Narendra Modi on Niti Ayog: লক্ষ্য হোক ব্যক্তি স্তরে ‘শূন্য দারিদ্র’! বিকশিত ভারতকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক নরেন্দ্র মোদির

নয়াদিল্লি: লক্ষ্য হোক শূন্য দারিদ্র, ‘জিরো পভার্টি’৷ স্বাধীনতার একশো বছরে মোদি সরকারের লক্ষ্য ‘বিকশিত ভারত @2047’ ৷ আর এই লক্ষ্যে পৌঁছতে রাজ্য সরকারগুলির পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ নবম নীতি আয়োগের বৈঠকে মোদি জানালেন, ‘বিকশিত রাজ্যই তৈরি করবে বিকশিত ভারত’৷

শনিবারের বৈঠকে মোদি বলেন, ‘‘আমরা অতিমারিকে পরাজিত করেছি৷ আমাদের দেশের মানুষ আগ্রহ এবং উত্তেজনায় পরিপূর্ণ৷ প্রতিটা রাজ্যের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা সমবেত ভাবে বিকশিত ভারত @2047-র স্বপ্নপূরণ করতে পারি৷  বিকশিত রাজ্যগুলিই তৈরি করবে বিকশিত ভারত৷’’

এদিন ‘জিরো পভার্টি’র লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী৷ বিকশিত ভারতের লক্ষ্যপূরণে দেশে শূন্য দারিদ্র অর্থাৎ, ‘জিরো পভার্টি’ হবে অন্যতম উদ্দেশ্য৷ শুধুমাত্র প্রকল্প পূরণের রাস্তায় না হেঁটে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রেও দারিদ্র দূরীকরণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি জানান, একেবারে শিকড় থেকে দারিদ্র দূরীকরণ সম্ভব হলে, দেশে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসা সম্ভব হবে৷

আরও পড়ুন: ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান!’ কলকাতায় ফিরেও অনড় মমতা

মোদি বলেন, ‘‘বিকশিত ভারত @2047 প্রত্যেক ভারতবাসীর স্বপ্ন৷ এই স্বপ্নপূরণে রাজ্যগুলি নিজের মতো করে পরিকল্পনা করতে পারে, কারণ, তাঁরাই মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগে রয়েছে৷’’

ডিএমকে-র তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই (এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন, আম আদমি পার্টির পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং তিন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী – কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া, হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সহ বেশ কয়েকজন ইন্ডিয়া ব্লকের মুখ্যমন্ত্রী যেমন সিং সুখু এবং তেলঙ্গানার রেভান্থ রেড্ডি নীতি আয়োগ সভা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বাজেটে এনডিএ-র জোটসঙ্গী জেডি(ইউ) এবং টিডিপি-র প্রতি পক্ষপাতমূলক বরাদ্দ নির্ধারণের নিন্দা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা৷

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেও, তাঁর বক্তব্যের সময় ৫ মিনিটের মাথায় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি৷ অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগকে খারিজ করে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও৷

আরও পড়ুন: ব্যবসার প্রয়োজনে স্বামীর পরিবার টাকা দাবি করলে তা যৌতুক নয়: এলাহাবাদ হাই কোর্ট

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকে অসত্য বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে এসেছিলেন৷ আমরা সবাই তাঁর বক্তব্য শুনেছি৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের জন্য বরাদ্দ সময় দেওয়া হয় এবং তাঁদের টেবিলের সঙ্গে থাকা স্ক্রিনে সেই সময় ফুটেও উঠছিল৷ সংবাদমাধ্যমে উনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ এটা সম্পূর্ণ অসত্য৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকেই বক্তব্য রাখার জন্য প্রাপ্য সময় দেওয়া হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক এবং অসত্য৷ মিথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনও ধারণা তৈরি না করে তাঁর উচিত এই অভিযোগের আড়ালে থাকা সত্যিটা সামনে নিয়ে আসা৷’’