Tag Archives: TMC

তৃণমূল কংগ্রেস

অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস বা তৃণমূল ভারতীয় রাজনৈতিক দল। তৃণমূলের প্রভাব প্রতিপত্তি মূলত পশ্চিমবঙ্গে। তবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে সরকার চালাচ্ছে তৃণমূল। বর্তমানে লোকসভায় ২৩, রাজ্যসভায় ১৩ এবং রাজ্য বিধানসভায় ২৩৫ বিধায়ক নিয়ে তারাই সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল। বিজেপি এবং কংগ্রেসের ঠিক পরেই। ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলকে জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

প্রতিষ্ঠা পর্ব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ বছরেরও বেশি সময় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে মনোমালিন্য হওয়ায় কংগ্রেস ত্যাগ করে ১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন। তৃণমূলের নির্বাচনি প্রতীক জোড়া ঘাসফুল (ঘাসের সঙ্গে দুটি ফুল)। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৭টি আসন জিতেছিল। ১৯৯৯-এর নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ৮টি আসন জেতে। ২০০০ সালে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে জয়লাভ করে মমতার দল।

তৃণমূল গঠনের পর ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ-তে যোগ দেন মমতা। তৎকালীন বাজপেয়ী সরকারের অংশ হয় তৃণমূল। ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে ৭টি লোকসভা আসন জেতে। পশ্চিমবঙ্গে ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তৃণমূল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ৬০টি আসন জেতে। কিন্তু ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

নন্দীগ্রাম আন্দোলন: ২০০৬ সালের ডিসেম্বর। হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি নোটিস জারি করে। সেখানে বলা হয়, নন্দীগ্রামে রাসায়নিক প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ৭০,০০০ মানুষকে জমি ছেড়ে দিতে হবে। তৃণমূলের নেতৃত্বে এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ মানুষ। তৈরি হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ আন্দোলনরত গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায় পুলিশ। ১৪ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ আরও অনেক। বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, সিপিআইএমের ক্যাডাররা পুলিশের সঙ্গে মিশে নন্দীগ্রামের বিক্ষোভে গুলি চালায়। এই ঘটনা নড়ে যায় গোটা বঙ্গসমাজ। বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনা তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। পরবর্তী নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যের প্রধান কারণও এটাই।

নন্দীগ্রাম পরবর্তী সিঙ্গুর নির্বাচন: ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধে তৃণমূল। ১৯টি আসন জেতে মমতার দল। মনমোহন সিং সরকারে রেলমন্ত্রী হন মমতা। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালের কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ১৪১টি আসনের মধ্যে ৯৭টি আসন দখল করে তৃণমূল। অন্যান্য পুরসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করে।

এবার সরকারে: ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২২৭টিতে জয় হাসিল করে তারা। তৃণমূল একাই জেতে ১৮৪টি আসন। পরবর্তীকালে বসিরহাটের একটি উপনির্বাচনে জয় লাভ করে তৃণমূল। কংগ্রেসের ২ বিধায়ক তৃণমূলে চলে আসেন। ফলে মমতার দলের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮৭। মমতা সেই সময় সাংসদ। বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি। তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর তিনি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী হন।

Dev-TMC: ‘বৃষ্টিতে ভিজে আমাকে দেখার জন্য নিজেদের শরীর খারাপ করবেন না!’ ভোট প্রচারে নিজে ভিজেও মানুষকে বার্তা দেবের!

পাঁশকুড়া: তীব্র ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাঁশকুড়ায় ভোট প্রচারে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেব। শনিবার বিকেলের পর থেকেই কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। কিছুক্ষণ পরেই হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। ১১ মে শনিবার বিকেলের পর থেকে পাঁশকুড়াতে ভোটের কর্ম ভোট প্রচারের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বিকেলের পর থেকেই ঝড় বষ্টি শুরু হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা ভেবেছিলেন হয়ত তাদের দলে তারকা প্রার্থী এদিনের প্রচারে আসবেন না। কিন্তু তাদের সেই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করেন দেব। পাঁশকুড়ায় পৌঁছে তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রচার চালান।

প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পশ্চিম পাশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার শাসকবিরোধী দলের তারকা প্রার্থীদের লড়াই। একদিকে দেব অন্যদিকে বিজেপির হিরণ। এই দুই অভিনেতার লড়াই জমে উঠেছে। একদিকে বিজেপি প্রার্থী হিরণকে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দেবকে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আপেলের সমান পুষ্টিগুণ! অবহেলায় পড়ে থাকা এই ফলই কোলেস্টেরল-সহ বহু জটিল রোগের যম!

