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়। ওজন কমাতে চাইলে ডুমুর পাতার চা খেতে হবে। এতে ফাইবার পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডুমুর পাতার চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে। এর সেবন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পাঁচমিশালি General Knowledge: নাম শুনলে তো জিভে জল আসে…! নুডলস্ আর চাউমিন কোথায় আলাদা বলুন তো? ৯৯ শতাংশই জানেন না Gallery October 5, 2024 Bangla Digital Desk পুজো তো এসে গেল। রাস্তায় রাস্তায় ভিড়, আরও ভিড় জাঙ্ক ফুডের দোকানে। তার মধ্যে সবার প্রিয় চাউমিন তো আছেই। ছোট থেকে বড় সবার কাছেই চাউমিন একটা মুখরোচক খাবার৷ কেউ বলেন চাউমিন, কেউ বলেন ন্যুডলস৷ কিন্তু দুটোর পার্থক্য কি ভেবে দেখেছেন? হাক্কা, সেজওয়ান, সাংহাই, মালেশিয়ান, গ্রেভি, চিলি-গার্লিক- রেস্তোরাঁর মেনু কার্ডের এই সব নাম আমাদের ঠোঁটের গোড়ায়। ইংরেজি chow mein শব্দটি আসলে চীনা শব্দ ” chau_meing ” হতে। চীনের দক্ষিণ _পশ্চিম শহর তাশিয়ান বা তোশিয়ান হতে বহু লোক উত্তর আমেরিকার কাছে এসে বসতি স্থাপনকরে। আর তাদের তৈরি করা চাওমিং সকলের কাছে প্রিয় হয়। পরবর্তীতে আমেরিকান রা তাদের ভাষায় এর নাম করে চাওমিন। নুডুলস হলো ময়দা দিয়ে তৈরি এক প্রকার মন্ড যা সেদ্ধ করে খাওয়া হয়। আর মন্ডকেই যখন ভেজে ফেলা হয় এবং বানানো হয় ডিশ, যেখানে থাকে সবজি আর সস, মাংস ও অন্যান্য উপাদান তখন তাকে বলা হয় চাওমিন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে নুডলস হল ময়দার মণ্ড দিয়ে তৈরি একটি খাবার। এই নুডলস দিয়ে বানানো একটি খাবারের নাম হল চাউমিন। নুডলস দিয়ে বানানো আরেকটি প্রচলিত খাবারের নাম রামেন। কী জেনে গেলেন তো? এবার আর গুলিয়ে ফেলবেন না নিশ্চয়ই।
লাইফস্টাইল Health Tips: দুধে মেশান এই শুকনো ফল! বুড়ো বয়সেও বলে বলে গোল দেবে যৌবন… কোলস্টেরলেরও রামবাণ Gallery October 5, 2024 Bangla Digital Desk মরশুমি ফলের চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে থাকে। বিকানেরেও তাই। তবে শুকনো ফলের যোগান থাকে সবসময়ই। চাহিদাও কমে না। যেমন খেজুর। কিন্তু কাঁচা খেজুর সারা বছরে মাত্র এক মাসই বিকানেরের বাজারে বিক্রি হয়। খেজুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য মারাত্মক কার্যকরী। বিকানেরের স্থানীয় ফল বিক্রেতা নরেশ পঞ্জাবি লোকাল 18-কে বললেন, বছরের মাত্র ৩০ দিন কাঁচা খেজুর পাওয়া যায়। অনেকে একে খড়ক-ও বলেন। বর্ষার মরশুমে অর্থাৎ শুধু জুলাই মাসেই এই খেজুর বাজারে বিক্রি হয়। ফলে ব্যাপক চাহিদা থাকে। কাঁচা খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। দুধের সঙ্গে গুলে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বাজারে কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। আহমেদাবাদ থেকে আনা হয় এই খেজুর। তবে ইদানীং বিকানেরেও কাঁচা খেজুরের চাষ হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অমিত কুমার লোকাল 18-কে বলেন, কাঁচা খেজুরের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই খেজুর মিষ্টি শক্তিবর্ধক, শ্রমসাধ্য এবং পিত্তনাশক। ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি থাকার কারণে একে সুপার ফুড বলা হয়। উপবাসের সময় শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দিতে খেজুর খাওয়ার চল রয়েছে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। যা শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে। তাছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন হাড় মজবুত রাখে। নিয়মিত সেবনে চুল পড়ার সমস্যাও দূর হয়। খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ পাওয়া যায়। এর ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে খেজুরের জুড়ি নেই। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের মতো খনিজ রয়েছে, যা হাড় সুস্থ রাখতে সহায়ক। হার্টের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে খেজুর। শরীরের ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট ভাল থাকে। এর জন্য প্রতিদিন সকাল বা সন্ধ্যায় ৩ থেকে ৪টি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি খেজুরে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার পাওয়া যায়। যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে সহায়ক। যাঁদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল তাঁরা খেজুর খেলে উপকার পেতে পারেন।
