সাকার মাউথ ক্যাটফিশ

Alipurduar News: বিষাক্ত! সব ধ্বংস করে দেবে এই রাক্ষুসে মাছে… চিনে রাখুন, দেখলেই মৎস্যদফতরকে জানান

আলিপুরদুয়ার: নদীতে এই একটি মাছের দেখা মিললেই জানান মৎস দফতরকে। নদীর বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত করতে এই মাছ একাই একশো। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলার হান্টা পাড়ার এক নদীতে দেখা গিয়েছে এই মাছ। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে গবেষকেরা।  মাছের নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ।

শুধু হান্টা পাড়া নয়, পরিবেশপ্রেমীদের মতে তোর্সা নদীতে দেখা গিয়েছে এই মাছ। বেশিরভাগ মানুষ এই মাছকে ক্রোকোডাইল ফিশ নামেই চেনেন। তবে এর অফিশিয়াল নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। এটি মূলত অর্নামেন্টাল ফিশ। ঘরের শোভা বাড়াতে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়। তবে এই মাছকে একাই রাখা হয়। কারণ অন্য মাছের সঙ্গে মিশে গেলে ক্রোকোডাইল ফিশ ঘাতকের ভূমিকা নেয়। এমনকি এই মাছকে খেতে দেওয়ার সময় সতর্কভাবে দিতে হয়।

তবে এই মাছ ডুয়ার্স-এর নদীতে কিভাবে এল তা নিয়ে চিন্তিত সকলে। এই মাছ শীঘ্রই নদী থেকে উদ্ধার না হলে দ্রুত এরা বংশবৃদ্ধি করে নদীর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এই মাছের কারণে ডুয়ার্স এর বিলুপ্তপ্রায় নদীয়ালি মাছ যেমন পাথরচাটা, কুসুম,দারকিনি, ঝিলা আর নদীতেই থাকবে না। সব মাছ এই সাকার ফিশ খেয়ে নেবে। এমনকী বোরোলি মাছের স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যেতে পারেন মৎসপ্রেমীরা।

এই বিষয়ে গবেষক তথা শিক্ষক অভিদীপ হাজরা জানান, “এই মাছ দক্ষিণ আমেরিকার খাল, বিলে দেখতে পাওয়া যেত।এগুলিকে অর্নামেন্টাল ফিশ বলে। সাধারণত একুরিয়ামের নোংরা খেয়ে পরিষ্কার করে। কিন্তু এগুলি নদীতে ছাড়া পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বড় হতে থাকে মাছগুলি।তখনই নদীর ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। অবিলম্বে জেলার নদী থেকে এই মাছ উদ্ধার না হলে আর নদীয়ালি মাছ বাঁচবে না।”