Tag Archives: Elephant Death

Elephants Death: ডুয়ার্সের জঙ্গলে পরপর হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু! কারণ খুঁজতে কালঘাম ছুটছে বনদফতরের

আলিপুরদুয়ার: কালচিনি ব্লকের পাশাপাশি দু’টি চা বাগানে হাতির দেহ উদ্ধার ঘিরে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে। যদিও ইতিমধ্যে হাতির দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি বনদফতরের তরফে।

রায়মাটং চা বাগান থেকে যে স্ত্রী হাতিটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটির মৃত্যু দলগত সংঘর্ষে হয়েছিল বলে ধারণা বন দফতরের। তবে কালচিনির বুকিনবাড়ি থেকে যে হাতি শাবকটির দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মৃত্যুর কিনারা করে উঠতে পারছে না বনদফতর। শুক্রবার দুপুরে এক বুনো হাতির রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়মাটাং চা বাগানে।

এক পূর্ণবয়ষ্ক স্ত্রী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় চা বাগান থেকে। আলিপুরদুয়ার জেলার রায়মাটাং চা বাগানের পাঁচ নং সেকশনে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান একটি হাতিকে। সামনে যেতেই দেখা যায় হাতিটি মৃত। এরপর তাঁরা বনদফতরের পানা রেঞ্জ-এ খবর দেন। ঘটনাস্থলে পানা রেঞ্জ থেকে বনকর্মীরা পৌঁছায় এবং হাতির দেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে স্নাতকোত্তরের আবেদন, কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ? জানুন বিস্তারিত

অন্যদিকে সেদিন বিকেলে বুকিনবাড়ি চা বাগানের ভেতর থেকে হস্তি শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একটি হস্তিশাবকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বনদফতরের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা পৌঁছে হস্তি শাবকটিকে উদ্ধার করে।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও নবিকান্ত ঝা-এর মতে, ছোট হাতিটির মৃত্যু বজ্রাঘাতে হয়নি। হয়ত কোনও বিষধর সাপের ছোবল, নয়তো কোনও দলে থাকাকালীন বড় হাতির পা অথবা পেটে চাপা পরে মারা গিয়েছে। হস্তি শাবকটি যখন উদ্ধার হয়েছিল তখন তার সারা গায়ে মল মাখা ছিল বলে জানা যায়। ময়নাতদন্ত হয়েছে, রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। তারপর আসল কারণ জানা যাবে, ততদিন হাতির দলগুলির ওপর নজরদারি চলবে।

Annanya Dey

Alipurduar News: এবার আলিপুরদুয়ারের চা বাগানে হাতির মৃত্যু, কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

আলিপুরদুয়ার: ঝাড়গ্রামে হাতির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ এখনও অব্যাহত। এরই মধ্যে আরও এক হাতির মৃত্যুর খবর। এবার ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার। এক বুনো হাতির রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের রায়মাটাং চা বাগানে। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

এদিন দুপুরে এক পূর্ণবয়ষ্ক স্ত্রী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় চা বাগান থেকে। আলিপুরদুয়ার জেলার রায়মাটাং চা বাগানের পাঁচ নং সেকশনে এদিন এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান হাতিটিকে। প্রথমে দেখে অনেকেই বুঝতে পারেনি হাতিটি মৃত। কারণ সেটি বসে ছিল। অনেক সাহস নিয়ে সামনে যেতেই দেখা যায় হাতিটি মৃত।

এরপর তারা বনদফতরের পানা রেঞ্জ-এ খবর দেন। ঘটনাস্থলে পানা রেঞ্জ থেকে বনকর্মীরা পৌছায়।বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। এডিএফও নবিকান্ত ঝা এর অনুমান দলগত কোনও সমস্যার শিকার হাতিটি।

আরও পডুনঃ Howrah News: স্কুলে শিশুদের সামনে হঠাৎ জোড়া বিষধর কেউটে সাপ! কী ঘটল তারপর

হাতিটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বনকর্মীরা। এরপর বুনো হাতির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মত বন দফতরের। হাতিটির বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।

