Crime News: তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে গুলি নার্সারি পড়ুয়ার! স্কুলেই ধুন্ধুমার কাণ্ড, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা

পটনা: বয়স মাত্র ৫ বছর। নার্সারির পড়ুয়া। সেই কিনা গুলি করে দিয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে! এমনই চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপৌল জেলার ত্রিবেণীগঞ্জের লালপট্টিতে অবস্থিত সেন্ট জনস বোর্ডিং স্কুলে।

জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে প্রতিদিনই প্রার্থনা হয়। বুধবার সেই সময়ই ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয় নার্সারির ওই পড়ুয়া। গুলি লাগে আসিফ নামের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রের বাঁ হাতে। গুরুতর জখম অবস্থায় ত্রিবেণীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্র এবং তাঁর পরিবার পলাতক। স্কুল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গুলিকাণ্ডের পর দুই শিশুর পরিবারকে স্কুলে ডাকা হয়েছিল। অভিযুক্ত ছাত্র একলব্য এবং তাঁর বাবা মুকেশ যাদব প্রধান শিক্ষকের ঘরে যান। উপস্থিত ছিলেন আসিফের পরিবারের সদস্যরাও। ঘটনা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সামনে দু’পক্ষ আলোচনা করছিল।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে বারবার তলব! মণীশ জৈনকে সরানো হল স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের পদ থেকে

আচমকাই মুকেশ এবং একলব্য চেয়ার ছেড়ে দৌড়ে পালান। প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়েন সবাই। সম্বিত ফিরতেই তাঁদের ধরতে ছোটেন আসিফের পরিবারের লোকজন। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর ক্ষুব্ধ আসিফের পরিবারের লোকজন স্কুল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ত্রিবেণীগঞ্জ থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত শিশু এবং তার পরিবারের কোনও হদিস মেলেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, স্কুল প্রশাসন সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা এড়ানো যেত। ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশও।

আরও পড়ুন: মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর! বাড়তে চলেছে মেট্রোর সংখ্যা..বাড়ছে সময়ও

এই ঘটনা স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কাছেও মর্মান্তিক ও গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখার দাবিও উঠেছে। সব মিলিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও। তাঁদের মতে, স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, ছাত্রদের নিরাপত্তায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।