বিনোদন Bollywood Gossip: অভিষেক-ঐশ্বর্যের বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যেই আরও একটি বোমা ফাটাল! পুরনো ভিডিও ভাইরাল, শাশুড়িকে যা বলেন বৌমা… Gallery August 8, 2024 Bangla Digital Desk অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের জোরদার গুজব। এরই মধ্যে একটি পুরনো সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে৷ সাক্ষাৎকারটি ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের৷ যা পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলল৷ শাশুড়িকে কিছু কথা জানিয়েছিলেন বৌমা, সেটাই এবার সবার সামনে৷ মজার বিষয় হল, ঐশ্বর্য রাইয়ের এই পুরনো সাক্ষাৎকারটি যখন শিরোনামে তখন তাঁর শাশুড়ি জয়া বচ্চনেরও একটি কথা শিরোনামে আসছে৷ জয়াও তাঁর স্বামীর পদবি দিয়ে তাঁকে সম্বোধন করায় বিরক্তি প্রকাশ করেন৷ তাঁরও আগে ঐশ্বর্যের গলায় শোনা গিয়েছিল এমনই কথা৷ তাহলে কী হয় বচ্চনদের বাড়িতে? কেন বাড়ির বউয়েরা এরম কথা বলছেন? ঐশ্বর্য রাই এপ্রিল ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন। তাঁদের ১৩ বছরের মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন। ঐশ্বর্য যখন অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন, তখন তিনি ভারতীয় সিনেমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন৷ সেই সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে এক সাক্ষাৎকারে ‘ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন’ বলে সম্বোধন করেন, তখন তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, যে কেন তাঁকে বচ্চন পদবি দিয়ে ডাকা হচ্ছে? বচ্চন বাড়ির বৌমাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ‘রাই বচ্চন’ তার অফিসিয়াল উপাধি কিনা, তিনি বলেছিলেন, ‘পেশাগতভাবে আমি ঐশ্বর্য রাই নামে পরিচিত, যিনি অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেছেন, তাই স্পষ্টতই ঐশ্বর্য বচ্চন। আপনারা যী নামে চান ডাকতে পারেন৷ প্রসঙ্গত অভিনেত্রীর শাশুড়ি এবং সাংসদ জয়া বচ্চনকে কয়েকদিন আগে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং ‘জয়া অমিতাভ বচ্চন’ বলে সম্বোধনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। জয়া বচ্চন মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর পরিচয় তার স্বামীর নামে নয়, তবে হরিবংশ নারায়ণ সিং বলেছেন যে তাঁর দেওয়া নথিতে তাঁর নাম জয়া অমিতাভ বচ্চন হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিন পর জয়া বচ্চনকে ঘটনাটি নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে দেখা যায়, কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখর যখন জয়া বচ্চনকে তাঁর স্বামীর নাম ধরে সম্বোধন করেন, তখন তিনি তাকে অমিতাভের নামের অর্থ জিজ্ঞেস করেন৷ উপরাষ্ট্রপতি তখন জয়াকে নির্বাচনী শংসাপত্রে তাঁর নাম পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন, তবে তিনি তা করতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, ‘না স্যার। আমি খুব গর্বিত। আমি আমার নাম, আমার স্বামী এবং তাঁর অর্জন নিয়ে খুব গর্বিত।’