: আজই ফের একবার বড়সড় বদল আসতে পারে আইপিএলের নিয়মে৷ বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মালিকদের মধ্যে বৈঠকটি ৩১ জুলাই মুম্বইতে বসতে হতে চলেছে৷ বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে৷ যাতে একাধিক সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় হতে পারে আলোচনার টেবল৷ তবে সবার যেদিকে নজর থাকবে তা বল প্রতিটা ফ্রাঞ্চাইজির নিলাম পার্সে কত টাকা রাখা থাকবে৷বর্তমানে প্রতিটি দলের জন্য নিলামে প্লেয়ার কেনার বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা৷ এটি এবার বৃদ্ধি পাওয়ার একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সকলেরই গেমপ্ল্যানের ব্লু প্রিন্টে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত৷২০২৫ সংস্করণের আগে মার্কি প্লেয়ারদের নিয়েও গোলযোগ তুঙ্গে৷ যদি নিলাম পার্স বাড়ানো হয়, তবে নিলামে আরো বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়, এমনকি প্রতিষ্ঠিত নামগুলিরও প্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।নিলামে যে বিশাল পার্স নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা কেনাকাটা করতে আসে সেই কিটির মাপ নিয়ে দর কষাকষি বুধবারের বৈঠকের সবচেয়ে বড় অ্যাজেন্ডা হতে পারে৷ এছাড়াও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার এবং প্লেয়ার রিটেনশনের নিয়মগুলির মতো বিষয়গুলিও ঘুরিয়ে এই নিলামের টাকা বরাদ্দের উপরই নির্ভর করবে৷IPL-র 2024 সংস্করণে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। সিনিয়র ক্রিকেটার থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ কোচ, সবাই এই নিয়মের পক্ষে ছিলেন বলে মনে হয়নি৷ কিন্তু এই বদলের নিয়মটি দর্শকদের জন্য খেলাটিকে আরও বিনোদনমূলক করে তুলেছে কিন্তু খেলোয়াড়ের এটা প্রভাবিত করেছে।ভাল অলরাউন্ডার – অক্ষর, জাদেজা এবং অন্যরা – প্লেয়িং ইলেভেনে জায়গা পেতে একটি পথ খুঁজেছেন তবে আরও বিকল্পের অর্থ হল ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো কেউ কেউ ২০২৪ সালে খুবই কম ম্যাচ খেলেতে পেরেছিলেন৷ ফলে তরুণ ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো খেলোয়াড়দের সামগ্রিক বিকাশের পথ অবশ্যই প্রভাবিত হয়েছিল তবে একই সময়ে, কোচদের খেলার জন্য আরও বিকল্প ছিল।বিসিসিআই বুধবার বিভিন্ন মালিকদের মতামত শুনবে তবে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মনে করেন এটি ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপকার করছে কারণ দলগুলি এই নিয়মের জন্য প্রয়োজন মতো একজন অতিরিক্ত ব্যাটার/বোলার খেলতে পারছে। এই বছর আইপিএলে প্রচুর হাই স্কোরিং গেম হয়েছে৷পাঁচ কি ম্যাজিক সংখ্যা হতে যাচ্ছে? এদিনের বৈঠকে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হল প্লেয়ার রিটেনশন অর্থাৎ প্লেয়ার ধরে রাখার নিয়ম – যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত করবে একটি দল কতজন খেলোয়াড়কে মেগা নিলামের আগে ধরে রাখতে পারবে। এর পাশাপাশি, রাইট টু ম্যাচ (RTM) বিকল্পটিও কতটা কার্যকরী করা যায় তা দেখা হবে এদিনের আলোচনা সভায়৷আর একটি অ্যাজেন্ডায় মিটিংয়ে প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হতে পারে৷ বিভক্ত কারণ সমস্ত দলের নিজস্ব পছন্দের তালিকা রয়েছে। যারা গত কয়েক বছরে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন তাঁরা আরও ধরে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন অন্যদিকে যে দলগুলি সাফল্য পায়নি তারা এই নিয়মের বদল ঘটাতে চায়৷ এমন কিছু দল আছে যারা গত ৪-৫ বছর ধরে ক্রিকেটারদের ধরে রেখেও কোনও লাভ পায়নি৷ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ম্যাজিক নম্বর খুঁজে বের করতে হবে যা সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য উপযুক্ত এবং এটি পাঁচ ক্রিকেটার ধরে রাখারা বিষয় হতে পারে৷ একজন সিনিয়র ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা, যিনি একাধিক আইপিএল দলের অংশ ছিলেন, মনে করেন পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করলে প্রতিটা দলই নিজের কোর টিমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে পাশাপাশি দলে রিফ্রেশ করা নতুন ক্রিকেটারও আনতে সাহায্য করবে৷“আলোচনা থামবে না কারণ ২০২৫ মরশুমের আগে প্রতিটি দল আলাদা অবস্থানে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, যারা ভাল করেছে তারা আরও বেশি করে ধরে রাখতে চায়। কিন্তু ধরে রাখা নিলাম অবমূল্যায়ন. এবং নিলাম আইপিএল ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সামনের বছরগুলিতে, যখন ফ্যানের ঘাঁটিগুলি ভাল এবং সত্যই সমস্ত পক্ষের জন্য সিমেন্টেড হবে, তখন এটি একটি খুব ট্রান্সফার ডমিনেটেড ইকোসিস্টেম হতে পারে তবে এখন পর্যন্ত, নিলাম গুরুত্বপূর্ণ।এমনকি বিসিসিআই-এর পক্ষেও সেই ফর্মুলা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে যা প্রতিটি দলের জন্য কাজ করে তবে আমি দৃঢ় অনুভব করি যে এটি পাঁচটি হতে পারে। এখন তারা কিভাবে করবে সেটা তাদের ডাক। আমি বলতে চাচ্ছি যে তারা কীভাবে আরটিএম বা ধরে রাখা বা বিদেশী খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করে… পাঁচটি একটি ভদ্রস্থ সংখ্যা বলে মনে হয় এবং বেশিরভাগ দলকে খুশি রাখা উচিত, “আইপিএল দলের একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বলেছেন।
