কীভাবে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করতে হয় ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে দেখিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। একটা সময় মনে হচ্ছিল শেষ ম্যাচ হেরে ২-১ ব্যবধানেই সিরিজ জিতবে ভারতীয় দল। বলের থেকে রান কম বাকি ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু লঙ্কান ব্যাটারদের অভিজ্ঞতার অভাব ও সূর্যকুমার যাদবের সাহসী অধিনায়কত্বে বাজিমাত করে গেল টিম ইন্ডিয়া। টাই ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পেয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত।
ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় দল। যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবেরা। ৪৮ রানের মধ্যেই অর্ধেক ভারতীয় দল সাজঘরে ফেরত চলে যায়। এরপর শুভমান গিলের লড়াকু ৩৭ ও রিয়ান পরাগ এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের ২৬ ও ২৫ রানের ইনিংসের সৌজন্য ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা অনবদ্য করে শ্রীলঙ্কা। ওপনিং জুটিতে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ ও দ্বিতীয় উইকেটে রানের জুটি করে লঙ্কান লায়ন্সরা। একটা সময় পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১১০ রানে ২ উইকেট। কুশল মেন্ডিস ৪৩ ও কুশল পেরেরা ৪৬ ও পাথুম নিসাঙ্কা ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দোরগাড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ ২৯ বলে ৭ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ঘুড়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
ওয়াশিংটন সুন্দরের দুই উইকেট ছাড়াও স্লগ ওভারে বোলিং করেন রিঙ্কু সিং ও সূর্যকুমার যাদব নিজে। ভারত অধিনাকের এই সাহসী সিদ্ধান্ত কাজে লেগে যায়। স্পিনারের ওভার বাকি না থাকায় তারাই বল করেন। রিঙ্কু ও সূর্য দুজনেই ২টি করে উইকেট নিন। শেষ ওভারে ৬ রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ টাই করান ভারত অধিনায়ক। তবে সুপার ওভারে মাত্র ২ রান করে শ্রীলঙ্কা। সুপার ওভারে ২টি উইকেট নেন সুন্দর। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে ম্যাচ জেতান শুভমান গিল।