১১ মে শনিবার বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাঁশকুড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব। দেবের এই প্রচার ঘিরে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি উপেক্ষা করে অভিনেতা দেবকে দেখার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড়। আর সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মঞ্চ থেকে দেব সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে জানান, বৃষ্টিতে ভিজে আমাকে দেখার জন্য নিজেদের শরীর খারাপ করবেন না।’ সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে তিনি আরও বলেন। তিনি ভাল ব্যবহার দিয়ে মানুষের মন জয় করতে চান। সাধারণ মানুষকে ভাবতে হবে আগামী প্রজন্ম কেমন রাজনীতিবিদ কে চায়!

সৈকত শী

Lok Sabha Election 2024: চতুর্থ দফায় নজর কাড়বে এই জেলার ভোট, বাঙালি-অবাঙালি মিশ্রণে নির্ধারক একাধিক সমীকরণ

পশ্চিম বর্ধমান: শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের প্রচার শেষ হলো। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৩ মে বহরমপুর, পূর্ব বর্ধমানের আসনগুলির পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও ভোটগ্রহণ হবে। এই জেলায় আসানসোলের পাশাপাশি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশ পড়ছে।

নির্বাচন উপলক্ষে একেবারে প্রস্তুত প্রশাসন। ফলে জেনে নেওয়া যাক পশ্চিম বর্ধমান জেলার সার্বিক ভোট প্রস্তুতির চিত্রটা কী রকম? প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪২৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮৩ জন। অন্যদিকে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪০ জন।

আর‌ও পড়ুন: সম্ভাবনা থেকেও পর্যটন মানচিত্রে নেই দাঁতন, ভোটের আগে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবাসীর নতুন দাবি

এই জেলায় রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র। একটি আসানসোল, যা পুরোপুরি এই জেলার মধ্যেই অবস্থিত। অপরটি বর্ধমান-দুর্গাপুর। এই কেন্দ্রটির একাংশ পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমানে পড়ছে। জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ২৪৯৮ টি। ১২৭৪ জায়গায় থাকছে পোলিং স্টেশন বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। অন্যদিকে জেলায় ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল উত্তর এবং সবথেকে ছোট পাণ্ডবেশ্বর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটা। এই ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৩৮ জন। যার মধ্যে ১৯,৭২৬ জন পুরুষ এবং ১৫,৭১১ জন মহিলা ভোটার। তাছাড়া রয়েছেন একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভোটারে সংখ্যা ৯,১৮১ জন। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার আছেন ১৪,৪৫৮ জন। এই বয়স্ক ভোটার এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশন আগেই ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল। বাড়িতে গিয়ে এই সমস্ত ভোটারদের ভোট গ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে, জেলায় এমন ২৪ টি বুথ থাকবে, যেগুলির সমস্ত দায়িত্ব থাকবে মহিলা ভোট কর্মীদের উপর। সংখ্যার হিসেবে আসানসোল লোকসভায় এমন বুথের হচ্ছে ১৫ টি। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভা এলাকায় থাকছে ৯ টি মহিলা পরিচালিত বুথ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার রয়েছে মোট ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র। যার মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে আসানসোল লোকসভায়। অন্যদিকে দুটি বিধানসভা অবস্থিত বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, জামুরিয়া, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ এবং কুলটি বিধানসভা নিয়ে গঠিত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। অন্যদিকে দুর্গাপুর পূর্ব এবং দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। এই লোকসভা কেন্দ্রের আর পাঁচটি বিধানসভা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে কান ঘেঁষে জয়ী হয়েছিলেন এস এস আলুওয়ালিয়া। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তখন বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হোন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এই দুটি আসন থেকেই লড়ছেন নজরকাড়া প্রার্থীরা। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দিলীপ ঘোষকে। যিনি মেদিনীপুরের নিজস্ব ময়দান ছেড়ে এসে এখানে লড়াই করছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। তিনি আবার বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। এই কেন্দ্রে সিপিএম বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুকৃতি ঘোষালকে প্রার্থী করেছে। অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে এবারেও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র ছেড়ে আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। এই দুই নামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী করেছে লড়াকু শ্রমিক নেত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক জাহানারা খানকে।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম

পুরুলিয়া: চলছে লোকসভা নির্বাচন। ফলে সর্বত্র দিনরাত এক করে প্রচার করছেন প্রার্থীরা। মিটিং , মিছিল , প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসক-বিরোধী সকলেই। প্রতিদিনই প্রার্থীদের চলছে জনসংযোগ। ‌পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত এদিন শিক্ষক নেতাদের নিয়ে ঝড়ো প্রচার করলেন।

রাজ্যের শাসক দলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা এদিন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে প্রচারে নামেন। পুরুলিয়া শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে এই মিছিল শুরু হয়, শেষ হয় শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। বহু নেতা-কর্মী এইদিনের এই মিছিলে পা মেলান।

আর‌ও পড়ুন: এই গ্রামের মানুষ অন্য কিচ্ছু চায় না, প্রার্থীদের কাছে শুধু একটাই দাবি

এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত বলেন, রাজ্য সরকার সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে। সরকারের নির্দেশ অনুসারে আমরাও সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমাদের কর্মীরাও মানুষের হয়ে সব সময় কাজ করেন। ‌ তাই জনসংযোগে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গিয়েছে। মানুষ রাজ্য সরকারের পাশে রয়েছে।

দু-বারের মন্ত্রী, ছয় বারের বিধায়ক শান্তিরাম মাহাত। ৬৯ বছর বয়সেও গোটা জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ‌ প্রচার, মিটিং, মিছিলে রীতিমত ঝড় তুলছেন। প্রথম দিন থেকে নিজের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। নির্বাচনী প্রচার পর্বে সেই আত্মবিশ্বাস‌ই ফুটে বের হচ্ছে।

শমিষ্ঠা ব্যানার্জি

Lok Sabha Election 2024: এই গ্রামের মানুষ অন্য কিচ্ছু চায় না, প্রার্থীদের কাছে শুধু একটাই দাবি

বীরভূম: আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে শনিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এদিন সবকটি রাজনৈতিক দলের ভোট প্রচার তুঙ্গে ওঠে। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে সব কটি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিটি এলাকার মানুষকে ছুঁয়ে যাওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু যাদের জন্য এই নির্বাচন সেই আমজনতা কী চাইছে?

গত পাঁচ বছরে কতটা উন্নয়ন হয়েছে তার খোঁজ নিতে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নারায়ণঘাঁটি গ্রামে। উল্লেখ্য এইবার বোলপুর থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিদায়ী সাংসদ অসিত কুমার মাল, বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়া সাহাকে। অপরদিকে সিপিএমের প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান।

আর‌ও পড়ুন: ‘চৌধুরী’ গড়ের পতন ঘটাতে বদ্ধপরিকর পাঠান! ভোটের আগেই আবেগে ভাসছেন ইউসুফ

নারায়ণঘাঁটি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, তাঁদের প্রধান দাবি কৃষিকাজে পর্যাপ্ত সেচের জলের সরবরাহ নিশ্চিত হয় যেন। বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর-২ ব্লক এলাকা মূলত কৃষি প্রধান বলে পরিচিত। এই এলাকায় বছরের সব সময়ই চাষবাস হয়ে থাকে। কিন্তু জল সেচের উন্নত পরিকাঠামো না থাকায় এখানে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

কৃষি কাজে জল সেচের জন্য বাম আমলে পাকা নালা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা আজ ভগ্নপ্রায়। এখনও বিভিন্ন চাষযোগ্য জমিগুলোতে পাকা নালার অভাবে ঠিকমত হচ্ছে না চাষ। তাই গ্রামবাসীরা সবার আগে চান তাঁদের জীবিকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। সেই কারণেই উন্নত জল সেচের পরিকাঠামো করে তোলার দাবি জানিয়েছেন।

