ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিসে ফল, ডায়াবেটিসে কোন ফল খাবেন না, সুগার, ব্লাড সুগারের রোগী, ডায়াবেটিসে রোগীরা কী খাবেন, ডায়াবেটিসের ডায়েট চার্ট, ডায়াবেটিসে মেথি জল, করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা, সুগারের ঘরোয়া উপশম, সুগারে চিরতার জল, সুগারের রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাবার, স্বাস্থ্য উপকারিতা, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল টিপস, স্বাস্থ্যকর রুটিন, স্বাস্থ্য, ওজন কমবে, ডায়াবেটিস, ব্লাড সুগার লেভেল, ব্লাড সুগার, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া উপায়, ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট, কতটা চিনি খাবেন, কখন চিনি খাবেন, ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা, সুগার রুটিন, বেস্ট ডেইলি রুটিন, ডায়াবেটিসে, হাঁটা, হাঁটার উপকারিতা, ঘুমের উপকারিতা, কতক্ষণ হাঁটবেন, কতক্ষণ ঘুমাবেন

Diabetes Age Chart: ডায়াবেটিস হয়নি তো আপনার…? ‘বয়স’ অনুযায়ী Blood Sugar লেভেল কত হলে ‘পারফেক্ট’! মিলিয়ে নিন লিস্ট

ভারতে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিক। আর প্রায় ১৫ কোটি মানুষ প্রাক-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের মধ্যে অনেকেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনও নন।
ভারতে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিক। আর প্রায় ১৫ কোটি মানুষ প্রাক-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের মধ্যে অনেকেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনও নন।
চিকিৎসকদের মতে, বাড়িতেই আপনার শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক না বেশি। তার জন্য অবশ্য জানা থাকা জরুরি বয়স অনুযায়ী সুগারের চার্ট।
চিকিৎসকদের মতে, বাড়িতেই আপনার শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক না বেশি। তার জন্য অবশ্য জানা থাকা জরুরি বয়স অনুযায়ী সুগারের চার্ট।
বয়স অনুযায়ী সুগার লেভেল কত হওয়া উচিত: চার্ট বলছে, ১৮ বছর থেকে বেশি বয়সিদের ব্লাড সুগার লেভেল খাওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা পর ১৪০ mg/dL এবং ফাস্টিং সুগার ৯৯ mg/dL হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যাঁদের বয়স ৪০ এর বেশি তাঁরা নিয়মিত হেলথ চেকআপ করুন।
বয়স অনুযায়ী সুগার লেভেল কত হওয়া উচিত: চার্ট বলছে, ১৮ বছর থেকে বেশি বয়সিদের ব্লাড সুগার লেভেল খাওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা পর ১৪০ mg/dL এবং ফাস্টিং সুগার ৯৯ mg/dL হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যাঁদের বয়স ৪০ এর বেশি তাঁরা নিয়মিত হেলথ চেকআপ করুন।
আবার পরের বয়সসীমা অনুযায়ী, যে সমস্ত ব্যক্তিদের ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে বয়স এবং ডায়াবেটিসের রোগী তাঁদের ক্ষেত্রে ফাস্টিং সুগার লেভেল ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL হতে হবে। খাওয়ার পরে ১৪০ mg/dL এর কম এবং ডিনারের পরে ১৫০ হলে তা ঠিকঠাক বলে মানা হয়। তার বেশি হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।
আবার পরের বয়সসীমা অনুযায়ী, যে সমস্ত ব্যক্তিদের ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে বয়স এবং ডায়াবেটিসের রোগী তাঁদের ক্ষেত্রে ফাস্টিং সুগার লেভেল ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL হতে হবে। খাওয়ার পরে ১৪০ mg/dL এর কম এবং ডিনারের পরে ১৫০ হলে তা ঠিকঠাক বলে মানা হয়। তার বেশি হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।
বয়স নির্বিশেষে সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খালি পেটে রক্তে শর্করার পরিমাণ মোটামুটি ৬০mg/dL থেকে ১০০ mg/dL হওয়া উচিত। অন্যদিকে খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১২০ থেকে ১৪০ mg/dL এর মধ্যে থাকলে এটি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়।
বয়স নির্বিশেষে সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খালি পেটে রক্তে শর্করার পরিমাণ মোটামুটি ৬০mg/dL থেকে ১০০ mg/dL হওয়া উচিত। অন্যদিকে খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১২০ থেকে ১৪০ mg/dL এর মধ্যে থাকলে এটি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়।
ডঃ দীনেশ কুমার ত্যাগী, গ্রেটার নয়ডার ফোর্টিস হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বলেন, "ডায়াবেটিস একটি গুরুতর রোগ। মানুষ যখন এই রোগে আক্রান্ত হয় তখন তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি সুষম খাদ্য, ব্যায়াম ও ভাল জীবনযাপন করতে হয়।"
ডঃ দীনেশ কুমার ত্যাগী, গ্রেটার নয়ডার ফোর্টিস হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বলেন, “ডায়াবেটিস একটি গুরুতর রোগ। মানুষ যখন এই রোগে আক্রান্ত হয় তখন তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি সুষম খাদ্য, ব্যায়াম ও ভাল জীবনযাপন করতে হয়।”
ডায়াবেটিস শুধুমাত্র চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং চিরতরে নিরাময় করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখা এবং সময়ে সময়ে সেটি পরীক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস শুধুমাত্র চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং চিরতরে নিরাময় করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখা এবং সময়ে সময়ে সেটি পরীক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
