সরকারি স্কুলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮০ পড়ুয়া!

Students Fall Sick in UP: সরকারি স্কুলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮০ পড়ুয়া! শুরু হল পেটে ব্যথা, বমি, ভয়ানক বিপত্তি!

দেওরিয়া, উত্তরপ্রদেশ: হোস্টেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল পড়ুয়ারা! উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার মেহরুনা গ্রামের পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় আশ্রম মেথড ইন্টার কলেজে খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সূত্রের খবর, শিক্ষার্থীরা রাতের খাবার খাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। রাতের খাওয়া শেষ হওয়ার কিছু পরে শিক্ষার্থীরা বমি করতে শুরু করে। ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দেয় তাদের শরীরে।

সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার পরিচালিত এই স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সব পড়ুয়াই চিকিৎসার অধীন, এবং নিরাপদে রয়েছে এমনই জানা গিয়েছে।

যদিও ঘটনায় অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে থানায়। মামলার তদন্ত চলছে। জেলাশাসক দিব্যা মিত্তল আশ্বাস দিয়েছেন যে ঘটনায় যাঁদের হাত রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই ছাত্র মহর্ষি দেবরাহ বাবা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছে। বাকিরা স্কুলেই চিফ মেডিকেল অফিসারের (সিএমও) নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দলের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা পাচ্ছে। জেলাশাসক মিত্তাল এবং পুলিশ সুপার সংকল্প শর্মা ছাত্রদের পরীক্ষা করতে মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেছেন।

ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একটি দল ক্যাম্পাসের রান্নাঘর এবং স্টোরেজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রান্নাঘরে প্রস্তুত রুটি, মুসুর ডাল, সবজি, ছোলা, লঙ্কা গুঁড়ো, তেল এবং মিশ্রিত আচার-সহ সাতটি নমুনা সংগ্রহ করেছেন খাদ্য নিরাপত্তার সহকারী কমিশনার বিনয় কুমার সহায়। উল্লেখ্য নমুনাগুলি স্কুলের পরিচালক রাজকুমার গুপ্তের উপস্থিতিতে সংগ্রহ করা হয়েছিল। স্টোরেজ এবং রান্নাঘরের ঘাটতির বিষয়ে একটি নোটিশও জারি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- ৫৬৮ ফুট পটচিত্রে গোটা মহাভারত! মেদিনীপুরের এই পটুয়ার কীর্তি সাড়া ফেলল বিদেশেও

নমুনাগুলি পরীক্ষার জন্য একটি খাদ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছেন সহায়। সরকার পরিচালিত স্কুলটিতে ক্লাস সিক্স থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত ৩২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সূত্রের খবর, পড়ুয়ারা আগের রাতে রুটি ও ছোলার তরকারি খেয়েছিল। দিনে প্রস্তুত করা সেই তরকারি সন্ধ্যায় আবার ‘পুরি’ দিয়ে পরিবেশন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার কারণ, এমনই মনে করা হচ্ছে।