সৌভিক রায়

Lok Sabha Election 2024: ‘চৌধুরী’ গড়ের পতন ঘটাতে বদ্ধপরিকর পাঠান! ভোটের আগেই আবেগে ভাসছেন ইউসুফ

মুর্শিদাবাদ: বঙ্গ রাজনীতির একটি মিথের অবসান ঘটাতে সুদূর গুজরাট থেকে প্রার্থী হয়ে এখানে এসেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাঁধে গুরু দায়িত্ব সঁপেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বহরমপুর মানেই অধীর চৌধুরী, এই মিথের অবসান ঘটাতে ইউসুফ জোড়া ফুল শিবিরের সবচেয়ে বড় বাজি। কিন্তু এই লক্ষ্যে ইউসুফ পাঠান সফল হবেন নাকি অধীর চৌধুরী তা জানা যাবে আগামী ৪ জুন। তবে তার আগে শনিবার ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন ইউসুফ পাঠান।

বহরমপুরের টানা পাঁচবারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে এবার তৃণমূল ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় জোরদার টক্কর হবে এখানে। সম্পূর্ণ ভিন্নক্ষেত্রের মানুষ হলেও ইউসুফ পাঠান’ও গোড়া থেকেই কোমর বেঁধে এই লড়াইয়ে নেছেন। এর মধ্যেই দাদার হয়ে ভোট প্রচারে বহরমপুর ঘুরে গিয়েছেন একসময়ের ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ইরফান পাঠান।

আর‌ও পড়ুন: চিকিৎসক থেকে প্রার্থী, শর্মিলা সরকারকে নিয়ে প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

তবে প্রচারের মাঝেই ঘন ঘন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন ইউসুফ। তিনি জানান, বহরমপুর লোকসভায় এবার তৃণমূল জিতবেই। সাধারণ মানুষ তাকে ভরসা করতে শুরু করেছে বলেও তিনি জানান। বহরমপুর লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা তেই গত একমাস ধরে দিনরাত প্রচার করে বেড়িয়েছেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। গত এক মাস ধরে যে পড়াশোনা করেছেন তার ভিত্তিতে পরীক্ষা আগামী সোমবার, ১৩ মে। আর ফল প্রকাশ ৪ জুন।

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Election 2024: চিকিৎসক থেকে প্রার্থী, শর্মিলা সরকারকে নিয়ে প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

পূর্ব বর্ধমান: শনিবার ছিল প্রচারে শেষ দিন। আগামী সোমবার, ১৩ মে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। সকলকে চমকে দিয়ে কিছুটা অস্বাভাবিকভাবেই এখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে চিকিৎসক শর্মিলা সরকারকে। এক্ষেত্রে তারা পরিচিত রাজনৈতিক মুখের উপর বিশেষ ভরসা করেনি। অবশ্য শর্মিলা সরকারের বাড়ি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ গ্রামের মেয়ে শর্মিলা সরকার। তবে পেশাগত কারণে তিনি অনেকটা সময় কলকাতায় থাকতেন। তবে প্রার্থী ঘোষণার পর পুরো সময়টাই প্রচারে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে এতটুকু শিথিলতা দেখেননি।

আর‌ও পড়ুন: জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে কর্মশালা! হাওড়ায় যা যা ঘটল…

ভোট প্রচার চলাকালীন একাধিকবার তিনি চমকও দিয়েছেন। নিজে একজন চিকিৎসক হওয়ায় শর্মিলা সরকার প্রচারের মধ্যেই মাঝেমধ্যে রোগী দেখেছেন। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক মানুষের চিকিৎসা করেছেন তিনি। তবে লোকসভা ভোটের আগে শর্মিলা সরকার প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীরা কী জানাচ্ছেন? পাড়ার মেয়ে প্রার্থী হয়েছে, এই বিষয়ে কী মত স্থানীয়দের? এইসকল প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম একেবারে শর্মিলা সরকারের বাড়ির সামনে, তাঁর নিজের পাড়ায়। কথোপকথন হয় বেশ কিছু স্থানীয় মানুষের সঙ্গে।

