ক্যালসিয়ামের উৎস বলতে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে গরুর দুধের কথা। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগরিকালচার (USDA)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১ কাপ গরুর দুধে ৩১৪ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে, যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম গ্রহণের ২৪ শতাংশ। ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ দুধ হাড় শক্ত করে, হাড়ের ক্ষয় রোধ করে, পেশি শক্ত-সবল করে। কিন্তু দুধ-ও কখনও কখনও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পরে। কখন? দুধের সঙ্গে ভুল করেও এই ৮টি খাবার খাবেন না, সোজা হাসপাতালে ছুটতে হবে–দই– আয়ুর্বেদ মতে, দুধ আর দই একসঙ্গে খাওয়া চলবে না, আগু পিছু খাওয়াও চলব না, দেখা দিতে পারে মারাত্মক পেটের সমস্যা।লেবুজাতীয় ফল– সাইট্রাস জাতীয় ফল কখনওই দুধের সঙ্গে খাওয়া যায় না। এই ফলগুলিতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা দুধের প্রোটিনকে সহজে হজম হতে দেয় না। ফলে গ্যাস, পেটব্যথার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। টকজাতীয় ফল খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা বাদে দুধ খান।কলা– অনকেই দুধ আর কলা একসঙ্গে খান, কিন্তু এটি মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যেস নয়। দুধ আর কলা একসঙ্গে খুব ভারী খাবার যা সহজে হজম হয় না।গুড়– আয়ুর্বেদের মতে, দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।মাছ– মাছ আর দুধ দুটোই খুব স্বাস্থ্যকর, কিন্তু একসঙ্গে খাওয়া চলবে না। দুধ আর মাছ একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা, পেটে ব্যথা, পেটের নানা গোলমাল হতে পারে। ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। নারকেল আর দুধ-ও একসঙ্গে খেলে শরীর খারাপ করে।মশলাদার খাবার– মশালাদার বা ভাজা খাবার দুধের সঙ্গে খাওয়া চলবে না। এই-সমস্ত খাবার স্টমাকে অ্যাসিড তৈরি করে যা দুধের সঙ্গে মিশে অ্যাসিডিটি, বদহজম, পেট-বুক জ্বালার মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার– এমন খাবার যাতে খুব বেশি প্রোটিন আছে, যেমন ডিম, মাংস, বিন দুধের সঙ্গে খাওয়া চলবে না, পেটের সমস্যায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠবে।
