SSC Scam: শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে বারবার তলব! মণীশ জৈনকে সরানো হল স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের পদ থেকে

কলকাতা: স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের পদ থেকে সরানো হল মণীশ জৈনকে। পরিবর্তে তাঁকে পাঠানো হল উত্তরবঙ্গ ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসাবে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন মণীশ জৈন।

জানা গিয়েছে, মণীশের পরিবর্তে পরবর্তী স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের সচিব হচ্ছেন বিনোদ কুমার। বর্তমানে নগর উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব রয়েছেন তিনি। এবার থেকে তিনি স্কুল ও উচ্চশিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাবেন।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার শিক্ষা দফতর৷ তাতে জড়িয়েছিল খোদ শিক্ষা সচিবের নামও৷ ইন্টারভিউয়ের আয়োজন কারা করতেন? সেই তালিকায় ছিল মণীশ জৈনের নামও। তবে সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করতে দেখা গিয়েছে মণীশ জৈনকে। তাঁর দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কখনওই তাঁকে কোনও ইন্টারভিউর আয়োজন করতে বলেননি।

আরও পড়ুন: মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর! বাড়তে চলেছে মেট্রোর সংখ্যা..বাড়ছে সময়ও

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরায় দাবি করেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তাঁর কিছু জানার কথা নয়। তাঁকে শিক্ষাসচিব অর্থাৎ, মণীশ জৈন যে ফাইল দিতেন, তিনি তাতে সই করতেন মাত্র। সেই সূত্রেই মণীশ জৈনকে ডেকেও পাঠানো হয়৷ চলে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ। শিক্ষাসচিব মণীশ কার নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীকে ফাইল পৌঁছে দিতেন, সে ব্যাপারে মণীশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: তিলজলার ফ্ল্যাট থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার তরুণীর দেহ, বেপাত্তা লিভ-ইন পার্টনার

গত বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের সদর দফতর বিকাশ ভবনে হঠাৎ অভিযান চালিয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা। বিকাশ ভবনের ৬ তলায় তাঁরা মণীশ জৈনের ঘরেও গিয়েছিলেন। সে দিন মণীশের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। এছাড়া, ইডি-র চার্জশিটেও ছিল শিক্ষা সচিবের নাম৷