শর্মিলা সরকারের প্রতিবেশী প্রীতম দাস বলেন, পাড়ার দিদি প্রার্থী হয়েছেন। গাড়ি করে যাতায়াত করছেন দেখছি। অবশ্যই খুব ভাল লাগছে। ভোটে যদি তিনি জেতেন আশা করব এলাকার আরও উন্নয়ন হবে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দত্ত, প্রদীপ দত্ত এবং অনামিকা ভাওয়ালরা বলেন, পাড়ার মেয়ে প্রার্থী হয়েছে এতে সবাই খুশি হয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকার চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সমস্যা আছে। এই এলাকায় যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকে আগে ভাল পরিষেবা পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে পরিকাঠামো বেশ খারাপ। তাঁদের আশা, ভোটের পর হয়ত এই হাসপাতালের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোন্ও পদক্ষেপ করা হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok sabha Elections 2024: আসানসোলে মেগা রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহাকে জেতানোর ডাক

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দলের প্রার্থীর হয়ে মেগা রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে বিশাল রোড শো করেছেন তিনি। হুড খোলা গাড়িতে চেপে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তায় রোড শো করেছেন প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে। গাড়িতে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

এদিন আসানসোলের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো। হুড খোলা গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাছাড়াও সেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ,জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর প্রচারের শেষ বেলায় এই রোড শো থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে ফের আসানসোলে জেতানোর আওয়াজ শুনেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, আসানসোলের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হওয়া এই রোড শো গিয়ে শেষ হয় আসানসোলের হটন রোড এলাকায়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে এই রাস্তাতেই রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ এর চেনা সেই রাস্তায় ফের ২৪’এর নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Purulia News: ২-বারের মন্ত্রী, ৬-বারের বিধায়ক, আজও ঘুরে দেখেননি দিঘা-পুরী-দার্জিলিং!

এদিনের নির্বাচনী প্রচার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। তার বক্তব্যে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বড় সংখ্যায় ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়াও নির্বাচনী এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

নয়ন ঘোষ

Purulia News: ২-বারের মন্ত্রী, ৬-বারের বিধায়ক, আজও ঘুরে দেখেননি দিঘা-পুরী-দার্জিলিং!

পুরুলিয়া: বাংলা জুড়ে চলছে ভোটের আবহ। শাসক বিরোধী প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারের জন্য বেশ অনেকখানি সময় পেয়েছিল প্রার্থীরা। আর তাতেই যেন নিজেদের মতকরে প্রচারে ঝড় তুলেছেন সকলে। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো। রাজ্যে দু-বারের প্রাক্তন মন্ত্রী ও ছ-বারের বিধায়ক। বছর ঊনসত্তরেও যেন তরতাজা যুবকের মত ছুটে বেড়াচ্ছেন সর্বত্র। তার প্রয়াত বাবা রামকৃষ্ণ মাহাতোর পথ অবলম্বন করে নিজের জীবনে চলেন তিনি। ছাত্র জীবন থেকেই বাবার সমর্থনে কংগ্রেসের পক্ষে দেওয়াল লিখতেন।

২০০৪ ও ২০১৯-এ কংগ্রেসের হয়ে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হন তিনি। সেই সময় জিততে না পারলেও এবারের লোকসভা ভোটে নিজের জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী শান্তিরাম। গোটা জীবনই রাজনীতির লড়াইয়ের ময়দানে নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছেন। রাজ্যে দু-বারের মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বাঙালির অন্যতম ইমোশন দিঘা , পুর , দার্জিলিং আজ পর্যন্ত ঘুরে দেখেননি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।

এ বিষয়ে প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো বলেন,”দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলীয় কাজে অনেক জায়গায় যাওয়া হলেও কখনও কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। মানুষের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে নিজের জন্য সময় বের করে ওঠা হয়নি। অবসর সময় বলে কিছু নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই দীঘা, পুরী, দার্জিলিং আজ পর্যন্তঘুরে দেখা হয়নি।”

আরও পড়ুনঃ KKR vs MI: মুম্বই ম্যাচে কেমন হবে কেকেআরের একাদশ? থাকছে কোন চমক! জেনে নিন বিস্তারিত

