ব্লাড ক্লটিংকে সহজ ভাষায় রক্ত জমাট বাঁধাও বলা হয়ে থাকে। আজকাল এর সমস্যা বাড়ছে। একইসঙ্গে অনেক রোগী এখনও এই রোগ সম্পর্কে একেবারেই সচেতনও নন। Photo- Representativeমধ্যপ্রদেশের ভোপালের পণ্ডিত খুশি লাল আয়ুর্বেদিক কলেজের গবেষণা ল্যাবে আয়ুর্বেদে এই সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করা হয়েছে। তাতে ক্লটিং থেকে আরোগ্যও লাভ করেছেন রোগীরা। Photo- Representativeলোকাল ১৮-এর সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় পণ্ডিত খুশি লাল আয়ুর্বেদিক ইনস্টিটিউটের গবেষণা ল্যাবের ডা. নিতিন উজ্জালিয়া বলেন যে, রক্ত জমাট বাঁধা, যা ব্লাড ক্লটিং নামেও পরিচিত, তা এখন দিন দিন বাড়ছে। অনেক রোগীই এই রোগে আক্রান্ত। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল- এই সব রোগীর মধ্যে ৪০ বছরের নিচে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। Photo- Representativeআয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে উপশম মিলতে পারে: ডা. নিতীন জানান, এখানে পণ্ডিত খুশি লাল আয়ুর্বেদিক ইনস্টিটিউটের গবেষণা ল্যাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ও ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করে রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। Photo- Representativeতিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা একটি গবেষণা করেছি, তাতে দেখা গিয়েছে যে, কুটকি এক্ষেত্রে সহায় হতে পারে। একে আবার পিক্রেজা কুরভাও বলা হয়। এটি একটি হিমালয়ান ভেষজ ওষুধ। যা উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়। এটি ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।’ Photo- Representativeগবেষণায় যা জানা গিয়েছে: কুটকি নিয়ে গবেষণায় এক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। কুটকি অ্যান্টিথ্রোম্বোটিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। কুটকির ব্যবহার শুধু রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা কমাতেই সাহায্য করে না, সেই সঙ্গে এটি শরীরের জন্য আরও অনেক উপায়ে উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে এটি শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই ব্যবহার করা উচিত। Photo- Representativeডক্টর নিতীন জানান, এর প্রভাব প্রায় ৮ দিনের মধ্যেই দেখা যেতে থাকে। তবে এটি রোগীর রোগের উপরেও খানিকটা নির্ভর করে যে, কুটকি নিজের প্রভাব দেখাতে কতটা সময় নেবে। প্রায় ৪৫ দিন ধরে গবেষণার পর এই সত্যটি প্রকাশ্যে এসেছে। Photo- Representativeরক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণগুলো কী কী? শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গ আলাদা করে কিছু নেই। কারণ এক্ষেত্রে রোগীকে সাধারণত সুস্থ দেখায়। তবে বুকে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আসলে এগুলি রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যার কারণে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। Photo- Representative
