ঋষভ পন্থের জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেই ডাক্তারও ভিনেশের জন্য কিছু করতে পারলেন না!

কলকাতা: প্যারিস অলিম্পিক্সে বুধবার সকালে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। যাঁকে সম্ভাব্য সোনা জয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তাঁকে ফাইনালের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হল।

দেশবাসী ভিনেশের কাছ থেকে সোনার আশা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ায় তিনি ফাইনালের জন্য অযোগ্য হয়ে গেলেন। প্যারিস অলিম্পিক্সের মহিলা কুস্তির ৫০ কেজি সোনার মেডেল ম্যাচে ভিনেশ আমেরিকার অ্যান হিলডেব্র্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- ছিলেন ৫৩ কেজিতে, নামলেন ৫০ কেজিতে! কার ভুলে ভিনেশ বাদ? বড় খবর

মঙ্গলবার সকালে প্রথম লড়াইয়ের আগে ভিনেশের ওজন ছিল ৪৯.৯০ কেজি। এর পর প্রথম ম্যাচে অংশ নেওয়ার অনুমতি পান তিনি। একই দিনে টানা তিনটি বাউট খেলে ফাইনালে ওঠেন তিনি।

সেমিফাইনালে জেতার পর ভিনেশের ওজন হঠাৎ করে প্রায় ৫২.৭ কেজি হয়ে যায়। এর পরই ভিনেশের ওজন কমাতে প্রখ্যাত চিকিৎসক দিনেশ পারদিওয়ালার সাহায্য নেওয়া হয়। তাও কোনও লাভ হয়নি।

ভিনেশ ফোগটের ওজন কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে সবাই চিন্তিত ছিলেন। ফাইনালের আগের রাতে ঘুমোতে পারেননি ভিনেশ। গগন নারাং, প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের শেফ ডি মিশন, দিনশ পারদিওয়ালা, ভিনেশের স্বামী, ফিজিও, মেডিকেল স্টাফ এবং আইওএ কর্মকর্তারা ওজন কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।

ভিনেশ ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর যিনি অলিম্পিক্সে কুস্তির ফাইনালে উঠেছিলেন। ডঃ দিনশ পারদিওয়ালা সম্প্রতি টিম ইন্ডিয়ার উইকেটকিপার ঋষভ পন্তের অস্ত্রোপচার করেছিলেন।

তিনি কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর, যুবরাজ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ এবং রবীন্দ্র জাদেজার চিকিৎসাও করেছেন। তিনি একজন স্পোর্টস অর্থোপেডিক সার্জন। তিনি ২২ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন- ভিনেশ বাতিল, IOA সভাপতি পিটি ঊষাকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর! কী হবে এবার?

পারদিওয়ালা মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালের চিকিৎসক। পারদিওয়ালা ২০০৯ সালে ISAKOS জন জয়েস পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন। আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।