লাইফস্টাইল Liver Cancer symptoms: পেট ফুলে যাচ্ছে, ওজন তরতরিয়ে কমছে? অবহেলা করলেই ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য Gallery October 2, 2024 Bangla Digital Desk অলমোড়ার মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাহুল সিং এই বিষয়ে লোকাল ১৮-এর সাথে বিশেষ কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে লিভার ক্যান্সারের মামলাগুলিও দ্রুত বাড়ছে। এই রোগে পেটের সমস্যা এবং জন্ডিসের মতো লক্ষণ সাধারণত দেখা যায়। লিভার ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ কী? ড. রাহুল সিং জানিয়েছেন যে, লিভার ক্যান্সার, যাকে মেডিকেল ভাষায় হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা (Hepatocellular Carcinoma) বলা হয়, এর অনেক লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রধান লক্ষণ হল পেটে ফোলা বা মাংস বৃদ্ধি পাওয়া, হাঁটার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধা কম লাগা এবং জন্ডিস-এর মতো লক্ষণও লিভার ক্যান্সারের পরিচয় হতে পারে। লিভার ক্যান্সার থেকে রক্ষার উপায় রক্ষার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ড. রাহুল সিং জানান যে, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা উচিত। এছাড়াও, শিশুর সময় হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনে খাবারের প্রতি নজর দেওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য উপকারী। ড. সিং আরও জানান যে, লিভার ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে। যদি কারও এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তৎক্ষণাত ডাক্তারকে যোগাযোগ করা উচিত। অনেক রোগী সুস্থ হয়েছেন যারা ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করছেন, তাদের উচিত জানানো যে বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। অনেক গুরুতর রোগী যারা এই রোগের সাথে লড়াই করেছেন, তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তারা সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে গেছেন। সেক্ষেত্রে, কাউকেও আশা হারানো উচিত নয়।
লাইফস্টাইল Healthy Lifestyle: পুরুষদের যৌবন ধরে রাখার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’…! ঘুমনোর আগে মুখে দিন ‘এটি’, সকালে চোখ খুলেই ম্যাজিক! এক রাতেই ঝিমিয়ে পড়া পুরুষত্ব সুপার চাঙ্গা! Gallery September 30, 2024 Bangla Digital Desk আজকের অস্বাস্থ্যকর জীবনে সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য মানুষ অনেক স্বাস্থ্যকর জিনিস খান। তেমনই দুধ এবং কলা এমন একটি জিনিস। এই দুটোই পুষ্টির ভাল উৎস। সাধারণত মানুষ সকালে দুধ ও কলা আলাদা করে খায়। কিন্তু, রাতে দুধ ও কলা একসঙ্গে খেলে বিরাট চমক দেখা যাবে। দুধ ও কলার এই সংমিশ্রণটি অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দুধ ও কলা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী? দুধ ও কলায় কি কি পুষ্টি থাকে? দুধ ও কলা একসঙ্গে খেলে কী কী সমস্যার সমাধান হতে পারে? ডায়েট ফর ডিলাইট ক্লিনিক নয়ডার ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান খুশবু শর্মা এ বিষয়ে বিশদে বলেছেন৷ কলায় ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নিয়াসিন এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সেই সঙ্গে দুধে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ডায়েটিশিয়ান খুশবু শর্মা বলেছেন যে, পুরুষরা সবসময় দুর্বল বা ক্লান্ত বোধ করেন তাদের রাতে ঘুমানোর আগে দুধ এবং কলা খাওয়া উচিত। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে দুধ এবং কলার সংমিশ্রণ শরীরে শক্তি জোগায়। এছাড়া পুরুষদের শারীরিক দুর্বলতার সমস্যাও দূর হয়। দুধ ও কলার মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভাল বলে মনে করা হয়। এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আসলে, দুধ এবং কলা উভয়ই পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি রক্তচাপ রোগীদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। রোগা মানুষদের জন্য দুধ ও কলা একসঙ্গে খাওয়া উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণটি খেলে দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এ জন্য এক গ্লাস দুধে কলা, মধু ও শুকনো ফল মিশিয়ে নিন। এবার এই সব জিনিস ভাল করে মিক্সিতে ব্লেন্ড করুন। এর পরে আপনি খেয়ে নিন। দুধ এবং কলা দুটোই পেটের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। আসলে, দুধ এবং কলাতে ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে, যা হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। এমন অবস্থায় রাতে নিয়মিত দুধ ও কলা একসঙ্গে খেলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারলে দুধ ও কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়। আসলে, দুধ এবং কলায় রয়েছে অনেক পুষ্টি যা ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। এই দুটি জিনিসের মিশ্রণ আপনাকে ভাল ঘুম দেবে এবং অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন চটজলদি। শুধু তাই নয় ঝিমিয়ে যাওয়া পুরুষত্ব হবে চাঙ্গা৷ (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
লাইফস্টাইল Health Tips: বয়স সোজা উল্টো দিকে হাঁটা দেবে, টগবগ করে ফুটবে যৌবন…! পাঁচ টাকার আঁটি শাক জন্ডিসের যম Gallery September 28, 2024 Bangla Digital Desk বাঙালি রান্নাঘরে শাকের কোনও কমতি নেই। পালং শাক, কলমি শাক, লাল শাক, পুঁই শাক, কচু শাক, সর্ষে শাক, পাট শাক কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন। কলমি শাক মূলত ভাজা খাওয়া হয়। গরমের দুপুরে জল ঢালা ভাতের সঙ্গে কলমি শাকের ভাজা জমে ওঠে। বিশেষজ্ঞের মতে, কলমি শাকে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন, প্রচুর ভিটামিন সি যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলমি শাকে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন ও অন্যান্য জরুরি কিছু উপাদান। যে কারণে এই শাক খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। সংগৃহীত ছবি। কলমি শাকের পুষ্টি তা অনেক পরিচিত শাকের থেকে অনেকটা বেশি৷ পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত কলমি শাক খেলে অনেক উপকার হতে পারে কলমি শাকের রস সব থেকে উপকারি। তবে শাকের রস যদি একান্তই খেতে না পারেন, তা হলে অবশ্যই এটি দিয়ে বড়া তৈরি করে খেতে পারেন৷ ভাজা খাওয়ায় বিপুল উপকারের৷ কলমি শাক, বেগুন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা, রসুন কুচি থাকতে হয়৷ লঙ্কা ফোঁড়ন, পাঁচ ফোঁড়ন, নুন, সাদা তেল ও হলুদ গুঁড়ো৷ আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. নগেন্দ্র নারায়ণ শর্মা বলেন যে,কলমি শাক খাওয়া হলে শরীর শক্তিতে থাকে ভরপুর। এই সবুজ শাকের রয়েছে বিবিধ পুষ্টিগুণ। যা শরীরের হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুণ বর্তমান। যা বহু রোগকেই শরীরের কাছাকাছি ঘেঁষতে দেয় না। কলমি শাক এমন এক জিনিস, যা অনেকের হেঁসেলেই থাকে। পুকুর, জলাশয়ের পাশে ঝোপঝাড়ের মতো এই শাক কেউ কেউ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এতেই আছে পুষ্টির সম্ভার। কলমি শাকে ভিটামিন এ, সি, আয়রন এবং পানি, যা শরীর, ত্বক ও মস্তিষ্কের জন্য একটি পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে ডায়াবেটিসের মতো অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলমি শাকের জলে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও এতে উপস্থিত ফোলেট হোমোসিস্টাইনের মতো রাসায়নিকের বিপদ দূর করতে সাহায্য করে। কলমি শাক পুরুষদের শুক্রাণু বাড়ায়। পুরুষত্ব চাঙ্গা রাখে এই শাক। জন্ডিসের ক্ষেত্রেও সমানভাবে কাজ করে। লিভারের সমস্যায় ভুগলে তারা কলমি শাকের নানা পদ রাখতে পারেন পাতে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Health Tips: সবজিটা না-পসন্দ? খোসা থেকে বীজ, সবটাই পুরুষদের যখের ধন… উল্টোদিকে হাঁটবে বয়স Gallery September 27, 2024 Bangla Digital Desk ২৮ গ্রাম কুমড়োর বীজে রয়েছে ২.৫ গ্রাম আয়রন। এই বীজ ভিটামিন কে, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়ামের দারুণ উৎস। ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ডায়াবেটিস ও অবসাদ কমায়। ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, কপারে ঠাসা কুমড়োর বীজ ছড়িয়ে দিন স্যালাডে৷ আপনার সন্তানের সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল থাকবে৷ কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর জ়িঙ্ক, যা হাড়ের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে কিউকারবিটিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রস্টেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এতে থাকা জিঙ্ক পুরুষের শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করতে পারে। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে কুমড়োর বীজ খুবই উপকারী। বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও এটি নিয়মিত খাওয়া উচিত। এর বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এবং জিঙ্ক পাওয়া যায়। কুমড়োর খোসায় অনেক পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কুমড়োর খোসা ক্যালোরি, ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। পাশাপাশি পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, কপার, ভিটামিন ই এবং আয়রনের মতো ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানও কুমড়োর খোসায় পাওয়া যায়, যা আপনার চোখ, রোগ প্রাতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। (দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Blood Sugar Control: পুরুষদের যৌবন অবসর নেবে না কোনওদিন… সস্তার শাক হাঁপানির যম, টেনে হিঁচড়ে বের করে জেদি সুগার, কোলেস্টেরল Gallery September 27, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্মকালে আমরা সাধারণত বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে পছন্দ করি। আর সবুজ শাক-সবজি আমাদের রসনাতৃপ্তির পাশাপাশি পুষ্টিও জোগায়। আজকাল বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে লাল নটে শাক। বাজারে মূলত সবুজ এবং লাল রঙের নটে শাক পাওয়া যায়। এই শাক ভিটামিন সমৃদ্ধ। বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র নিয়ামতপুরে কর্মরত হোম সায়েন্স বিশেষজ্ঞ ড. বিদ্যা গুপ্তা বলেছেন যে, লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। এই শাক খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এটি শরীরকে নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে। আর এই শাক কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি রোগ পুরোপুরি ভাবে নির্মূল করতে সক্ষম। ড. বিদ্যা গুপ্তা আরও বলেন যে, লাল শাকে উপস্থিত ক্যালসিয়ামের কারণে এটি হাড়কে মজবুত করে। এছাড়া এটি হাড়ের ঘনত্বও বৃদ্ধি করে। আর লাল শাক খেলে হাড় সংক্রান্ত একাধিক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ড. বিদ্যা গুপ্তা জানান যে, লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এমনকী এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। এর পাশাপাশি পেটের ব্যথা এবং ক্র্যাম্পের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। শুধু তা-ই নয়, ফাইবারের কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকর। ডক্টর বিদ্যা গুপ্তা আরও জানান যে, লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। যার কারণে এটি রক্তের ঘাটতি দূর করতেও সহায়ক। সেই সঙ্গে এটি দ্রুত রক্ত উৎপাদনেও সহায়ক। যার কারণে মহিলাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয়। ড. বিদ্যা গুপ্তা জানান যে, লাল শাকে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান রয়েছে। যার কারণে এটি হৃদরোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। শুধু তা-ই নয়, লাল নটে শাকে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। ড. বিদ্যা গুপ্তা জানান যে, লাল শাক ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। লাল শাকের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হাঁপানির মতো রোগের থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আর ফুসফুসও শক্তিশালী হয়। এছাড়া এটি বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