Annanya Dey

Elephant Death: মর্মান্তিক মৃত্যু স্ত্রী হাতির! জ্বলন্ত শলাকা ছুড়ে হত্যা, প্রতিবাদে গর্জে উঠল জঙ্গলমহল

ঝাড়গ্রাম: বন্যেরা বনে সুন্দর। তবে ধীরে ধীরে জীবন নিয়ে আশঙ্কায় প্রাণীকূল। জঙ্গলমহলেই ঘটে গেল এক ভয়ানক ঘটনা, শুনলে গা শিউরে উঠবে। দিকে দিকে শুরু হয়েছে আন্দোলন। কার গাফিলতিতে এত বড় ঘটনা, জবাব চাইছে সাধারণ মানুষ থেকে পশুপ্রেমীরা। জ্বলন্ত শলাকা বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতির। যা নিয়ে রীতিমত হতবাক বন্যপ্রাণ প্রেমীরা। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শুধু জঙ্গলমহল নয় পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন।

খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে শহরে ঢুকে পড়েছিল হাতিটি। আর সেই কারণেই বড় মাশুল গুনতে হল একটি স্ত্রী হাতিকে। জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে কাতর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল স্ত্রী হাতিটি। হাতির মৃত্যুর পর গর্জে উঠেছে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হচ্ছে ঝাড়গ্রামে। সামাজিক মাধ্যমে গর্জে উঠছে নেটিজেনেরা।

অভিযোগ, হাতি তাড়ানোর সময় হুলা পার্টির কোনও এক সদস্য হাতিটিকে লক্ষ্য করে জ্বলন্ত শলাকা ছুড়ে দেয়। যা হাতিটির মেরুদণ্ডে গিয়ে আটকে যায়। মেরুদণ্ডে জ্বলন্ত হুলার শলাকা ঢুকে যেতেই কাতর চিৎকার শুরু করে স্ত্রী হাতিটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার পেছনের দু’টি পা অকেজ হয়ে যায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর নিজে শুঁড় দিয়ে শলাকাটিকে ধরে শরীরের বাইরে থেকে বার করে ছুড়ে ফেলে স্ত্রী হাতিটি। কাতর চিৎকার করতে করতে হামাগুড়ি দিতে থাকে। এই অবস্থায় হাতিটি অচৈতন হয়ে গেলে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন অর্থাৎ ১৬ অগাস্ট মৃত্যু হয়। ১৭ আগস্ট হাতিটির ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের পরেই সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, হুলা পার্টির জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে কেবলমাত্র একটি হাতির নয় দু’টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেও দাবি করা হয়। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল কি না সেই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি বনদফতর।

স্বাধীনতা দিবসের সকালে দুবরাজপুর হয়ে শাবক-সহ পাঁচটি হাতির একটি দল ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগরপল্লী এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতির দলে থাকা একটি পুরুষ হাতির আক্রমণে একজন শহরবাসীর মৃত্যু হয়। তারপরেই বনদফতর ঘুমপাড়ানি গুলি করে পুরুষ হাতিটিকে পাকড়াও করে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। বাকি চারটি হাতি আশ্রয় নেয় নতুন জেলা শাসকের অফিসের পাশে থাকা পরিত্যক্ত প্রাণিসম্পদ দফতরের পাঁচিল ঘেরা একটি ছোট্ট জঙ্গলে।

হাতি দেখার জন্য শহরবাসীর ভিড় উপচে পড়েছিল চারিদিকেই। এই অবস্থায় বনদফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সূর্যের আলো নামার পর এই চারটি হাতিকে ড্রাইভ করে জঙ্গলে পাঠানো হবে। কিন্তু বিকেলের পর চিত্রটা বদলে যায়। হুলা পার্টির সদস্যরা হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর জন্য কাজে নেমে পড়ে। দলটির সঙ্গে শাবক থাকায় স্ত্রী হাতিটি উত্তেজিত অবস্থায় ছিল।

আরও পড়ুন: এক ফোন কলেই সুরক্ষা মিলবে মহিলাদের, আরজি কর কাণ্ডের পর এলাকার যুবকদের উদ্যোগ

