বিনোদন Singaporean Photographer Age: সুঠাম দেহ, সুপুরুষ! ‘তারুণ্যের ছটা’ চেহারায়, সিঙ্গাপুরের এই ব্যক্তির বয়স কত বলুন তো! ৯৯% মানুষই ভুল, জানলে আঁতকে উঠবেন Gallery July 18, 2024 Bangla Digital Desk বার্ধক্য একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়। বলিরেখা দেখা দেয়। কিন্তু বয়সের এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার উল্টো দিকে হাঁটতেও দেখা যায় অনেককে। সিঙ্গাপুরের এক ব্যক্তিকে দেখে বারবার আশ্চর্য হতে হয়। তাঁর ছবি দেখে বয়স বোঝা অসম্ভব। বার্ধক্যের লক্ষণগুলি তাঁর চেহারায় উধাও। নাম, চুয়ানডো ট্যান। পেশায় তিনি সিঙ্গাপুরের একজন ফ্যাশন ফটোগ্রাফার। যাঁকে দেখে ৩০-র শুরুর দিকে অথবা কখনও ২০-র শেষের দিকেও মনে করতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু তাঁর আসল বয়স জানলে বিশ্বাস করতেই পারবেন না। আন্দাজ করতে পারবেন কি? ট্যান ১৯৮০-এর দশকে মডেলিং শুরু করেছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে ফটোগ্রাফিতে ফিরে আসার আগে, তিনি অল্প সময়ের জন্য একজন পপ পারফর্মার ছিলেন। ফটোগ্রাফার ট্যান ফ্যাশনে বিশেষজ্ঞ এবং তাঁর নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে, চুয়ানডো অ্যান্ড ফ্রে। ২০২০ সালে ‘প্রেশাস ইজ দ্য নাইট’ নাটকে মঞ্চে প্রথমবার অভিনয় করেছিলেন। তিনি এমনকি বইও লিখেছিলেন। অনেক লোক তাঁর তরুণ চেহারা সম্পর্কে নানা কারণ অনুমান করেছে। কেউ কেউ বলেছিলেন, এটি জেনেটিক্সের কারণে হয়েছে। কেউ আবার বলেন, সিঙ্গাপুরের বায়ুর গুণমান, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং উচ্চমানের পণ্য ব্যবহারের কারণে এমন ভাবে চেহারা ধরে রাখতে পেরেছেন ট্যান। কিন্তু ট্যান নিজের দৈনন্দিন রুটিনের কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি মনে করেন, আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তা আমাদের মানসিক এবং শারীরিক চেহারায় ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। খাদ্য আমাদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার ৭০% অবদান রাখে, বাকি অংশের জন্য শারীরিক ব্যায়াম। প্রাতঃরাশে ছয়টি ভাল করে সিদ্ধ করা ডিম। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য দু’টি কুসুম সরিয়ে দেন। সারাদিনে বারবার বেরি এবং অ্যাভোকাডো খান। প্রায়শই মুরগির মাংস এবং ভাত, গ্রিল করা সবজি এবং মাছের স্যুপ রয়েছে। মাঝে মাঝে আইসক্রিম খান। হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর জল পান করেন। চা এবং কফি এড়িয়ে চলেন। সপ্তাহে তিন বা চারবার ৩০ মিনিটের জন্য ওয়ার্ক আউট করেন। ওজন প্রশিক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি প্রতিদিন সাঁতার কাটেন এবং ট্রেডমিলে দ্রুত হাঁটাহাঁটি করেন। কোন খাবার ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না? উত্তরে ট্যান একটি নির্দিষ্ট খাবারের পরিবর্তে খাদ্য গোষ্ঠী, প্রোটিনকেই বেছে নেন। যেহেতু ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, তাই তিনি এটির সাপ্লিমেন্ট নেন। কিন্তু এখনও কি তাঁর প্রকৃত বয়স বুঝতে পারলেন? না, তিনি ৩০ বা ২০-র কোঠাতেও নন, এমনকি ৪০-ও নন ট্যান। ৫০-এর প্রায় শেষের দিকে। ২০২৪ সালে তিনি ৫৮ পেরিয়েছেন। দেখে বোঝা অসম্ভব।