Gardening Tips: ফুলে-ফলে ভরে যাবে শখের বাগান! গাছ লাগানোর সময় শুধু মাথায় রাখুন সহজ এই ৪ টিপস

হাওড়া: গাছ লাগাচ্ছেন। কিন্তু গাছ লাগানোর সঠিক নিয়ম জানেন তো? বাগান তৈরি বা ছাদ বাগানে গাছ লাগানো বহু মানুষের নেশা। আর এই নেশা আরও জোরদার হয় বর্ষার সময়। বর্ষা মানেই গাছ লাগানোর উৎসব। এই উৎসব আরও জোরদার হয়েছে পরিবেশ রক্ষার তাগিদে। সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় সারা বছর কিছু মানুষ গাছ লাগাতে ব্যস্ত।

সারা বছর পরিশ্রম করে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হয়। বর্ষাকালে গাছ বাঁচিয়ে রাখা যায় খুব সহজে। তাই সেই সময় এই গাছ লাগানোর প্রবণতা আরও বেশি হয়। তবে সঠিক গাছ লাগানোর নিয়ম এবং পরিচর্যার না জানলে গাছ শুকিয়ে বা গোড়া পচন ধরে মারা যায় গাছ। তাই কী ভাবে ফল, ফুল বা বাহারি গাছ লাগাবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন একজন অভিজ্ঞ নার্সারি মালিক। শীতকাল মানে সর্বাধিক ফুল গাছের প্রতি আগ্রহ থাকে।  বেশি ফুলের গাছও বিক্রি হয় নার্সারিতে। তেমনই বর্ষায় বৃক্ষ জাতীয় গাছের চারার সঙ্গেই বিভিন্ন ফলের গাছের চাহিদা বাড়ে। বর্তমান সময়ে থাইল্যান্ড বা হাইব্রিড গাছ লাগানোর প্রবণতা সর্বাধিক। থাইল্যান্ড থেকে আসা বিভিন্ন গাছের দাম যদিও দেশীয় গাছের থেকে অনেকটাই বেশি।

তবে আকর্ষণীয় ফল এবং অল্প দিনে গাছে ফল ফুল আসে। এর কারণে মানুষের আকর্ষণ দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে এই গাছ বসাতে। শখ করে গাছ ক্রয় করে গাছ লাগানোর সঠিক পদ্ধতি না মানার ফলে বহু গাছ মালিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। গাছ লাগাতে খুব সাধারন কয়েকটা বিষয় জানলেই গাছ পরিচর্য করা সহজ হবে।প্রথমত গাছ লাগানোর সময় যেমন নির্বাচন করতে হবে, তেমনই লাগানোর আগে মাটি তৈরি একই সঙ্গে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল।

নার্সারি মালিক হেমন্ত প্রামাণিক জানান, বর্ষার সময় সর্বাধিক ফলের গাছের চাহিদা বেশি। বিশেষ করে থাইল্যান্ড থেকে আনা গাছের। নতুন গাছ লাগাতে সঠিক নিয়ম জানতে হবে। যেমন মাটি তৈরি, খুব সহজে চারা গাছের শিকড় মাটির মধ্যে বিস্তার করতে পারে। তার জন্য নরম জৈব সার মিশ্রিত মাটি প্রয়োজন। সেই সঙ্গে গাছ লাগানোর পর নিয়ম করে জল দেওয়া। খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত জল না হয়। ১৫ দিন থেকে প্রতি মাসে সার প্রয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে লিক্যুইড  ভিটামিন জাতীয় স্প্রে। যাতে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। অন্য দিকে, গাছে ফল আসার কয়েক মাস আগে থেকে উপযুক্ত খাবার দেওয়া প্রয়োজন। টবের গাছের ক্ষেত্রে সতর্কতা আরও বেশি প্রয়োজন।

রাকেশ মাইতি