SC/ST Sub Quota: ‘সংরক্ষণ শুধুমাত্র প্রথম প্রজন্মের ক্ষেত্রেই থাকা উচিত,’ SC/ST-র সাব-কোটায় সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিক্ষেত্রে তফশিলি জাতি-উপজাতিদের মধ্যে সাব ক্লাসিফিকেশন করা যাবে৷ ভারতীয় সংবিধান এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে না৷ সংশ্লিষ্ট রাজ্য নিজ নিজ রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী এই ক্লাসিফিকেশন করতে পারবে৷ বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক রায়ে এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির বেঞ্চ৷

তবে পাশাপাশি, বিচারপতি পঙ্কজ মিথল এ-ও বলেছেন, ‘‘সংরক্ষণ শুধুমাত্র প্রথম প্রজন্মের জন্যই দেওয়া উচিত৷ তারপর দেখা উচিত, দ্বিতীয় প্রজন্ম সাধারণ ক্যাটেগরির মানুষের সমান সমান হতে পেরেছে কি না৷’’

এদিন আদালতের এই রায়দান বলছে, প্রয়োজনে সংরক্ষিত জাতি-উপজাতিদের মধ্যেও ‘আরও পিছিয়ে পড়া’ বর্গের বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত৷ বিচারপতি গাভি বলেন, ‘‘SC/ST-দের মধ্যে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তদের স্তরকে চিহ্নিত করা উচিত৷ তা করতে রাজ্যগুলির উচিত বিশেষ নীতি প্রণয়ন করা৷ তবেই প্রকৃত সামঞ্জস্য আনা সম্ভব হবে৷’’

আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প! ‘ও ভারতীয় না কৃষ্ণাঙ্গ?,’ কমলা হ্যারিসকে নিয়ে এ কী কটাক্ষ

বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,  SC/ST-দের মধ্যে বিশেষ স্তরীকরণ করা যেতে পারে৷ রাজ্যগুলি শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রে বিশেষ সংরক্ষণ ইস্যুতে এই বিষয়ক নীতি প্রণয়ন করতে পারে৷

যদিও এ বিষয়ে বেঞ্চের ৭ বিচারপতিই ঐকমত্য হননি৷ ৬ জন সাব ক্যাটেগরি করার পক্ষে রায় দিলেও, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদি এর বিপক্ষে রায় দেন৷

রায় জানানোর সময় বিচারপতি গাভি জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পরিসংখ্যান ও যুক্তি পরিবেশন করে তবেই SC/ST-দের সাব ক্লাসিফিকেশন করতে পারবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য৷ তিনি বলেন, ‘‘(রাজ্যগুলি) নিজের ইচ্ছেমতো কাজ মোটেই করতে পারবে না৷’’

আরও পড়ুন: ওয়ানাড ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৫৬, এখনও আটকে বহু, আজ পৌঁছলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

২০০৫ সালে শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেছিল, ‘‘তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই।’’ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটিদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।