তৃণমূল কংগ্রেস

TMC: কাউন্সিলরদের দক্ষতার অভাব? লক্ষ্য ২০২৬! পুর এলাকায় বাড়তি নজর তৃণমূল কংগ্রেসের

কলকাতা: পুর এলাকায় ভোট কমার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে শাসক দল। পুরমন্ত্রী পুরসভা ভিত্তিক মিটিং শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানরা আদৌ কি টিম চালাতে পারছেন? নাকি, কাউন্সিলরদের দক্ষতার অভাবে ফল খারাপ হয়েছে। সেই উত্তর খুঁজে বার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক পুরসভা এলাকার স্থানীয় স্তরে যে অভিযোগ দলের কাছে এসেছে তার ভিত্তিতেই এই নড়াচড়া।

বাংলার ১২১টি পুরসভার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৯টি পুরসভা এলাকায়। ধুলিয়ান এবং বহরমপুর পুরসভায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৫১টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের ফলাফলে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যে, সারা রাজ্যে ৫০ শতাংশের বেশি পুরসভা এলাকায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি না টিপটিপ-ঝিরঝির? শুক্র-শনি-রবি কী হতে চলেছে বাংলা জুড়ে…! আবহাওয়ার বিরাট আপডেট দিল অলিপুর!

২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে যে তথ্য শাসক তৃণমূলের পক্ষে খুব ‘স্বস্তিদায়ক’ নয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ১২১টি পুরসভায় ভোট হয়েছিল। ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, নদিয়ার তাহেরপুর বাদ দিয়ে বাকি ১২০টি পুরসভাই জিতেছে তৃণমূল। তাহেরপুর ছিল সিপিএমের দখলে। কর্পোরেশন’ এলাকাগুলিতে আবার সব জায়গায় ফলাফল এক নয়। যেমন শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগরের অধিকাংশ এলাকায় এগিয়ে বিজেপি। আবার হাওড়া, কলকাতায় এগিয়ে তৃণমূল। আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকায় অবাঙালি হিন্দু ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।

১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭০টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আবার অবাঙালি হিন্দু ভোটের আধিক্য রয়েছে হাওড়া কর্পোরেশনের যে অসংখ্য ওয়ার্ডে, সেখানে তৃণমূল জয় পেয়েছে। বাঁশবেড়িয়ার জুটমিল এলাকার ভোট যেমন বিজেপির দিকে গিয়েছে, তেমনই একই জেলার চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, রিষড়ার জুটমিল এলাকার ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, সংখ্যালঘু ভোট সর্বত্রই তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। সেখানে এলাকা বিশেষে কোনও তারতম্য নেই। ঘটনাচক্রে আদিবাসী ভোটও এলাকা অনুযায়ী সমীকরণ বদলেছে। ঝাড়গ্রামে দেখা গিয়েছে, আদিবাসী ভোট তৃণমূলের পক্ষে। পুরুলিয়ায় সেই ভোট গিয়েছে বিজেপির পক্ষে। একমাত্র সংখ্যালঘু ভোটের ক্ষেত্রে এমন কোনও রদবদল হয়নি। তৃণমূলের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, পুরসভা ভোটের সময়ে স্থানীয় স্তরে কাউন্সিলরেরা যে ভাবে ঝাঁপান, লোকসভার সময়ে অনেক ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। সে কারণেও শহরাঞ্চলের ভোটের এই ছবি দেখা যাচ্ছে।

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, “আমাদের নিশ্চিত ভাবে কাজের দিক থেকে কোনও খামতি নেই কিন্তু কোনও কোনও পৌরসভার কিছু কিছু ওয়ার্ডে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের খামতি হয়ত ছিল এগুলো নিশ্চিত করছি যাতে মানুষের কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে সেগুলো শোনা হয়। কোনও মানুষের যাতে কাউন্সিলর সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব না থাকে সেই দিকটাই আমরা লক্ষ্য করছি। কাউন্সিলরদের বলেছি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে। পুরমন্ত্রী হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। পৌরসভাগুলি কার কী সুবিধা-অসুবিধা তা শুনে রিভিউ মিটিং করছি।”