প্রচারে , মিটিং, মিছিলে রীতিমতঝড় তুলেছেন প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো। নিজের জয়ের ব্যাপারে সমস্ত দিক থেকে তাকে কনফিডেন্ট থাকতে দেখা গিয়েছে সব সময়। গোটা জীবনই জনগণের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। রাজনীতির ময়দানে অনেকেরই অনুপ্রেরণা তিনি। এবার তাঁর সংসদে যাওয়া হয় কিনা তার উত্তর দেবে আগামী ৪ জুন।

Lok Sabha Election 2024: প্রার্থীদের কাছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি শুনলে চমকে উঠবেন!

বীরভূম: আগামী ১৩ মে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। তার আগে এখানকার মানুষজনের দাবি-দাওয়া কী, তাঁরা কেমন আছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে কী চাইছেন তা নিয়ে খোঁজ নিলাম আমরা। আর সেখানেই উঠে এল এক চমকে দেওয়া ছবি।

ময়ূরেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত কুন্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলুর, নারায়নঘাঁটি ও আকলপুর গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলি আমরা। এখানকার গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কোন দলের প্রার্থী জিতবে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। শুধু এলাকার উন্নয়ন চান তাঁরা। গত কয়েক বছরে এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জল সহ নানান পরিষেবার উন্নতি ঘটেছে। তবে এই কৃষি প্রধান এলাকায় জল সেচের বড় সমস্যা আছে। চাষের মরশুমে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্র থেকে জিতে যিনিই সাংসদ হন না কেন তাঁর কাছে এখানকার মানুষের একটাই দাবি, জল সেচের পরিকাঠামোর উন্নতি করার পাশাপাশি এলাকার কৃষকরা এই কাজে সোলার ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পেতে চাইছেন। কারণ তাতে খরচ কমবে বলে তাঁদের ধারণা।

আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর আগে সিঁদুরে মেঘ! দু’বছর আগের অভিজ্ঞতা আবার হবে না তো?

এই এলাকার গ্রাম গ্রামগুলোতে ঘুরে আমরাও দেখলাম, চাষযোগ্য জমিতে ঠিকমত জল সেচের ব্যবস্থা নেই। বাম আমলের তৈরি পাকা নালার আজ ভগ্নদশা। এখনও বিভিন্ন চাষযোগ্য জমিগুলোতে পাকা নালার অভাবে ঠিকমত হচ্ছে না চাষ।

সৌভিক রায়

Lok Sabha Election 2024: বাড়িতেই বুথ! ঘরে বসে দিব্যি ভোট দিলেন এই জেলার ভোটাররা

নদিয়া: আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট হবে নদিয়ার দুই লোকসভা কেন্দ্রে। তারই প্রাক্কালে বিশেষভাবে সক্ষম এবং প্রবীণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগাম ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করল নির্বাচন কমিশন।

নদিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রবীণ নাগরিকেরা নিজের বাড়িতে বসে এভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি। পোলিং অফিসার, সেক্টর ইন্সপেক্টর কেন্দ্রীয় বাহিনী, স্থানীয় বিএলও এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট সংগ্রহ করা হয়।তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে তা আগ্রহের বিষয় হলেও এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই ভোট গ্রহণ ছিল কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে। সে ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক উপায়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে প্রভাববিহীন ভোট দান করতে পেরেছেন বলেই জানিয়েছেন ভোটাররা।

আরও পড়ুন: আগে এসেছিলেন শুভেন্দু, সভা শুরুর আগে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘শুদ্ধ’ করল তৃণমূল

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, এক বা দুজন রাজ্য পুলিশের কর্মীকে নিয়ে প্রতি টিম এ থাকছেন দু’জন পোলিং অফিসার, একজন মাইক্রো অবজার্ভার, একজন ভিডিওগ্রাফার এবং গোটা প্রক্রিয়া সুপারভাইস করার জন্য সেক্টর অফিসার। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ শুরু করা হয় সেন্টার থেকে। একাধিক নির্বাচনী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন এই সেন্টারে। যদিও এই প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে আঁটোসাঁটো করা ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

মৈনাক দেবনাথ