Ant Eggs: পিঁপড়ের ডিমের বিশাল চাহিদা! কোন কাজে লাগে এই জিনিস? দাম শুনবে চমকে যাবেন

বসিরহাট: বর্ষার মুখে চওড়া হাসি পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহকারীদের। প্রতি বছর বর্ষার সময় দুটো পয়সার মুখ দেখেন সুন্দরবন থেকে সীমান্তের পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহকারী কিছু মানুষ। জানা যায়, বর্ষার সময় মাছ ধরার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে অনেকেই ভালবাসেন। আর তাদের জন্য প্রথম সারির পছন্দের টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পিঁপড়ের ডিমকেই।

রুটিরুজির জন্য কত বিচিত্র পেশা বেছে নেন অনেকেই। তেমনই এক বিচিত্র পেশা লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ। জঙ্গলমহলে অনাহারে মানুষ পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বেঁচে আছে। সেই পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ করেই বাড়তি আয়ের মুখ দেখেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বেশ কিছু বাসিন্দা।

এই সময় পিঁপড়ের ডিমের চাহিদা বেশি থাকলেও জোগান সেভাবে থাকে না। সেই জন্য পিঁপের ডিমের মূল্যও পাওয়া যায় কয়েকগুণ বেশি৷ বর্ষার সময়ে প্রতি কেজি পিঁপড়ের ডিম এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। গ্রাম বাংলার বাগানে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা হয় এই ডিম। গ্রামের সরু রাস্তা থেকে গলিপথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন লাল পিঁপড়ের ডিম। সেই পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ করেই বাড়তি আয়ের মুখ দেখেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের কয়েকজন যুবক। বসিরহাট-সহ কলকাতার বাজারগুলিতে এর চাহিদাও রয়েছে বেশ ভাল।

ওই পেশায় যুক্ত কয়েজন জানান, যে ধরনের পিঁপড়ের ডিম মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়, তার চাহিদাই সবথেকে বেশি। সাধারণত লাল রঙের এই পিঁপড়ে ঝোপঝাড় বা বড়ো গাছের উপরে লার্ভা-নিঃসৃত এক প্রকার সিল্ক দিয়ে তিন-চারটি পাতাকে মুড়ে সেলাই করে থলির মতো বানিয়ে নেয়। এই থলি যেমন মজবুত, তেমন দেখতেও সুন্দর। ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে এই বাসার মধ্যেই রেখে দেয় পিঁপড়ের দল। পাকা ফলও এদের খাবার। সব মিলিয়ে বর্ষায় পিঁপড়ের ডিমের চাহিদার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়া যায় মুখে চওড়া হাসি ডিম সংগ্রহকারী ব্যক্তিদের।

জুলফিকার মোল্যা