কলকাতাঃ কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড। মুকুন্দপুর এলাকার সোনালি পার্ক। সব মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ টি গেস্ট হাউস। হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিক আসা-যাওয়া করেন। এরা কেউ চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়েছেন ১ মাস আগে। কেউ ১৫ দিন। পেট্রাপোল-সহ সমস্ত সীমান্ত দিয়েই যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ছন্দে ফিরছে বিমান পরিষেবা, নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে কলকাতা এল বাংলাদেশের বিমান
কিন্তু ইন্দো-বাংলা ট্রেন বন্ধ। বিমান অনিয়মিত। সড়ক পথে বাসে যাত্রা ঘিরেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর প্রভাব পড়েছে মুকুন্দপুরের গেস্ট হাউসে। সোনালি পার্ক এলাকায় দীর্ঘ ২১ বছর ধরে গেস্ট হাউস চালান ৬০ বছরের হিমাংশু মৃধা। যাঁরা রয়ে গেছেন তাঁরা ছাড়া গত ১০ – ১২ দিন ধরে আর কেউ আসছেন না। লাটে উঠেছে গেস্ট হাউসের ব্যবসা। কমবেশি একই অবস্থা অন্যান্য গেস্ট হাউসের।
ক্রমাগত গণ আন্দোলনের অভিঘাতের মুখে পড়ে সোমবারই পদত্যাগ করে নিরাপত্তার খাতিরে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত বিগত প্রায় এক মাস ধরে চলছিল সরকার-বিরোধী তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন। এদিকে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই শেখ হাসিনা তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। তাঁরা ব্রিটেনে নিতে আশ্রয় চেয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী রেহানা আবার ব্রিটেনেরই নাগরিক। কিন্তু সূত্রের খবর, হাসিনার এই রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ব্রিটেনের তরফে নিশ্চিত করে কিছুই জানানো হয়নি।