লাইফস্টাইল Foods to not keep in fridge: অজান্তেই বিষ ঢুকছে শরীরে! এই সাত খাবার ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk টমেটো – টমেটোতে লাইকোপেন পাওয়া যায়। টমেটো ফ্রিজে রাখা হলে, ফ্রিজারের ঠান্ডা লাইকোপিনের গঠন পরিবর্তন করে এবং এটি টমেটাইন গ্লাইকোলকালয়েড নামক গ্লাইকো অ্যালকালয়েডে রূপান্তরিত হয়। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আলু – আলু কখনই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ফ্রিজে অর্ধেক কাটা আলু রাখলে ভুল হয়। ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে, আলুর মাড় চিনিতে রূপান্তরিত হয় এবং চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয় না। পেঁয়াজ – অনেকে পেঁয়াজের সালাদ ফ্রিজে রেখে দেন। পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে তা সেখানকার আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং ভিজে যায়। পেঁয়াজে উপস্থিত এনজাইমগুলি ফ্রিজের ঠান্ডার কারণে সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার কারণে পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। রসুন – অনেকেই রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। এটি করা ভুল কারণ তারা ঠান্ডা তাপমাত্রা পাওয়ার পরে নষ্ট হতে শুরু করে। এর থেকে শিকড় বের হতে থাকে। গুণমান খারাপ হওয়ার সাথে সাথে এর স্বাদেরও পরিবর্তন হয়। কলা – রেফ্রিজারেটরে কলা রাখলে তাদের সতেজতা এবং গন্ধ কমতে পারে, কলা রেফ্রিজারেটরে 3-5 দিন তাজা থাকে, তারপরে এটি নষ্ট হতে শুরু করে। তখন সেটা স্বাস্থ্য়ের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে৷ মধু – মধু ফ্রিজে রাখা উচিত নয়৷ এটি এমন একটি খাদ্য উপাদান যেটিকে ফ্রিজে রাখলে ক্ষতি হতে পারে। রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডার কারণে মধুতে উপস্থিত জল জমে যায়, যা মধুর গুণাগুণ নষ্ট করে। পাউরুটি – রেফ্রিজারেটরে পাউরুটির স্বাদ বদলে যায়। ফ্রিজে রাখলে রুটি শক্ত হয়ে যায়। এছাড়াও, এটিকে ফ্রিজে রাখলে ছত্রাক হতে পারে যা এটিকে নষ্ট করে দেয়।
লাইফস্টাইল Foods to avoid: পাকা পেঁপের সঙ্গে ভুল করেও খাবেন না এই পাঁচ খাবার… বদহজম, পেট ফুলে একাকার হবে Gallery September 22, 2024 Bangla Digital Desk পেঁপে এমন একটি ফল যা আপনি প্রতিটি ঋতুতেই খেতে পারেন। এটি কাঁচা এবং রান্না উভয় ভাবেই খাওয়া হয়। পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, যা পেটের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। আছে উচ্চ ফাইবার, লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি, যা আপনার স্বাস্থ্যকে নানাভাবে উপকার করতে পারে। তবে অনেক সময় মানুষ ফল খেতে ভুল করে। কিছু খাবার আছে যা ভুল করেও পেঁপের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়, তা না হলে স্বাস্থ্যের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নেই কোন কোন জিনিসের সঙ্গে পেঁপের মিশ্রণ অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। চিকিৎসক রঞ্জিত দত্ত জানান, পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও জল৷ এই প্যাপেইন, ফাইবার ও জলের মিশ্রণই কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি দূরে রাখতে অব্যর্থ৷ আমরা সবাই জানি পাইলসের প্রধান কারণই হল কোষ্ঠকাঠিন্য৷ পাকা পেঁপেতে থাকে এনজাইম প্যাপেইন যা হজমে সাহায্য করে৷ যে কোনও জটিল খাবার সহজে পরিপাক করাতে পারে পেঁপে৷ যে কারণে খাসির মাংস রান্নার সময় তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে মেশানো হয় পেঁপে৷ তবে দুধ, দই এবং পেঁপে একসঙ্গে খাবেন না। পেঁপেতে উপস্থিত এনজাইম প্যাপেইন দুধকে টক করে দিতে পারে। এটি .দুগ্ধজাত পণ্য হজম হতে দেয় না। গ্যাস, ফোলাভাব এবং পেট ব্যথায় ভুগতে পারেন। পেঁপের সঙ্গে কখনওই আচার খাবেন না। এড়িয়ে যান উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং চর্বিজাতীয় খাবারও। সয়া দুধ, টফুর মতো খাবারে এমন কিছু যৌগ থাকে যা পেঁপেতে উপস্থিত কিছু পুষ্টির শোষণকে বাধা দেয়। এর ফলে আপনার পরিপাকতন্ত্র খারাপ হতে পারে। লেবু, কমলালেবু, আঙুর এবং আঙুরের মতো টক ফলগুলিতে ভিটামিন সি খুব বেশি থাকে। এই টক ফলের সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।