হাতিটিকে বাগে আনার জন্য হুলা পার্টির এক সদস্য পরিত্যক্ত একটি একতলা বাড়ির উপর উঠে স্ত্রী হাতিকে জ্বলন্ত শলাকা ছুড়ে মারে। যার ফলেই মৃত্যু হয় হাতিটি। এমনই অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগকে সামনে রেখে প্রতিবাদ মিছিল করা হয় ঝাড়গ্রাম শহরে। কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হলেও প্রতিবাদ মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পা মেলান শহরের বহু মানুষ। তবে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দাবি তুলেছেন সকলে। গোটা ঘটনার তদন্তে বনদফতর। যদিও এ বিষয়ে বন আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি কোনও প্রতিক্রিয়া।

রঞ্জন চন্দ

Wayanad Tragedy: ভূমিধসে তছনছ ওয়ানাডের গ্রামেই কি বাজিভর্তি আনারস খাইয়ে গর্ভবতী সেই হাতির খুন হয়েছিল? নেটপাড়ায় শোরগোল

কলকাতা: ভূমিধসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়ানাডের পরিস্থিতির সঙ্গে জুড়ে গেল সেই বাজিভর্তি আনারস খেয়ে গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনা। নেটপাড়ায় এমন শোরগোল যে, সকলেই চার বছর আগের সেই ঘটনার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একেই বলে প্রকৃতির বদলা’। কীভাবে হল এমনটা? ওয়ানাডের গ্রামেই কি ঘটেছিল সেই হাতির মৃত্যু? নাকি পুরোটাই গুজব?

প্রথমেই মনে করা যাক ২০২০ সালের ৩ জুনের সেই হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঠিক কী ছিল? ঘটনাটি কেরলের পালাক্কাড জেলার। যেখানে একটি হাতি খাদ্যের সন্ধানে নানা জায়গায় ঘুরছিল যখন কিছু লোক তাকে বাজি-পটকা বাঁধা একটি আনারস খাইয়ে দেয়। সে মানুষের ভরসায় সেটি খেয়েও ফেলে। হাতিটি গর্ভবতী ছিল। আর সেই আনারস খাওয়ার পর জীবন যায় তার।

আরও পড়ুন: এই একটি ফল নিয়ে বিমানে ওঠা নিষেধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! জানেন কোন ফল?

বাজি পটকার বারুদের জেরে বিষক্রিয়া হয় এবং হাতিটি যন্ত্রণা লাঘব করতে ৩-৪ দিন একটি জলাশয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেকে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার ছবি ও লেখা রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই সেই ঘটনার সঙ্গে ওয়ানাডের ভূমিধসে বিধ্বস্ত গ্রামের কথা মিলিয়ে দিয়ে পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘”ঈশ্বর ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না….”
“মল্লপূরম্” নামটা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু অনেকেরই মনে আছে, আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে কেরালার এক গ্রামে কোন এক গর্ভবতী হাতিকে আনারসে বো*ম ঢুকিয়ে খাইয়ে নির্মম ভাবে হ*ত্যা করেছিল গ্রামেরই কিছু লোক। টানা চার দিন জলে দাঁড়িয়ে ছটফট করতে করতে মারা যায়। হ্যাঁ এই সেই গ্রাম, এবার ভূমিধসে গ্রামটাই ধ্বংস হয়ে গেল। পাপের ঘড়া পূর্ণ হতে হতে কোনোদিন এভাবেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে…’

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার ভারী বৃষ্টি-বাজের পূর্বাভাস, উত্তরেও ফের দুর্যোগ! আবহাওয়ার বড় খবর

কিন্তু কেরলের সাম্প্রতিক ভূমিধসের যে ঘটনা ঘটেছে তা পালাক্কাডে নয়। এটি ঘটেছে ওয়ানাডে যা পালাক্কাড থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে। রাজ্য এক হলেও, কেরলে সাম্প্রতিক ভূমিধস ও ওই উল্লেখিত ঘটনার স্থান সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, মানুষই মনগড়া আজগুবি গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।