শরীরের যত্নে অনেকেই নিয়মিত কাঠবাদাম খান। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। অনেকেই আছেন যারা কাঠবাদাম খেয়ে খোসা ফেলে দেন। বাস্তবে শুধু কাঠবাদাম নয়, খোসাও ভীষণ উপকারী। তাই কাঠবাদাম খোসা সমেতও খেতে পারেন বা রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়।
চাটনি তৈরিতে
বাদামের খোসা দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু চাটনি। সারা রাত কাঠবাদামের খোসা ভিজিয়ে রেখে সেগুলি মিহি করে বেটে নিতে হবে। তার পর সেটা দিয়ে তৈরি করা যায় চাটনি।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের পরিচর্যায় বেশ কাজে লাগতে পারে কাঠবাদামের খোসা। অনেকেই বাজার থেকে কাঠবাদামের খোসা দিয়ে তৈরি বডি ওয়াশ কেনেন। কাঠবাদামের খোসা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে চনমনে রাখে।
চুলের যত্নে
আমন্ডের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই। তাই চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায় আমন্ডের খোসা। কাঠবাদামের খোসা, ডিম, মধু, অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করে চুলের গোড়া শক্ত হয়।
আরও খবর: সাসপেন্ড ঋষভ পন্থ! প্লে-অফের জন্য ‘বিরাট’ ম্যাচে শাস্তি পন্থের, কী করেছেন?
দাঁতের সমস্যায়
আয়ুর্বেদ মতে দাঁতের সমস্যায় কাঠবাদাম এবং কাঠবাদামের খোসা বেশ উপকারী। কাঠবাদামের খোসা পুড়িয়ে সেই ছাইটা দাঁতে ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গাছের সার হিসাবে
গাছের সার হিসাবে ব্যবহার করা যায় কাঠবাদামের খোসা। কাঠবাদামের খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিভাইরাল, এবং প্রোবায়োটিক উপাদান। সার তৈরি করতে গেলে কাঠবাদামের খোসা প্রথমে ভাল করে শুকিয়ে পিষে নিতে হবে। সেই গুঁড়ো গাছের গোড়ায় সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।