লাইফস্টাইল High Blood Pressure Control Tips: হাই প্রেশারে কি বাদাম-কাজু আদৌ খাওয়া চলে? বিভ্রান্তি দূর করুন, জানুন বিশেষজ্ঞের মত Gallery July 26, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের এখনকার জীবনযাত্রার জেরে আমরা প্রায়ই অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের শিকার হয়ে পড়ছি৷ এই সমস্ত রোগই সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে তা আরও কাল রূপ ধারণ করে৷ হাই প্রেশার ব উচ্চ রক্তচাপ এখন প্রায় প্রতিটা পরিবারের সমস্যা৷ কী ভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা নিয়ে চিন্তিত প্রত্যেকেই৷ তার উপরে থাকে নানা মুনির নানা উপদেশ৷ কেউ বলেন এটা খাবেন না, তো কেউ বলে ওটা খেও না৷ অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ড্রাই ফ্রুটস অর্থাৎ, কাজু, পেস্তা, আখরোট, কিশমিস ইত্যাদি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ এই পরামর্শ কতটা ঠিক? আসুন জেনে নিই৷ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র ডায়াটেশিয়ান গ্যারি শিয়াহ জানাচ্ছেন, কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, পর্যাপ্ত ফল এবং শাকসবজি খাওয়া খুব জরুরি, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এছাড়া, কলা ও কমলালেবুর মতো ফল এবং ড্রাই ফ্রুটস যেমন কিশমিশ, এপ্রিকট, আখরোট এবং খেজুরেও পটাশিয়াম বেশি থাকে। অতিরিক্ত পটাশিয়ামের মাত্রার ঝুঁকি এড়াতে সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে খাবার থেকেই পটাশিয়ামের চাহিদা পরিপূর্ণ করা উচিত। বাদাম: মানুষ স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে বাদাম খান৷ কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও কমাতেও বাদাম খাওয়া যেতে পারে। বাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা আপনার আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। কাজু: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজু সবচেয়ে ভাল বলে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং কম সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। খেজুর: খেজুরে প্রাকৃতিক ভাবে সুগার উপস্থিত থাকে৷ এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কিশমিশ: আমরা প্রায়ই কিশমিশকে অবহেলা করি, কিন্তু আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির এক গবেষণা অনুযায়ী দিনে তিনবার কিশমিশ খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে। আখরোট: আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শুধু হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল নয়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে এমন লোকদের জন্যও উপকারী। Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষ এবং তাঁদের রোগের ধরন আলাদা আলাদা৷ তাই নতুন কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