ভূমিধসে তছনছ ওয়ানাডের গ্রামেই কি বাজিভর্তি আনারস খাইয়ে গর্ভবতী সেই হাতির খুন হয়েছিল?

Wayanad Tragedy: ভূমিধসে তছনছ ওয়ানাডের গ্রামেই কি বাজিভর্তি আনারস খাইয়ে গর্ভবতী সেই হাতির খুন হয়েছিল? নেটপাড়ায় শোরগোল

কলকাতা: ভূমিধসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়ানাডের পরিস্থিতির সঙ্গে জুড়ে গেল সেই বাজিভর্তি আনারস খেয়ে গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনা। নেটপাড়ায় এমন শোরগোল যে, সকলেই চার বছর আগের সেই ঘটনার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একেই বলে প্রকৃতির বদলা’। কীভাবে হল এমনটা? ওয়ানাডের গ্রামেই কি ঘটেছিল সেই হাতির মৃত্যু? নাকি পুরোটাই গুজব?

প্রথমেই মনে করা যাক ২০২০ সালের ৩ জুনের সেই হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঠিক কী ছিল? ঘটনাটি কেরলের পালাক্কাড জেলার। যেখানে একটি হাতি খাদ্যের সন্ধানে নানা জায়গায় ঘুরছিল যখন কিছু লোক তাকে বাজি-পটকা বাঁধা একটি আনারস খাইয়ে দেয়। সে মানুষের ভরসায় সেটি খেয়েও ফেলে। হাতিটি গর্ভবতী ছিল। আর সেই আনারস খাওয়ার পর জীবন যায় তার।

আরও পড়ুন: এই একটি ফল নিয়ে বিমানে ওঠা নিষেধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! জানেন কোন ফল?

বাজি পটকার বারুদের জেরে বিষক্রিয়া হয় এবং হাতিটি যন্ত্রণা লাঘব করতে ৩-৪ দিন একটি জলাশয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেকে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার ছবি ও লেখা রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই সেই ঘটনার সঙ্গে ওয়ানাডের ভূমিধসে বিধ্বস্ত গ্রামের কথা মিলিয়ে দিয়ে পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘”ঈশ্বর ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না….”
“মল্লপূরম্” নামটা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু অনেকেরই মনে আছে, আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে কেরালার এক গ্রামে কোন এক গর্ভবতী হাতিকে আনারসে বো*ম ঢুকিয়ে খাইয়ে নির্মম ভাবে হ*ত্যা করেছিল গ্রামেরই কিছু লোক। টানা চার দিন জলে দাঁড়িয়ে ছটফট করতে করতে মারা যায়। হ্যাঁ এই সেই গ্রাম, এবার ভূমিধসে গ্রামটাই ধ্বংস হয়ে গেল। পাপের ঘড়া পূর্ণ হতে হতে কোনোদিন এভাবেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে…’

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার ভারী বৃষ্টি-বাজের পূর্বাভাস, উত্তরেও ফের দুর্যোগ! আবহাওয়ার বড় খবর

কিন্তু কেরলের সাম্প্রতিক ভূমিধসের যে ঘটনা ঘটেছে তা পালাক্কাডে নয়। এটি ঘটেছে ওয়ানাডে যা পালাক্কাড থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে। রাজ্য এক হলেও, কেরলে সাম্প্রতিক ভূমিধস ও ওই উল্লেখিত ঘটনার স্থান সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, মানুষই মনগড়া আজগুবি গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।