যাদের প্রাক-ডায়াবেটিস রয়েছে তারা এটিকে চাইলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে সকলেরই মানুষের রক্তে শর্করার মাত্রা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য জানা উচিত, যাতে এটি বাড়িতেও পর্যবেক্ষণ করা যায়।
যাদের প্রাক-ডায়াবেটিস রয়েছে তারা এটিকে চাইলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে সকলেরই মানুষের রক্তে শর্করার মাত্রা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য জানা উচিত, যাতে এটি বাড়িতেও পর্যবেক্ষণ করা যায়।
রক্তে শর্করার স্বাভাবিক পরিসীমা কত?ডাঃ দীনেশ কুমার ত্যাগীর মতে, খালি পেটে এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত মানুষের রক্তে ফাস্টিং এর শর্করার মাত্রা ৬০mg/dL থেকে ১০০ mg/dL হওয়া উচিত।
রক্তে শর্করার স্বাভাবিক পরিসীমা কত?ডাঃ দীনেশ কুমার ত্যাগীর মতে, খালি পেটে এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত মানুষের রক্তে ফাস্টিং এর শর্করার মাত্রা ৬০mg/dL থেকে ১০০ mg/dL হওয়া উচিত।
খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে শর্করার পরিমাণ ১২০ থেকে ১৪০ mg/dL হওয়া উচিত। এটি খাবারের পরে সাধারণ সুগার লেভেল হিসাবে বিবেচিত হয়। যদি আপনার শরীরে সুগারের মাত্রা এর মধ্যেই থাকে, তাহলে আপনি সুস্থ এবং ডায়াবেটিসের কোনও ঝুঁকি নেই আপনার। কিন্তু এর বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে শর্করার পরিমাণ ১২০ থেকে ১৪০ mg/dL হওয়া উচিত। এটি খাবারের পরে সাধারণ সুগার লেভেল হিসাবে বিবেচিত হয়। যদি আপনার শরীরে সুগারের মাত্রা এর মধ্যেই থাকে, তাহলে আপনি সুস্থ এবং ডায়াবেটিসের কোনও ঝুঁকি নেই আপনার। কিন্তু এর বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্লাড সুগার কতটা হলে তা প্রাক-ডায়াবেটিস সঙ্কেত? বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি একজন ব্যক্তির রক্তে ফাস্টিং শর্করার পরিমাণ ১০০-১২৪ mg/dL এবং খাবার খাওয়ার পরে সুগারের মাত্রা ১৪০-১৬০ mg/dL-এর মধ্যে থাকে, তাহলে তাকে প্রাক-ডায়াবেটিসের শ্রেণীতে রাখা হয়।
ব্লাড সুগার কতটা হলে তা প্রাক-ডায়াবেটিস সঙ্কেত? বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি একজন ব্যক্তির রক্তে ফাস্টিং শর্করার পরিমাণ ১০০-১২৪ mg/dL এবং খাবার খাওয়ার পরে সুগারের মাত্রা ১৪০-১৬০ mg/dL-এর মধ্যে থাকে, তাহলে তাকে প্রাক-ডায়াবেটিসের শ্রেণীতে রাখা হয়।
এর মানে হল সেই ব্যক্তির রক্তে শর্করা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তবে তাঁর ডায়াবেটিস নেই। প্রি-ডায়াবেটিসকে নিয়মিত ওষুধ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক করা যায়।
এর মানে হল সেই ব্যক্তির রক্তে শর্করা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তবে তাঁর ডায়াবেটিস নেই। প্রি-ডায়াবেটিসকে নিয়মিত ওষুধ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক করা যায়।
প্রি-ডায়াবেটিস রোগীরা HbA1C টেস্ট করাতে পারেন। এই পরীক্ষায় গত ৩ মাসের গড় রক্তে শর্করার পরিমাণ জানা যায়। যদি HbA1C পরীক্ষার ফলাফল ৫.৭ থেকে ৬.৪-র মধ্যে হয়, তাহলে কিন্তু প্রাক-ডায়াবেটিস নিশ্চিত।
প্রি-ডায়াবেটিস রোগীরা HbA1C টেস্ট করাতে পারেন। এই পরীক্ষায় গত ৩ মাসের গড় রক্তে শর্করার পরিমাণ জানা যায়। যদি HbA1C পরীক্ষার ফলাফল ৫.৭ থেকে ৬.৪-র মধ্যে হয়, তাহলে কিন্তু প্রাক-ডায়াবেটিস নিশ্চিত।
ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা কত?চিকিৎসকের মতে, যখন উপবাসে রক্তে শর্করার পরিমাণ ১২৫ mg/dL -র বেশি হয় এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে চিনি ১৬০ mg/dL বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনার অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত এবং সঠিক চিকিত্সা করা উচিত।
ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা কত?চিকিৎসকের মতে, যখন উপবাসে রক্তে শর্করার পরিমাণ ১২৫ mg/dL -র বেশি হয় এবং খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে চিনি ১৬০ mg/dL বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনার অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত এবং সঠিক চিকিত্সা করা উচিত।
ডায়াবেটিস নিশ্চিত করার জন্য, ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করতে পারেন এবং তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে ডায়াবেটিস স্পষ্টভাবে নির্ণয় করা হয়। ডায়াবেটিস নিশ্চিত করতে HbA1C পরীক্ষা করা হয়।
ডায়াবেটিস নিশ্চিত করার জন্য, ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করতে পারেন এবং তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে ডায়াবেটিস স্পষ্টভাবে নির্ণয় করা হয়। ডায়াবেটিস নিশ্চিত করতে HbA1C পরীক্ষা করা হয়।
এই পরীক্ষার ফলাফল ৬.৫ বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস নিশ্চিত করা হয়। এ ধরনের রোগীদের ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে হয়। ৩৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের সময় সময় তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।
এই পরীক্ষার ফলাফল ৬.৫ বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস নিশ্চিত করা হয়। এ ধরনের রোগীদের ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে হয়। ৩৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের সময় সময় তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।
অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের  পরামর্শ নিন।
অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।